রাজনৈতিক সংগঠন
বাকৃবিতে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নিন্দা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতকাল (৩১ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পরপরই বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এবং যুগ্ম আহ্বায়ক পৃথকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।
ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ষড়যন্ত্রের হয়নি শেষ, সজাগ থাকো বাংলাদেশ।’
সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম লেখেন, ‘বহিরাগতদের হামলা এই ক্যাম্পাসে মানবো না। ১৯শে সেপ্টেম্বর বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা। প্রিলি পরীক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যাবে কোথায়? ছেলে–পেলেদের কিছু করে খেতে দেন।’
এ ছাড়া শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. তরিকুল ইসলাম তুষার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ধিক্কার জানাই এই প্রশাসনকে। অযোগ্য ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।’
এদিকে, আজ (সোমবার) সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাকৃবি শাখাও এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বহিরাগতদের বর্বরোচিত হামলা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, বহিরাগতদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে আশ্রয় নিলেও সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। নারী শিক্ষার্থী হেনস্তাসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত। এই ঘটনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযৌক্তিক।
আরও পড়ুন: বাকৃবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যা প্রবল আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, গতকাল (রোববার) মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার বিচার, ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বাকৃবি শাখার নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা সন্ত্রাস–দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক শিক্ষা অঙ্গন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা সে আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। শত শহীদের রক্তের অর্জনকে এভাবে ভূলুণ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না।
তারা আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন, ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।
৯৫ দিন আগে
২ দিনব্যাপী চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স উদ্বোধন
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে উপমহাদেশে প্রথম কোন রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন’।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হোসেন মনসুরের সভপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। এসময় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন: আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের এখন যে অবস্থা আমাদের এখন পথের মানুষের কথা ভাবতে হবে, বিপ্লব আমরা করবো, কিন্তু এখন মানুষ বাঁচাতে হবে। সংকট থেকে পরিত্রান করতে হবে, সংকট উত্তরনই এখন প্রধান কাজ। মানুষ কষ্টে আছে, এত কোন সন্দেহ নেই। সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত কষ্টে আছে। সারা দুনিয়ায় সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে শুধু বাংলাদেশে নয়।’
তিনি বলেন, ‘এই সংকট থেকে পরিত্রাণের জন্য আজকে আমাদের নেত্রী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে এটাই বিপ্লব, এখন উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই, মাছ ভাতটা থাকলেই তো হলো। সেটা আমাদের সার্ভাইবালেরর জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এই বিপ্লবটাই এখন করতে হবে। সেটা সকলেরই দায়িত্ব আছে, সবাই দায়িত্ব পালন করবেন।’
স্বাগত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ২০টি ক্যাটাগরিতে ৬৬২ টি পেপার ও পোস্টার জমা পড়েছে। শুধু বাংলাদেশের গবেষকরা নন, ইউরোপ, আমেরিকা, ইন্ডিয়া, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া থেকেও গবেষকরা শতাধিক পেপার জমা দিয়েছেন। এখান থেকে প্রায় ২৫০টি পেপার উপস্থাপন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কনফারেন্স থেকে যে সকল সুপারিশমালা আসবে সেগুলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দফতর ও রিসার্চ সেল এবং সরকাররের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেয়া হবে। যেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বির্নিমাণে কার্যকর পদক্ষেপ রাখতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করতো, যারা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বন্ধুগণ,আমাদের ডিজিটাল রূপকল্প নিয়ে কথা বলতেন- যে দেশের ৪০ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ নাই সেই দেশ কী ভাবে ডিজিটাল হবে? জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন যে, সততা থাকে, দুরদর্শীতা থাকে, সাহসীকতা থাকে তাহলে অবশ্যই একটা দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত মধ্যায়ের প্রযুক্তি নিভর্র ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নত করা যায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর আইইবি অডিটরিয়ামে কনফারেন্সের প্রথম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, দ্বিতীয় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থাইল্যান্ডের এআইটি'র বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. জয়শ্রী রায়। এছাড়া আলাদা আলাদা ১০টি ভেন্যুতে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
১১২৬ দিন আগে