ক্ষতিগ্রস্ত
লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ধানসহ সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের বেশিরভাগ খেতই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়।
এলাকার আমন ধানের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের। বাতাসে জমিতে শুয়ে পড়েছে মাঠের আধা পাকা আমন ধান।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আগাম জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য আমন মৌসুমে কৃষককে সরকারি প্রণোদনা বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
দুহুলী গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ঝড়ে ধান গাছগুলো নেতিয়ে পড়েছে। আমার ২০ শতক জমির ধান হেলে পড়েছে। ধানের শীষে যে দানা রয়েছে তা এখনো শক্ত হয়নি। অনেক ধান চিটা হয়ে যাবে। আর যে ফলন হওয়ার কথা ছিল তাও কমে যাবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টি, ৮৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র চালু
কৃষক মহেশ বাবু জানান, তিনি বর্গা নিয়ে ৫০ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। ঝোড়ো হাওয়ায় ধান গাছগুলো নুয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে রোপা আমন ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এতে উৎপাদনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না এমনটাই জানায় কৃষি অফিস।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আমন ধানের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এই দুর্যোগ কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটে নদ-নদীতে বেড়েছে পানি
৩ সপ্তাহ আগে
বন্যায় ৩ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৮৩৯১
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন জেলায় বন্যায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মোট মারা গেছেন ১০ জন।
তিনি বলেন, ১০ জনের মধ্যে শেরপুরে ৮ জন ও ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ; ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। এদিকে বন্যা আক্রান্ত জেলা তিনটি হলো-শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা। এছাড়া ১৩টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৭৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা।
অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, ৩ জেলায় মোট ৬৩ হাজার ১৭১টি পরিবার পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন।
তিনি বলেন, পানিবন্দিদের আশ্রয় দিতে মোট ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে মোট ১ হাজার ৩৩৭ জন এবং ৫৬১টি গবাদিপশু রয়েছে।
আলী রেজা বলেন, ৩ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দিতে মোট ২০টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে। ত্রাণ হিসেবে ৭২ লাখ টাকা, ৪ হাজার ৪০০ টন ত্রাণের চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
আলী রেজা আরও বলেন, শিশুখাদ্য বাবদ ১৫ লাখ এবং গো-খাদ্য বাবদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, উজানে উন্নতি হলেও অবনতি নিম্নাঞ্চলে
১ মাস আগে
ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে কয়েকটি জায়গায় সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনা ঘটলেও তাকে বড় করে বহির্বিশ্বের মিডিয়ার প্রচার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলন ও বর্তমান সরকার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ অপপ্রচার। তিনি এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
এসময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম (এআই আরএএম) প্রকল্প চলমান রাখার বিষয়ে তিনি উপদেষ্টার সম্মতি চান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জনগণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে কতটুকু সক্ষম তা যাচাই করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে তা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম (এআই আরএএম) প্রকল্পের কাজ চলমান রাখার পাশাপাশি এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
এছাড়া ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি পর্যালোচনা করা হবে বলেও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা আর বলেন, আন্দোলনে বেশ কিছু সাংবাদিক হতাহত হয়েছেন। তাদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের একটি অংশ ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় মামলা করছে। সে মামলায় অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে সবার আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। ফলে তারা আইনি সহায়তা পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর নীতি বিশ্লেষক আফজাল হোসেন সরোয়ার, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার
১ মাস আগে
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে।’
গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী ও জনগণকে দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার 'ভয়াবহ গণহত্যা' চালিয়েছে বলে সমালোচনা করেন তিনি।
দলের পক্ষ থেকে এর আগেও ওই হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও এসেছি এখানে যারা আছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমরা দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’
দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী ও জনগণ জীবন দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
ফখরুল বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
২ মাস আগে
চাঁদপুরের ৬ উপজেলায় ৪৪টি কালভার্টসহ ১৯২ গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
চাঁদপুরে বন্যায় ও অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে ৪৪টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে কচুয়া, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, সদর ও হাইমচর উপজেলায় ১৯২ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে প্রাথমিক ক্ষতি প্রায় ৪০ কোটি টাকা। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের পিপলকড়া গ্রামের কৃষক শহীদ উল্লাহ বলেন, বানের পানিতে সড়কের পাশাপাশি আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সড়কে গর্ত হওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ।
শাহরাস্তি উপজেলার উনকিলা গ্রামের মনির হোসেন বলেন, এলাকায় বানের পানিতে বহু সড়ক তলিয়েছে। এসব সড়ক ভেঙে এখন বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে কিছু সড়ক আগে থেকে ভাঙা ছিল। এখন আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে ধানের চারা দেবে বাকৃবি
সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ঢালীরঘাট-ফরক্কাবাদ সড়কের বাসিন্দা আব্বাস মিয়া, কলেজ ছাত্র কিরন পাটোয়ারি ও মফিজুল ইসলাম খান ইউএনবিকে জানান, টানা বৃষ্টির কারণে সড়ক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি মাটি নরম হয়ে বড় বড় গাছ উল্টে পড়েছে। দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানিকরাজ গ্রামের মোক্তার হোসেন ও মদনেরগাঁও গ্রামের বিল্লাল হোসেন গাজী জানান, টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের দুই পাশের অংশগুলো বেশি ভেঙেছে। কিছু এলাকায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী ইউএনবিকে বলেন, এ বন্যায় জেলায় আমন ফসল, বীজতলা, পানখেত, আখখেত, শাক-সবজি, ফলফলাদি ও গাছ-গাছালির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৭ কোটি টাকা।
কৃষি বিভাগের কৃষিবিদ মোবারক হোসেন বলেন, এ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৪৮ হাজার। এ জেলায় কোনো কৃষকের শস্য বিমাও নেই।
পৌরসভার নির্বাহি প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, চাঁদপুরে অতিবৃষ্টির কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেহাল। ফলে জনভোগান্তি চরমে।
আরও পড়ুন: সরকার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে, শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন
২ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবায় সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি অঞ্চলের সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি অঞ্চলের ফাইভ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স দীঘিনালা জোনের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ চিকিৎসা সেবার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দেবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় সেনাবাহিনী ৮০০ দুর্গত মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। সেবা কার্যক্রমের আওতায় গাইনি, মেডিসিন, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগের সেবা দেওয়া হয়।
এসময় খাগড়াছড়ি ফাইভ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাকিবুল ইসলাম, দীঘিনালা জোন কমান্ডার কর্নেল ওমর ফারুক চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া কর্নেল ডা. সেতারা, মেজর ডা. আসিফ রুবায়েত, মেজর ডা. সাবিনা, ক্যাপ্টেন ডা. রাকিব, ডা. আশুতোষ চাকমা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
এতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই কার্যক্রমে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যার্তদের চিকিৎসা দেবে ১৪ স্বাস্থ্য ক্যাম্প
সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে সরকারি হাসপাতাল: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
২ মাস আগে
বন্যায় ২৭ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে: উপদেষ্টা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, দেশে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মারা গেছেন এখন পর্যন্ত ২৭ জন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা
এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি আছে জানিয়ে দুর্যোগ উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৭৪ উপজেলা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৪১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা। এছাড়া পানিবন্দি হয়েছে ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, চলমান বন্যায় মৃত ২৭ জনের মধ্যে খাগড়াছড়িতে ১০ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, নোয়াখালীতে ৫ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, কুমিল্লায় ১ জন, ফেনীতে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন এবং লক্ষ্মীপুরে ১ জন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত ফারাক্কা খুলে দিলেও নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি: উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কির সাক্ষাৎ
২ মাস আগে
বন্যায় ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫২ লাখ মানুষ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব কামরুল হাসান জানিয়েছেন, বন্যায় দেশের ১১ জেলায় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৯ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫২ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের এবং নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন।
রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যায় ৩ উপজেলায় ৫ জন নিহত
সচিব আরও জানান, ১১ জেলায় ৭৩ উপজেলার ৫৪৫ ইউনিয়ন-পৌরসভা বন্যা প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যাদুর্গতদের জন্য ৩ হাজার ৬৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে কামরুল হাসান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৭৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২২ হাজার ২৯৮টি গবাদিপশুও রাখা হয়েছে।
১১ জেলার বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব বলেন, ‘সার্বিকভাবে ১১ জেলায়ই বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তাই নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হচ্ছে না।’
ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার জন্য ৭৪৮টি মেডিকেল টিম চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
২ মাস আগে
বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বাংলাদেশে চলমান বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১১টি জেলায় ৪৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.কামরুল হাসান জানান, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারে ব্যাপক বন্যাসহ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ২ হাজার জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী
বন্যায় ৭৭টি উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি পরিবার ক্ষয়ক্ষতির কবলে পড়েছে।
দুই নারীসহ ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সচিব। হতাহতদের মধ্যে কুমিল্লার চারজন, ফেনীর একজন, চট্টগ্রামে দুজন, নোয়াখালীর একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারে তিনজন রয়েছেন।
সংকট মোকাবিলায় সরকার ৩ হাজার ১৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। এসব কেন্দ্রে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৬৩৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
দুর্গতদের সহায়তার জন্য মন্ত্রণালয় নগদ ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০ হাজার ১৫০ টন চাল এবং ১৫ হাজার খাদ্যের প্যাকেট বিতরণ করেছে। চলমান দুর্যোগ মোকাবিলায় সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ রয়েছে বলেও আশ্বস্ত করেন সচিব।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল' গঠন
২ মাস আগে
ভয়াবহ বন্যায় ১০ জেলার ৩৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, মৃত্যু ২
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে ১০ জেলায় অন্তত দুজনের মৃত্যু এবং প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যাচ্ছেন। অন্যান্য উপদেষ্টারাও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় ২৯ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত, মারা গেছেন ২ জন: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ বন্যায় ১০টি জেলায় ৩৬ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, জেলাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হয়েছে। 'আমরা এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
জেলাগুলোর মধ্যে ফেনীর ছয়টি উপজেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানিতে বিদ্যুৎ লাইন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের অভাব এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের কভারেজ ব্যাহত হওয়ায় বাসিন্দারা আটকা পড়েছেন এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ৫০ উপজেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজান এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পেতে পারে।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত এলাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
তিনি বলেন, মনু, খোয়াই ও ধলাই নদীর তীরবর্তী মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তীতে উন্নতি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে আলী রেজা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজান এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
তিনি বলেন, মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা নদীর তীরবর্তী ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে পরে উন্নতি হতে পারে।
আট জেলায় বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৮০ পরিবার। এক হাজার ৫৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে জনগণের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ৪৪৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
আটকে পড়াদের উদ্ধারে সেনা, নৌবাহিনীর ও সদস্যরা কাজ করছে। এছাড়া দুর্গতদের উদ্ধারে বিজিবির নৌযান নিয়ে আসা হচ্ছে।
তিনি জানান, ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকায় ১৬০ জন সেনা সদস্য, ৪০টি উদ্ধারকারী জাহাজ, ৭১ জন নৌবাহিনীর সদস্য ও আটটি উদ্ধারকারী জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যাকবলিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী, সেনাবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগের জন্য ০২-৫৫১০১১১৫ নম্বর দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নাজমুল আবেদীন জানান, বন্যাকবলিত আট জেলার জন্য ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন। এছাড়া ১১ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, কুমিল্লাসহ অন্যান্য এলাকার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারগুলো মেরামতের জন্য তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের 'অসহযোগিতা'র কথা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ
২ মাস আগে