পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের পুরান বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের ভাষ্যে, আগুন মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে দোকানগুলো পুরোপুরি ছাই হয়ে যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন— সুভাষ ধুপি (৭৫) লন্ডি ও সেলুন দোকান, রফিকুল ইসলাম মোল্লা (৫৫) বসতঘরসহ মুদির দোকান, ইব্রাহিম সরদার (৬০) মুদিমাল ও চায়ের দোকান, জাকির সরদার (৬০) চায়ের দোকান। তাদের দোকানঘর, মালামাল, আসবাবপত্র—সবকিছুই পুড়ে গেছে।
স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই বরগুনায় দুই বসতবাড়ি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখে স্থানীয়রা ছুটে এসে পানি ও বালতির সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাজারটিযা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে নদী-বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন চরে অবস্থিত। এই এলাকায় কোনো ফায়ার সার্ভিস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হন স্থানীয়রা।
তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত না হলেও প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মো. রফিক মোল্লা বলেন, ‘রাতের আঁধারে সব কিছু শেষ হয়ে গেল। দোকানের পুঁজি, মালামাল— সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের প্রশাসনিক সহায়তা জরুরি প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিতভাবে আবেদন করলে সরকারিভাবে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।