মূল
বিএনপি নয়, আ.লীগ ‘আগুন সন্ত্রাসের’ মূল পরিকল্পনাকারী: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিএনপি নয় আওয়ামী লীগই ‘আগুন সন্ত্রাসের’ মূল পরিকল্পনাকারী।
তিনি বলেছেন, ‘চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতা এবং এর ক্রমবর্ধমান গতিতে ভীত হয়ে তারা (আ.লীগ নেতা) পুরনো বিষয়গুলো তুলে ধরছেন। দুর্ভাগ্যবশত, সত্য হল আওয়ামী লীগ নিজেই, সরকার নিজেই, আগুন সন্ত্রাসের পিছনে মূল পরিকল্পনাকারী।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে তিন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপি কোনো সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে ফখরুল বলেন, আমরা একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে (ক্ষমতা পরিবর্তন) বিশ্বাস করি। আমরা অতীতে কখনও সন্ত্রাসবাদ বা অগ্নিসংযোগ করে ক্ষমতায় আসিনি এবং এখনও তা করতে চাই না।’
তিনি বলেন, দলের সাম্প্রতিক সমাবেশে তাদের নেতাকর্মীরা দমন-পীড়নের শিকার হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো উসকানি হয়নি। ‘তারা (ক্ষমতাসীন দল) উসকানি দিয়ে সহিংসতা ঘটাতে চাইছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা চলমান আন্দোলন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে ভিন্ন দিকে মোড় নিতে এবং তা বানচাল করতে অগ্নিসংযোগের কথা বলছেন। ‘কিন্তু এটি কাজ করবে না, কারণ লোকেরা দেখছে কে কী করছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সব কৌশল বৃথা যাবে। কারণ জনগণের এখন একমাত্র দাবি সরকারের পদত্যাগ।
বিএনপিকে রাজপথে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ছাড় কাউকে দেয়া হয় না। রাজনীতিতে, আদায় করতে হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বদলায় না। ‘কিন্তু আন্দোলনের আঘাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। এইচ এম এরশাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজও ১৯৯০ সালের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল, কিন্তু পরের দিন ভেঙে পড়ে।’
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়তে তাদের দলের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার অংশ হিসেবে ফখরুল সংখ্যালঘু জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ এবং বাংলাদেশি সাম্যবাদী দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেন।
তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পিত যুগপৎ আন্দোলনের দাবিগুলো চূড়ান্ত করতে গত ২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
এর আগে, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার 'পুনরুদ্ধার' করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংলাপের প্রথম পর্বে বিএনপি ২৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছিল।
আরও পড়ুন: জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর
২ বছর আগে