রেল সেতু
মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মালামাল নিয়ে আরও একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। পানামা পতাকাবাহী এমভি মারস নামে ওই জাহাজটি শুক্রবার দুপুরে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর ফেলে।
জাহাজটিতে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর জন্য ১৯৩ প্যাকেজে এক হাজার ৫১৯ মেট্রিকটন সেতুর মুল অবকাঠামোর মালামাল রয়েছে। এখন ওই জাহাজ থেকে মালামাল খালাসের কাজ চলছে।
এমভি মারস জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হক এন্ড সন্স লিমিটেডের খুলনার অপারেশন ম্যানেজার (শিপিং বিভাগ) শওকত আলী সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মুল অবকাঠামো তৈরির মালামাল নিয়ে জাহাজটি ১৬ জানুয়ারি ভিয়েতনামের হাইপোং বন্দর থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। শুক্রবার দুপুরে জাহাজটি মোংলা বন্দরে নোঙর ফেলে। জাহাজটিতে সেতুর জন্য ১৯৩ প্যাকেজে এক হাজার ৫১৯ মেট্রিক টন মালামাল রয়েছে। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
তিনি আরও বলেন, এরপর মালামাল নৌযানে করে মোংলা থেকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর জেটিতে নেয়া হবে। এনিয়ে পঞ্চম বারের মতো বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মালামাল নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহিন মজিদ জানান,জাহাজ থেকে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মালামাল খালাস কাজ চলছে। রবিবারের মধ্যে খালাস কাজ শেষ হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর সেতুর মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ শিগগিরই মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, দেশে চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ প্রায় প্রতি মাসে মোংলা বন্দরে ভিড়ছে। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করার পর মোংলা থেকে প্রকল্প এলাকায় নেয়া হচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ ব্যবহারকারীরা মোংলা বন্দর ব্যবহার করছে। মোংলা বন্দরে ফিরে এসেছে কর্মচঞ্চলতা।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারেনি রুশ জাহাজ
মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৪৭ শতাংশ
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মাসুদ আল ফাত্তাহ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪৭ শতাংশ।
এ সময় তিনি প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলওয়ে সেতুর ৪৯ টি স্প্যানের মধ্যে চারটি স্প্যানের সুপার স্ট্রাকচার এর কাজ শেষ হয়েছে। ফলে সেতুর কিছু অংশ এখন দৃশ্যমান।
ঢাকা থেকে একদল সাংবাদিক বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শনের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে প্রকল্প পরিচালক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তি স্থাপন করবেন: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, পশ্চিমাংশে কাজের অগ্রগতি কিছুটা কম হলেও বর্তমানে তা এগিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া প্রকল্পটি শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা ২০২৪ সালের আগস্ট এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সমস্যা কাজের ক্ষেত্রে কোন সংকট তৈরি করবে না। প্রকল্পটি জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্প ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ধরা আছে।
দুটি প্যাকেজে এর কাজ নির্মিত হচ্ছে। বর্তমানে ৫০টি পিলারের মধ্যে ৩৭টি পিলারের ড্রাইভিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৪৯টি স্প্যানের মধ্যে ১৮টি স্প্যান সাইটে চলে এসেছে।
এ পরিদর্শনের সময় রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুলসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণসামগ্রী নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে প্রথম জাহাজ
২০২৪ সালে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ শেষ হবে: মন্ত্রী
২ বছর আগে