জনসংখ্যা
বাংলাদেশে আগামী ১০ বছরে বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে
দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, প্রসারিত অর্থনীতি ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্বারা চালিত আগামী দশকে বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোয়িং (এনওয়াইএসই:বিএ)।
বুধবার (১০ মে) উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও সক্ষমতাবিষয়ক তাদের কমার্শিয়াল মার্কেট আউটলুক (সিএমও) প্রকাশ করেছে।
এটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিমানের চাহিদাবিষয়ক একটি বার্ষিক পূর্বাভাস।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু বিমানের
বোয়িংয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী-২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপি পাঁচ শতাধিক বেশি হারে বাড়বে, যা বৈশ্বিক জিডিপি প্রবিদ্ধির গড়ের দ্বিগুণেরও বেশি।
পাশাপাশি বিমান ভ্রমণের বার্ষিক বৃদ্ধির হার হবে প্রায় আট দশমিক পাঁচ শতাংশ।
এশিয়া প্যাসিফিক ও ভারতের বোয়িং কমার্শিয়াল মার্কেটিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেড শাল্টে বলেন, ‘গত বছর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় বাংলাদেশে সক্ষমতা বছরে ১১ শতাংশ বেড়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে আঞ্চলিক ট্র্যাফিক বিবেচনায় আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে বলে আমরা মনে করি’।
সিএমও’র পূর্বাভাস অনুযায়ী, যাত্রী ভ্রমণ ও এয়ার কার্গোর জোরালো চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ এশিয়ার বাহক বা ক্যারিয়ারদের আগামী ২০ বছরে দুই হাজার ৩০০টির বেশি নতুন বাণিজ্যিক বিমানের প্রয়োজন হবে।
ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ইন-সার্ভিস বিমান বহরের (৭০০টি) তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি হবে বলে জানানো হচ্ছে।
শাস্টে আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা দারুণ সুযোগ দেখতে পাচ্ছি। যেখানে ভবিষ্যতে বিমান বহরের ৮০ শতাংশের বেশি প্রয়োজন হবে।
বাকি ২০ শতাংশ ব্যবহৃত হবে পুরোনো অকার্যকর বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য।
আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে
৭৩৭-এর মতো সিঙ্গেল-আইল বিমানগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ বিমান বহরের প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যবস্থা করবে, যেখানে এ অঞ্চলের বিমান বহরের ১০ শতাংশ গঠিত হবে ৭৮৭-এর মতো প্রশস্ত বা ওয়াইড বডি বিমান দ্বারা।
এ দুইটি বিমানের মডেলই বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে চালু রয়েছে।
শাল্টে আরও বলেন, ‘এ বাজারে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বোয়িং বিমানগুলো চমৎকার ভূমিকা পালন করেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে বিমান বহরের সাদৃশ্য প্রধান ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে যেহেতু এটি আমাদের এয়ারলাইন্সে গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিচালনার খরচ কমায়’।
বোয়িং
শীর্ষস্থানীয় অ্যারোস্পেস কোম্পানি বোয়িং বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে তাদের গ্রাহকদের পণ্য এবং সেবা সরবরাহ করে থাকে। শীর্ষ মার্কিন রপ্তানিকারক হিসাবে কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সুবিধা, সক্ষমতা এবং কমিউনিটি প্রভাবকে এগিয়ে নিতে সাপ্লায়ার বেইজের দক্ষতাকে কাজে লাগায়।
এছাড়া আগামীর জন্য উদ্ভাবন এবং কোম্পানির নিরাপত্তা, গুণগতমান ও মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বোয়িং-এর বৈচিত্র্যময় টিম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন: ড্রিমলাইনারে বিদেশি পাইলটদের 'লাইন ট্রেনিং' দিচ্ছে বিমান
১ বছর আগে
জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: ফরাসউদ্দিন
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে অনেক কিছুই অর্জন করেছে। ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদনে, মানব উনয়ন সূচকে সন্তোষজনক অগ্রগতি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ঊর্ধ্বগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ অনেক ক্ষেত্রেই অনুকরণীয়। আগামী দিনগুলোতে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সে লক্ষ্যেই আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে ফের উচ্ছেদ অভিযান, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রথম বারের মতো ‘বাংলাদেশ এ্যাট ৫০: অ্যাচিভমেন্টস, প্রসপেক্টস এন্ড চ্যালেঞ্জে‘ শীর্ষক শিরোনামে দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ, আমেরিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, তুর্কি, ভারত, মঙ্গোলীয়া ও ডেনমার্কসহ ৮টি দেশের শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরাসউদ্দিন বলেন, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ অধিক জনশক্তি বহুল দেশ। বিশ্বের মধ্যে জনশক্তি বহুল দেশ খুব কম আছে। তাই এ দেশের জনশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তোলে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা নজিরবিহীন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে নিয়ে যেভাবে ভেবেছেন, এগিয়ে নেয়ার চিন্তা করেছেন বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মেলনের আহ্বায়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষ্ঠানের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান স্বাগত বক্তব্য ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন ভোট অব থ্যাংকস প্রদান করেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ ৮টি দেশের শতাধিক গবেষণাপত্র ১৪টি সশরীর সেশনে এবং দুটি ভার্চুয়ালি সেশনে উপস্থাপিত হবে। এছাড়া সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রায় ৮ শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু কম, তবুও আমরা উদ্বিগ্ন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমানবাহিনী প্রধানের ঢাকা ত্যাগ
২ বছর আগে
মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন, শুধু মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার সদ্য প্রকাশিত '৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২'-এ দেশে জনসংখ্যা কম দেখিয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য (প্রকৃত চিত্রের চেয়ে) জনসংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। আমরা সাধারণত আমাদের দেশে ১৮ কোটি লোক গণনা করি। কিন্তু জনসংখ্যা ১৬ কোটি গণনা করা হলে মাথাপিছু আয় আরও অনেক বেশি দেখানো সহজ হবে।’
দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শুমারির প্রাথমিক ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন আদমশুমারির হিসাব সঠিক না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হয়নি।
এর আগে বুধবার ষষ্ঠ আদমশুমারির অস্থায়ী তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যা হল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬, আগের ১.৩৭ শতাংশের জায়গায় ১.২২ শতাংশ বৃদ্ধির হার।
ফখরুল বলেন, ‘প্রতিটি বাড়ি থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে জাতীয় জনগণনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে।
কিন্তু সরকার ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত ও প্রতারণা করছে। পুরো সরকারই প্রতারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত। এটা সম্পূর্ণ ভুয়া সরকার।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, সরকার গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করায় দেশ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রধান পথ বা প্রবেশদ্বার। সারা দেশের মানুষ এখন জোর গলায় বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
ফখরুল বলেন, ‘এমনকি নির্বাচন কমিশন বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, বড় দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে, সরকার জনগণের চাহিদাকে বাইপাস করে বিষয়টিকে অন্য দিকে মোড় নেয়ার কৌশল গ্রহণ শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে আয়ের চেয়ে এক কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে বিএনপি
বিদ্যুৎ বিভ্রাট: ৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
২ বছর আগে
শিক্ষাক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্যানেল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
আলোচনায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে তৈরি ন্যাশনাল ব্লেন্ডেড এডুকেশনাল মাস্টার প্ল্যান (২০২২-২০৩১) এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশগ্রহন বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সেশনে শিক্ষাক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ জোরদার করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তাঁর সঙ্গে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন কানাডার উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিলিপ শাম্পান, সুইডেনের অর্থমন্ত্রী মিকায়েল ড্যামবার্গ এবং নেদারল্যান্ড এর বুর্টজর্গ নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ইয়স ডি ব্লক। আলোচনায় মডারেটর ছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের ডেপুটি ম্যানেজিং এডিটর রেবেকা ব্লুমেনস্ট্যাইন।
আলোচনায় ডা.দীপু মনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী যে মানব সম্পদ তৈরীর কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, সমতা, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক যেসকল নীতি গৃহীত হচ্ছে সেসকল বিষয় তুলে ধরেন।
এছাড়াও তিনি বিশাল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিনত করা, সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন কর্মসুযোগ তৈরী,নারীর ক্ষমাতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার মানের উন্নয়ন না হলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, সফলতার সঙ্গে টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশে এ পর্যন্ত ২৫ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে; যা টার্গেট পপুলেশনের ৯৫ ভাগ। দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী ৭৫ ভাগের বেশি লোক টিকে পেয়ে গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় আমাদের ধর্ম-কর্ম করতে পারছি। কল কারখানা চলছে। দেশে-বিদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে, যাওয়া-আসা চলছে। সর্বোপরি সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে। সারাদেশে প্রতিদিন ৪০-৫০ থেকে ৬০ জন এর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে না। আজকে একজনও মারা যায়নি। আজকের এই কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে বিধায় অর্থনীতি সচল আছে।’
যারা এখনো বুস্টার ডোজ নেয়নি সুরক্ষিত থাকার জন্য তাদের বুস্টার ডোজ নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
করোনাকালীন সময়ে পুলিশের ভূমিকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সময় এবং টিকা কার্যক্রমে পুলিশ সহায়তা করেছে যার কারণে আমাদের এই কার্যক্রম সফল হয়েছে।
এসময় মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম সারোয়ার ছানু, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দ্বিতীয় ডোজের ৪ মাস পর বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ নিম্নমানের বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়: ডব্লিউএইচও
ডব্লিউএইচও-এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ খুবই নিম্নমানের বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়। এ ধরণের বাতাস দূষিত পদার্ত ও কণা দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে, যা ফুসফুসের গভীরে বা শিরা-ধমনীতে প্রবেশ করায় বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে।
জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বায়ুর মান নিয়ে প্রায় ছয়মাস গবেষণার পর সোমবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার তথ্যসমূহ বিশ্বের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম থেকে সংগৃহীত।
ডব্লিউএইচও-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার পরে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বায়ুর গুণমান সবচেয়ে খারাপ।
ডব্লিউএইচও বলেছে, গবেষণায় পিএম২.৫ এবং পিএম১০ নামে পরিচিত দুই ধরনের কণা বিবেচনা করে প্রথমবারের জন্য নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের স্থল পরিমাপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে আত্মহত্যা প্রবণতায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম: ডব্লিউএইচও
নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের উৎপত্তি মূলত মানব সৃষ্ট জ্বালানী পোড়ানোর ফলে। যেমন-গাড়ির কালো ধোঁয়ার মাধ্যমে এবং এটি শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এর ফলে হাঁপানির মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো রোগীর সংখ্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের সর্বাধিক ঘনত্ব পাওয়া গেছে।
কণা পদার্থের অনেক উৎস রয়েছে। যেমন পরিবহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কৃষি, বর্জ্য পোড়ানো এবং শিল্পকারখানা; সেইসঙ্গে মরুভূমির ধুলোর থেকেও এর উৎপত্তি হতে পারে।
উন্নয়নশীল বিশ্বে বাতাসের অবস্থা শোচনীয়। ভারতে উচ্চ মাত্রার পিএম১০। এছাড়া চীনে পিএম২.৫-এর উচ্চ মাত্রা দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা পায়নি ৩৬টি দেশ: ডব্লিউএইচও
কোভিড ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ দরকার: ডব্লিউএইচও
২ বছর আগে
রাশিয়া সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ নিয়ে সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ এই দুটি দেশের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে স্পর্শকাতর অধ্যায়, যার প্রভাব পড়তে পারে সারা বিশ্বে। ১৯৯১ সালে বিশাল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর ও বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতি সহ বিভিন্ন অঙ্গনে স্বতন্ত্র অবস্থানে বহাল আছে রাশিয়া। এছাড়া দেশটির সভ্যতা ও সংস্কৃতির উত্তরোত্তর ক্রমবিকাশে সমগ্র ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশের উপর এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। সেই সূত্রে এই নিবন্ধটিতে রাশিয়ার বিস্ময়কর কিছু তথ্যের দিকে আলোকপাত করা হয়েছে।
রাশিয়ার ১০টি বিস্ময়কর তথ্য
পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলপথ
ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ে মস্কো ও সুদূর পূর্ব রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরাসরি পাড়ি দিয়েছে ৯,২৫৯ কিলোমিটার রেলপথ। উরাল পর্বতমালা, সাইবেরিয়ার বার্চ বনও বৈকাল হ্রদ অতিক্রম করতে এই যাত্রাটি সময় নেয় ছয় দিন।
পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ
ভূমির আয়তনের দিক থেকে রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। রাশিয়ার মোট ভূমির ক্ষেত্রফল ৬৬ লাখ এক হাজার ৬৭০ বর্গ মাইল, যা পৃথিবীর মোট ভূমির শতকরা ১১ ভাগের সমান। এত বড় দেশ হওয়াতে এখানে বৃক্ষের আধিক্য দেখা যায়। পৃথিবীর শতকরা ২০ ভাগ গাছ আছে শুধু এই রাশিয়াতেই। সংখ্যার দিক থেকে তা প্রায় ৬৪০ বিলিয়নের সমান।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য
পৃথিবীর গভীরতম হ্রদ
সাইবেরিয়ায় অবস্থিত বৈকাল হ্রদ বিশ্বের বৃহত্তম মিঠা পানির হ্রদ। শুধু এই একটি হ্রদ গোটা বিশ্বের মিঠা পানির শতকরা ২৩ ভাগ ধারণ করে।
২ বছর আগে
ঢাকার বাতাস এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসের মান এখনও 'অস্বাস্থ্যকর'। তবে এটি মহানগরের বাসিন্দাদের জন্য সুখবরও বটে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ তম। বিশ্বের বায়ুর মান প্রতিবেদন (একিউআই) এ ১৮৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ খুব অস্বাস্থ্যকর অবস্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার শহর সারায়েভো যথাক্রমে ৪৭৮, ৩৫৪ এবং ১৯১ স্কোর নিয়ে প্রথম তিন স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: শীত ঘনিয়ে আসতেই ‘অস্বাস্থ্যকর’ হচ্ছে ঢাকার বাতাস
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক জনসংখ্যার মতো সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআইএ ১০১ থেকে ২০০ স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর'বলে বিবেচিত হয়।
সরকারি সংস্থাগুলি একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা পরিচ্ছন্ন বা দূষিত তা জনগণকে জানাতে এবং তাদের জন্য কী সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের প্রভাবগুলি উদ্বেগের কারণ হতে পারে তা জানাতে প্রতিবেদনটি ব্যবহার করে।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল,ইট ভাটা,যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বায়ু শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক সাত মিলিয়ন লোকের মৃত্যুর কারণ।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
৩ বছর আগে
কেমন হবে আমাদের মেট্রোরেল?
দেশ আজ উন্নতির হাইওয়েতে। অনেক স্বপ্নিল প্রকল্পের মাঝে মেট্রো রেলও একটি। কাজ শুরু হয়ে গেছে। ধুলাবালি, কাদা, রাস্তা কাটাকাটির দুঃসহ ট্রাফিক জ্যামের মাঝে ও আশায় বুক বেঁধে আছি কবে এক নিমেষে ফার্মগেট,মতিঝিল চলে যাবো। পরিপাটি পরিচ্ছন, ধুমপান ও খাওয়া দাওয়া বিহীন ট্রেনের কামরায় বসে গন্তব্যে যাচ্ছি। মিষ্টি সুরে বলবে “পরবর্তী ষ্টেশন আগারগাঁও, দরজা বাম দিকে খুলবে, দরজা বন্ধ হচ্ছে ইত্যাদি”। স্মার্ট কার্ড, স্মার্ট টিকেট সিস্টেম কত কিছুই না দেখবে এদেশের জনগন। আহ সেদিন আসিবে কবে?
সুদিন আসছে। রেল গাড়ির ট্রায়াল রান শুরু হয়ে গেছে। পূর্ণাঙ্গ চালু হতে বছর দুয়েক সময় লাগবে।
দুই দশকের ও কম সময়ের আগে যখন দিল্লি যাই তখন দেখি মেট্রো রেলের কাজ চলছে। দিল্লির লোকদের স্বপ্ন পর্ব চলছিলো। কিন্তু কলকাতা এদিকে এক ধাপ এগিয়ে ছিল। কলকাতায় পুরোদমে মেট্রো রেল চালু ছিল। লক্ষ্য করলাম কলকাতার কোচ গুলো চেন্নাই এর তৈরি আর দিল্লির জন্য জাপানি কোচের অর্ডার দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় রাজধানী ও প্রাদেশিক রাজধানীর একটা পার্থক্য থাকবেনা? যাক তা দেখা আমার বিষয় নয়।
২০১৭ সালে দিল্লি গিয়েছিলাম। বিমান বন্দর থেকে নিউ দিল্লি ষ্টেশন পর্যন্ত যথাযথ সুন্দর পরিপাটি মেট্রো রেলের দেখা পেলাম। পরবর্তী গন্তব্য গুলোতে যেতে টের পেলাম এটা কোন রেল। লোকজনের ভিড়, ধাক্কা ধাক্কি, মাথায় মালপত্র নিয়ে গায়ের উপর পড়ে যাওয়া কি এক বিচ্ছিরি কারবার। নাভিশ্বাস উঠার অবস্থা। যাত্রীদের পোশাক আশাক, ঘামের গন্ধ, পান ও জর্দার সুবাস সব মিলিয়ে মেট্রো রেলের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো। এতো লোক সংখ্যার শহরে আদর্শ মেট্রো রেল কিভাবে কাজ করবে। কোচ গুলির অনেক সিস্টেম কাজ করে না। মিষ্টি গলায় যাত্রীদের জন্য ঘোষণা আসে না।
কর্তৃপক্ষকে দোষ দেবার সুযোগ কই? মেট্রো রেলের সব কিছুই তারা ঠিক মত করেছে। কিন্তু পরিকল্পনাবিদরা ভাবেননি যে ভবিষ্যতে লোক সংখ্যা কি দাড়াবে? অশিক্ষিত জনগনের জন্য আধুনিক সিস্টেম নির্ভর মেট্রো রেল কতটুকু সুবিধাজনক ভাবে কাজ করবে। দিল্লি পৃথিবীর এক নম্বর নোংরা শহর। পরিচ্ছন্ন মেট্রো রেল এর সাথে সাথে এর আরোহীদের সাফ সুতরা করার কোন পরিকল্পনা ছিল কি? নিরাপত্তার নামে ষ্টেশন গুলোতে চেকিং ও মালপত্র স্ক্যানিং এর দীর্ঘ লাইন বিরক্তিকর ও বিব্রতকর। অনেক লাগেজের সাইজ এতো বড় যে স্ক্যানিং মেশিনে ঢোকে না। কলকাতা যাওয়া হয়নি। সেখানকার মেট্রো রেল দিল্লির মত কিনা জানি না।
আমরা সব কিছুতেই বিশ্বের এক নম্বর। আমাদের পরিকল্পনাবিদরা নিশ্চয় এসব দিক বিবেচনায় রেখেছেন যে আগামী দিনের জনসংখা ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে আমাদের কি রকম মেট্রো রেল হওয়া উচিৎ। এটা কি সিঙ্গাপুর জাপানের আদলে আদর্শিক কিছু নাকি মস্কোর মেট্রো রেলের ন্যায় শক্তিশালী ও কার্যকর একটা মেট্রো রেল হবে তা দেখার অপেক্ষায় আছি। তবে নির্মাণকালীন সময়ের দুর্ভোগ (যা শুরু হয়ে গেছে) কাটিয়ে যদি বেঁচে থাকি তাহলেই মেট্রো রেল দেখতে পাবো। অপেক্ষায় থাকলাম।
লেখক: কলামিস্ট ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ
নয়া তালেবান, পুরান তালেবান: তফাৎ কী?
৩ বছর আগে
জেনেভায় গ্লোবাল ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠক
সুইজারল্যান্ডে গ্লোবাল ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর দেশটির রাজধানী জেনেভায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে গ্লোবাল ফান্ড থেকে যে সহযোগিতা বাংলাদেশ সরকার পেয়ে থাকে সে বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা হয়। বৈঠকে কোভিড মোকাবিলায় করণীয় বিষয়াদির পাশাপাশি গ্লোবাল ফান্ডের অর্থ কোভিড-১৯ চিকিৎসাসহ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উন্নয়নে কিভাবে ব্যবহার করা যাবে সে বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে বর্তমানে টিকার সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় গ্লোবাল ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক এলডোনসহ অন্যান্য উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব কামরুল হাসান, উপসচিব মো. সাদেকুল ইসলাম ও ঢাকার তেজগাঁও হেলথ কমপ্লেক্স-এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মফিজুল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যুরো মিটিং-এ অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে