হত্যার ষড়যন্ত্র
খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করে জানান যে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে সরকার ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে।
ফখরুল জানান, সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে আসা দেশের জনপ্রিয় এই নেতা মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজ হাসপাতালে মৃত্যুর মুখোমুখি।
তিনি আরও বলেন, তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। যদিও চিকিৎসকরা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তার জরুরি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা দরকার। এটি তাকে বিদেশে পাঠানো ছাড়া সম্ভব নয়।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বগুড়া হাটখোলা মাঠে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের যুব রোড মার্চের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
দলটির মহাসচিব বলেন, সরকারকে বারবার জানানো হয়েছে। তার পরিবার বলেছে কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) শুনতে রাজি নন।
বিএনপি এই নেতা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দাবি করেন। এতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সরকার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আবারও মামলা করছে।
তিনি বলেন, আমাদের বার্তা স্পষ্ট যে, এক দফা দাবি, (আপনি) পদত্যাগ করুন, সংসদ ভেঙে দিন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করুন।
আজ বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আসুন আমরা জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হই এবং এই দানব সরকারকে সরিয়ে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
ফখরুল বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে আমি বাংলাদেশের মানুষকে এই বার্তা দিতে চাই, আসুন জেগে উঠি, তাদের পরাজিত করি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন।
তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা চুরি করেন তারপর দাবি করেন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। চাল, ডাল, তেল, লবণ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বচ্ছসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঘোষিত যুব রোডমার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত শুরু হয়। রোডমার্চটি রাজশাহী থেকে নওগাঁর শান্তাহারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাকে করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী এই রোডমার্চে অংশ নিচ্ছেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে এবং যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল যৌথভাবে সমাবেশ পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
১ বছর আগে
'হত্যার ষড়যন্ত্র': আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। রবিবার আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি।
ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলার দশম সাক্ষী হলেন সজীব ওয়াজেদ।
আরও পড়ুন: বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
২০১৫ সালের ৩ মার্চ পল্টন থানায় সজীব ওয়াজেদকে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে এ মামলা হয়।
মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শফিক রহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির সাংস্কৃতিক শাখা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। তারা সবাই পলাতক রয়ে গেছে।
পুলিশ ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে শফিক রহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০১৮ সালের ৬ মার্চ মামলায় সাংবাদিক শফিক রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ২০০৭ সালের নির্বাচনের আগে ‘৩০০ দলীয় ক্যাডার’ নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত: জয়
২ বছর আগে