ছাত্রদল নেতা আটক
শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায়: আদালত চত্বরে বিক্ষোভ, ছাত্রদল নেতা আটক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলার রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে বিক্ষোভের দায়ে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে চন্দনসহ দুজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
আটককৃত চন্দন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।অপর ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায় ঘোষণার পরে কোর্ট চত্বরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা করছিল। এ সময় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি চন্দনকে আটক করা হয়েছে। আটক চন্দনের নামে সাতক্ষীরা সদর থানা ও কলারোয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসময় আরও কয়েকজনকে আটক করা হলেও যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকিদের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
ঢাকা বিমানবন্দরে ৮২ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে
সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে বহনকারী একটি গাড়িবহর মঙ্গলবার হামলার শিকার হয়। সেসময় ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের পক্ষে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
তবে এ ঘটনায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ, ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম ও শাহেদ আহমদ।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদির লুনা বিকালে জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালবাজারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার গাড়িতে উঠলে ছাত্রলীগের একটি দল এ হামলা চালায় বলে স্থানীয় বিএনপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।
হামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিসবাহও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তারা।
হামলার পরপরই বিএনপির এই নেতার গাড়িবহর তাকে নিয়ে তাজপুর বাজারের উদ্দেশে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এখানেই তিনি আসন্ন সমাবেশের জন্য লিফলেট বিতরণ করছিলেন।
সেখান থেকে তিনি দয়ামীর বাজারে যান এবং সেখানেই পুলিশ তার সঙ্গে প্রচারণা চালাতে থাকা তিন ছাত্রদল নেতাকে আটক করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম হামলায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেন যে হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় এবং বিএনপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন নিশ্চিত করেন যে তারা গাড়িবহর হামলার সঙ্গে জড়িত তিন ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
ফখরুলের সঙ্গে কানাডা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, আলোচনায় নির্বাচন ও মানবাধিকার
১ বছর আগে