গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই: উপদেষ্টা
দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
শনিবার (১০ মে) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদদপ্তরে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক মামলার কারণে স্কুল পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের ফলে শিক্ষার মান কমছে। অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আউটসোর্সিং বাতিল
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, ‘শিক্ষকদের যথাযথ সম্মানী দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে যা যা করণীয় তা বর্তমান সরকার করে যাচ্ছে। শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। সরকারের দায়িত্ব আজকের শিশু-কিশোরদের প্রতিভার উন্মেষ ঘটিয়ে আগামীর জন্য প্রস্তুত করা, যা আমরা করে যাচ্ছি।’
২০৯ দিন আগে
১৮ মিলিয়নের শিক্ষা উদ্যোগ চালু করল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সবাই মিলে শিখি’ নামে পাঁচ বছর মেয়াদী ১৮ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্প চালু করেছে।
রবিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডি স্টিভেনস প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ শিক্ষার্থী নিহত
ইউএসএআইডি-এর পাঁচ-বছরের নতুন প্রকল্প প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য সহজে নাগালের জায়গাগুলোতে শেখার সুযোগ বৃদ্ধি করবে।
আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যে ইউএসএআইডি সবাই মিলে শিখি প্রকল্প শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নত করার মাধ্যমে সমস্ত যোগ্যতা সম্পন্ন করে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেবে। এবং শেখার বিশেষায়িত উপকরণ সরবরাহ করবে।
নতুন প্রকল্পটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে এমন কিছু অনন্য চ্যালেঞ্জ দূর করতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অভিভাবক, সম্প্রদায় এবং অ্যাডভোকেসি সংস্থাগুলোকে নিযুক্ত করবে।
কর্মসূচিটি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি কলঙ্ক কমাতে এবং বিশেষ চাহিদার শিশুদের তাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য নিজেদের অবস্থানে সহায়তা করতেও সচেষ্ট হবে।
ইউএসএআইডি মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেনস বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার মান উন্নত করা এবং কোনও শিশু তাদের শিক্ষাগত কাজে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করা মার্কিন সরকারের জন্য একটি অগ্রাধিকার।
স্টিভেনস বলেন, ‘এ কারণেই আমরা বাংলাদেশ সরকারের অংশীদারদের সঙ্গে এই নতুন প্রকল্পটি চালু করতে আগ্রহী কারণ আমরা সকল দক্ষতার স্তর এবং দক্ষতার শিশুদের তাদের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করতে আমাদের তুলে ধরা দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের চেষ্টা করি।’
ইউএসএআইডি ‘সবাই মিলে শিখি’ প্রকল্পটি রিসার্চ ট্রায়াঙ্গেল ইনস্টিটিউট ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা বাস্তবায়িত হয় এবং নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্প চালু করতে লক্ষ্যস্থিররকৃত উপজেলাগুলোতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: চবির মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ফটকে তালা লাগিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
১১১১ দিন আগে