ছাত্রীর আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার বিষপানে আত্মহত্যা করেন ওই শিক্ষার্থী।
আত্মহননকারী শিক্ষার্থীর নাম শ্রাবন্তী রানী(১৫)। সদর উপজেলার মোলানীপাড়া গ্রামের রমেশ চন্দ্রের মেয়ে তিনি।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা!
মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থী।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কামাল হোসেন জানান, শ্রাবন্তী পরীক্ষায় পাস করতে না পারায় তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বকাঝকা করে।
এরপর কীটনাশক খেয়ে শ্রাবন্তী আত্মহত্যা করেন বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
সিলেটে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
২ বছর আগে
প্রাইভেট না পড়ায় ফেল করানোর অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা
প্রাইভেট না পড়ায় গণিতে ফেল করিয়ে দেয়ায় বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে নগরীর নিজ বাসার বারান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
ওই ছাত্রীর নাম মালিয়া মারিয়া মৌলি (১৭)। তিনি নগরীর শের-ই-বাংলা সড়কের বায়তুল মিনা ভবনের বাসিন্দা মো. মোশারেফ হোসেনের মেয়ে।
মৌলির মা কোয়েল সাংবাদিকদের জানান, দুপুর ১টায় কলেজ থেকে মৌলি বাসায় আসে। এসময় সে তাকে জানিয়েছে, গণিত বিষয়ে সে ফেল করতে পারে না। তাকে ফেল করানো হয়েছে। এই জন্য তার মন ভালো নেই। মেজাজও খারাপ।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা!
এরপর সে নিজের কক্ষে প্রবেশ করে। তার কোন সাড়া না পেয়ে বারান্দায় গিয়ে মৌলিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মৌলির বাবা মোশারেফ হোসেন কলেজ শিক্ষক। তার সংগঠন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি বরিশালের সভাপতি অধ্যক্ষ মহসিন উল-ইসলাম হাবুল পরিবারের বরাতে জানান, কলেজের গণিত শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়েনি মৌলি। এই কারণে তাকে বর্ষ পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে ফেল করানো হয়েছে। বিষয়টি মৌলি শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছিলো। তখন শিক্ষক তাকে কোন কিছু বলেছে, যা মেনে নিতে পারেনি। তাই নিজেকে শেষ করে দিয়েছে।
এ অভিযোগ সম্পর্কে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আসাদ বলেন, প্রাইভেট না পড়ানোর জন্য ছাত্রীকে ফেল করিয়ে দেয়ায় আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। কিন্তু কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবুও আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি কেউ প্রাইভেট পড়ায় কিনা। কিন্তু কেউ প্রাইভেট পড়ায় না।
প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে লেখা হবে।
তিনি আরও জানান, ১৪ ও ১৬ নভেম্বর প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল কারও মনঃপুত না হলে তাদেরকে মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। এই সুযোগ দেয়ার পরেও এটা হওয়ার কথা নয়।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানিয়েছেন, খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। এছাড়া কোন অভিযোগ দিলে তা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলায় যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
‘বাড়ি বাঁচাতে না পেরে’ প্রেসক্লাবের সামনে নারীর আত্মহত্যাচেষ্টা
২ বছর আগে