রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশে ‘স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ’ প্রত্যাবাসে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) হাইকমিশনার গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ফোনালাপে ইউএনএইচসিআর প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তিনি যে 'অবিশ্বাস্য কাজ' হাতে নিয়েছেন তাও উল্লেখ করেন তিনি।
ইউএনএইচসিআর প্রধান নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের সাইডলাইনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন।
গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তিনি চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন।
আরও পড়ুন: ইউএনজি’র ৭৯তম অধিবেশন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য বড় সুযোগ: কুগেলম্যান
দুই নেতা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষের বিষয়সহ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপকব ইউনূস বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশুদের উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তুলতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সহায়তাও কামনা করেন।
২৭ আগস্ট শরণার্থীদের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের নতুন প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানায় ইউএনএইচসিআর। তিনি ধারাবাহিক আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা শেষ পর্যন্ত নিরাপদ, মর্যাদা এবং পূর্ণ অধিকারের সঙ্গে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে পারে।
ইউএনএইচসিআর-এর মতে, ২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের কমিউনিটিতে বাংলাদেশিসহ প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করেছিল। এই আবেদনটির আলোকে পর্যাপ্তভাবে অর্থায়ন করা হয়নি।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
ইউএনএইচসিআর বলছে, শরণার্থীদের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ ও সুরক্ষা প্রদানে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদার সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, সে দেশের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং অন্যান্য অংশীদারদের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে জোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি, মিয়ানমার বিষয়ে মহাসচিবের বিশেষ দূত, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এবং জাতিসংঘের ৬ উন্নয়ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে পৃথক চার বৈঠকে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশের বন্ধ সীমান্ত নীতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশে পালিয়ে এলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মানুষ তাদের মমতা দিয়ে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্রমেই রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন স্থানে কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে আর ক্যাম্পগুলো মানব পাচার, মাদক চোরাচালান, জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হওয়াসহ নানা অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের জীবন অতিষ্ঠপ্রায়।’
আরেকটি বৈঠকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে আলাপকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রায় ৭৫০ সদস্য বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বেশিরভাগকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদেরও ফেরত পাঠানো হবে। মিয়ানমারে বিবদমান গোষ্ঠির ছোঁড়া শেল বাংলাদেশে পড়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এসবের পুনরাবৃত্তি রোধ একান্ত প্রয়োজন বেলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি কোনো নতুন ঘটনা নয় এবং এটিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে ব্যবহারের অজুহাত তৈরির সুযোগ দেওয়া অনুচিত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসি দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘ক্রাইসিস, কনফ্লিক্টস অ্যান্ড ইন্টার-এজেন্সি কোলাবরেশন: নেক্সাস অ্যাপ্রোচ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। জাতিসংঘের ৬ সংস্থা- ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএস, ইউএন উইমেন প্রধান ও ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএফপির উপপ্রধান এতে অংশ নেন।
এ সময় বিশ্বে সংঘাত প্রভাবিত অঞ্চলগুলোতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগের সুবিধাগুলো তুলে ধরেন ড. হাছান মাহমুদ।
রাখাইন ও কক্সবাজারের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে উদ্বাস্তু সংকট নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নতির লক্ষ্যে জাতিসংঘের সব সংস্থা, তহবিল এবং কর্মসূচিকে সুসংহতভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকগুলোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন- জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ এ মুহিত, মন্ত্রণালয় ও মিশনের অন্যান্য সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ডব্লিউএফপি’র রেশন আংশিক বাড়ছে
৫ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকার আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে 'ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪' প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইওএমের মহাপরিচালক এমি পোপ আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করেন।
২০০০ সাল থেকে দুই বছর পর পর প্রকাশিত হওয়া এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠান এবারই প্রথম সংস্থাটির সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাইরে কোথাও আয়োজিত হলো।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনে নতুন অংশীদার খুঁজুন: আইওএমের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের 'ব্রিডিং গ্রাউন্ড' হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয় আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এই সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আইওএম বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।
প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ বলেন, ‘বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়।’
অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ধ্বনাত্মক দিক তুলে ধরে এমি পোপ বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে ইন্দোনেশিয়া ও আইওএমের সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাক্টিং হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন এবং বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রকাশনা অনুষ্ঠানস্থলেই পৃথক কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ।
বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করা ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকে আরও ছিলেন- প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালযয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাস্তুচ্যুতি হ্রাসে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান বাংলাদেশ সরকার, আইওএম ও সিভিএফ’র
৬ মাস আগে
মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের কাজ এখন খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এটি এখন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’
সোমবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অধ্যাপক পায়াম আখাভান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আখাভান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের নিযুক্ত আইনজীবী।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে।’
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যায় তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোনো ধরনের বিদ্রোহের জন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এই নীতিতে বিশ্বাস করে এবং ভবিষ্যতে কাউকে তা করতে দেবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা যুবকদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার জন্য সরকার ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে এবং এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, কিছু রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, রক্ষা করা হবে সার্বভৌমত্ব: প্রধানমন্ত্রী
ড. পায়াম আখাভান প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো নির্ভরশীল না হয়ে, বাংলাদেশ কপ-১৫ এর পর জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর সুরক্ষায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলাসহ বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
'জলবায়ু ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতে' রাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামতের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের আইনি উপস্থাপনের প্রস্তুতিতে সহায়তা করায় অধ্যাপক পায়াম আখাভানকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সংকট অবসানের পথ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য একটি অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে।’
এর আগে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজন আমাদের সংহতি। এ সবের জন্য আমাদের তহবিল বাড়াতে হবে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়।’ এটি স্বেচ্ছায় ও এমনভাবে করা দরকার যাতে তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা রক্ষা হয়।
দুজারিক বলেন, 'আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের দাবি পূরণ করে না। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের জন্য বৈশ্বিক সংহতি বাড়ানো দরকার, যেমন কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়। এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহাসচিব।’
৯ মাস আগে
‘মিয়ানমারে আমাদের নিজের ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন’
কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে বিশাল জনসমাগমের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাঈদা নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমরা আমাদের ভাষায় দাবি জানিয়ে আসছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্ণপাত করছে না। আমরা ইংরেজিতেও আমাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। তবুও তারা মনোযোগ দিচ্ছে না। আমরা হতাশ। আমরা শুধু ভুক্তভোগী নই, আমরা বেঁচে আছি এবং তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বলছি।’
তিনি বলেন, তিনি ২৫ আগস্টের দিনটি কখনোই ভুলতে পারবেন না এবং গত ৬ বছরে তারা তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে যেতে পারেননি।
অশ্রুসিক্ত সাঈদা বলেন, ‘ন্যায়বিচার বিলম্বিত হয়েছে, ন্যায়বিচার অস্বীকার করা হয়েছে। আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।’
তাদের সম্মিলিত দাবি- রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শক্তিশালী সমর্থন চায় বাংলাদেশ
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আগামী গ্রীষ্মের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও মর্যাদার নিশ্চয়তা, মিয়ানমারের অন্যান্য ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠীর মতো পূর্ণ অধিকারসহ নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধার।
বর্তমানে ১০ বছর বয়সী বনি আমিন ৬ বছর আগে মিয়ানমার থেকে দেশটির সামরিক জান্তার আক্রমণের সময় পরিবারের ৮ সদস্যের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছিল। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউএনবিকে এই শিশু বলেছে, ‘আমার মনে আছে কীভাবে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সামরিক বাহিনী আমাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছিল। আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাই।’
আজকের (শুক্রবার) সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, তারা মিয়ানমার সরকারের কাছে আবেদন করতে চান যেন তারা আগের মতোই মিয়ানমারে ফিরে যেতে ও সেখানে বসবাস করতে এবং নাগরিক হিসেবে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারেন।
তারা বলেন, মিয়ানমারের অর্থনীতি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
রোহিঙ্গারা তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করছে ঢাকা ও বেইজিং
রোহিঙ্গা যুবক মুসা বলেন, ‘আমাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সাহায্য করুন, ওটাই আমাদের দেশ। আমরা আর বাংলাদেশে থাকতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা এই দিনটিকে কেবল আমাদের অভিন্ন ট্র্যাজেডি মনে করিয়ে দেওয়ার নয়, বরং পদক্ষেপ নেওয়ার দিন হিসেবেও পালন করি। আসুন আমরা বেদনার ঊর্ধ্বে গিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচারের দাবি জানাই।’
মুসা আরও বলেন, ‘আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এমন একটি পথ সৃষ্টি করবে যে বিশ্বে এই ধরনের নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি হবে না। এর ফলে এখানে শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।’
পরিবারের সদস্যদের হারানো নূর জাহান ইউএনবিকে বলেন, তারা ন্যায়বিচার চান এবং মিয়ানমারে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তারা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: সেহেলী সাবরীন
তিনি বলেন, তারা মিয়ানমারে পূর্ণ নাগরিকত্বের অধিকার চান, যাতে তারা নিরাপদ বোধ করেন।
‘রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ দিবস’ উপলক্ষে রোহিঙ্গারা একত্রিত হয়েছেন। তারা বলেন, এই ট্র্যাজেডিতে তাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত, যা তাদের কষ্ট দিয়েই চলেছে।
প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা কয়েক ডজন সমাবেশে যোগ দেন, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমাবেশটি কুতুপালং ক্যাম্পে ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যেই প্রায় ১০ হাজার শরণার্থীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
তারা এই দুঃসময়ে হাত বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন, যাতে তারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ৬ বছর পরেও সরকার তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের দিকে মনোনিবেশ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যদিও কিছু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের বাংলাদেশে একীভূত করার জন্য চাপ দিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পর মিয়ানমারকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা (রোহিঙ্গারা) তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাবে, এটাই আমাদের অগ্রাধিকার। মিয়ানমারও তাদের ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান শুরু করে, যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধ। পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সরকার দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে এবং অন্যান্য দেশ থেকে আরও প্রচুর সংখ্যক জনসংখ্যার প্রয়োজন নেই।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা ১৯৭০, ৮০’ ও ৯০’ এর দশকে বাংলাদেশে এসেছিল। কিন্তু প্রতিবারই তারা ফিরে গিয়েছিল, এমনকি অতীতে সামরিক শাসনের সময়ও।
পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন বড় আকারের প্রত্যাবাসনের আগে সমস্যাগুলো বুঝতে সহায়তা করবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কারো বাধা সৃষ্টি করা উচিত হবে না।
তিনি বলেন, ‘বড় পরিসরে প্রত্যাবাসনের আগে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতেই এই পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন। নিয়মিত প্রত্যাবাসনের উদ্যোগকে চিহ্নিত সমস্যাগুলোর সমাধান আরও ভালোভাবে বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বলেননি যে তারা ফিরে যেতে চান না। বরং যখনই কোনো বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তি ক্যাম্পে তাদের সঙ্গে দেখা করেন তখনই তারা দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, নিশ্চিতভাবেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অস্ত্র ও মাদক পাচারের ঘটনা ক্যাম্পে বেড়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষ সদস্যও নিহত ও আহত হয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য কীভাবে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ভাসানচরকে ‘একটি ভাসমান দ্বীপ’ বলে বর্ণনা করেছিল তা স্মরণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। যতদিন তারা বাংলাদেশে থাকবে ততদিন আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকব।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার সমাধান খুঁজতে মানবিক সাড়া ও রাজনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার জন্য নতুন করে অঙ্গীকারের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
ইউএনএইচসিআর বলেছে, মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন এই সংকটের প্রাথমিক সমাধান। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আমাদের বারবার বলেছে, স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিরাপদ হলেই কেবল তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়।
সংস্থাটি আরও বলেছে, সম্মিলিত লক্ষ্য হওয়া উচিৎ রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা। যেন, তারা তাদের জন্মস্থান বা পছন্দের জায়গায় অবাধে চলাফেরা করতে পারে এবং তাদের জীবন পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি, নাগরিকত্বের জন্য ব্যবস্থা, পরিষেবা এবং আয়ের সুযোগ পায়।
১ বছর আগে
ঢাকায় চীনা বিশেষ দূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত
এশীয় বিষয়ক চীনের বিশেষ দূত দেং সিজুন ঢাকায় দুটি পৃথক বৈঠক করেছেন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি তার দ্বিতীয় সফর এবং তিনি সোমবার (৩১ জুলাই) ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন।
এবার বাংলাদেশে আসার আগে চীনের বিশেষ দূত মিয়ানমার সফর করেছেন। মঙ্গলবার তার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা বা স্বয়ং পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এখন পর্যন্ত জিজুনের সফর সম্পর্কে কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন: ঝিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবির নেই, বিদেশি গণমাধ্যমসহ সবার জন্য উন্মুক্ত: চীন
এপ্রিলের শুরুতে চীনের বিশেষ দূতের সঙ্গে বৈঠকের পর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে শুরু করবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তার আশা পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে অনেকেই কাজ করছেন। ‘আমার বলা উচিত তারা (চীন) একটি খুব ভাল উদ্যোগ নিয়েছে এবং তারা সেই অনুযায়ী কাজ করছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য অতীতে দুবার চেষ্টা করা হলেও দুটিই ব্যর্থ হয়েছে।
মোমেন বলেন, চীনা পক্ষ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার সুযোগ দেয় এবং আশা প্রকাশ করে যে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন: চীনের ঝিনজিয়াংয়ে 'বন্দিশিবিরের' দাবি ভিত্তিহীন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলকে অঞ্চলটির বৃহত্তম মসজিদের ইমাম
ঢাকা-বেইজিং কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করছে ঢাকা ও বেইজিং
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের চলমান প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসনে আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
মোমেন এবং চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডন সম্মত হয়েছেন যে সমস্যার একটি জরুরি সমাধান প্রয়োজন, কারণ যদি আর কোনো সমাধান না করা হয়, তাহলে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বাস্তব হুমকি হিসেবে বিকশিত হতে পারে।
রবিবার মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় চীনের উল্লেখযোগ্য অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন: মোমেন
তিনি দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোমেন ২৭ মে ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য সানকে অভিনন্দন জানান।
দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও সভ্যতার সম্পর্ক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫০-এর দশকে চীন সফর এবং তিনি যা দেখেছিলেন তার ওপর তিনি যে বইটি লিখেছিলেন তার কথা উল্লেখ করেন।
বৃহৎ পদ্মা বহুমুখী সেতুর জন্য তার প্রশংসা করে সান উল্লেখ করেন যে এই কাঠামোটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি নতুন প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়েছে এবং পর্যবেক্ষণ করেছেন যে দুটি দেশ বৃহত্তর এবং আরও ভাল সমন্বয়ের মাধ্যমে বিস্ময়কর কাজ করতে পারে।
মোমেন উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশে চীনা এফডিআইয়ের বৃহত্তর প্রবাহের আমন্ত্রণ জানান এবং উৎসাহিত করেন।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন চীন যে সহায়তা দিয়েছিল তা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সংক্ষিপ্ত বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন।
চীনে ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত প্রবেশের সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করার সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ যাতে এই ব্যবস্থা থেকে সর্বোত্তম সুবিধা পেতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় সম্মত হওয়া প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন তিনি।
সান বাংলাদেশের উদ্যমী যুব জনগোষ্ঠীর প্রশংসা করেন যারা সমাজ ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের দশম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ এই মহাপরিকল্পনা থেকে সর্বাধিক সুফল পাবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: মোমেন
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম।
শনিবার সুইডেনের স্টকহোমে দ্বিতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে এ কথা জানান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদ এবং বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহাবিব।
যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন।
লর্ড আহমদ এসময় আশ্বাস দেন যে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখবে এবং দেশটি রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সক্রিয় থাকবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন শনিবার বলেছেন যে চীন, একটি দায়িত্বশীল প্রধান দেশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় এক বন্ধু একবার আমাকে আন্তরিকভাবে বলেছিলেন যে অনেক লোক মুখে মুখে সাহায্যের কথা বলে, তবে কেবল চীন প্রত্যাবাসনকে তরান্বিত করতে বাস্তবিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে কসমস ডায়ালগ অ্যাম্বাসেডরস’ লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ (বাংলাদেশ-চায়না রিলেশনস: প্রগ্নসিস ফর দ্য ফিউচার)-শীর্ষক এক সিম্পোজিয়ামে মূল বক্তব্য দেওয়ার সময় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রাক্তন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
পুনর্বাসনের প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার ২০ জন রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের রাখাইন পরিদর্শন করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ১৫টি গ্রাম ও অন্যান্য অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, প্রতিনিধি দলের নেতাও বলেছেন, ‘আমরা মংডু শহরের চারপাশে তাদের জন্য করা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে ২০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ফিরে এসেছি। প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছা দেখেছি। আমরা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু একটি মানবিক ট্র্যাজেডি এবং এটি আর কখনোই হওয়া উচিত নয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে, কারণ তিনি বাংলাদেশের মাটিতে এই রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশ বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের উচিত নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১ বছর আগে