৫ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে নিউ নূপুর পরিবহনের বাসের হেলপার সাদ্দাম হোসেন (২১) হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ আসামির যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন পাওয়া পাঁচজন হলেন- ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মো. জনি মোল্যা (৩০), একই এলাকার মেহেদী আবু কাওসার (২৫), শহরের গোয়ালচামট এলাকার মো. রবিন মোল্যা (২৫), রথখোলা এলাকার রাজেস রবিদাস (৩০) ও জেলার সালথা উপজেলার রসুলপুর এলাকার সাজ্জাদ হোসেন মাতুব্বর (৩০)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তা এলাকায় নিউ নূপুর পরিবহনের একটি বাসের মধ্যে থেকে সাদ্দাম শেখের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।’
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৩ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ইমন (৬) নামে এক শিশুকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তরুণীকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-বেলকুচি উপজেলার চক মকিমপুর গ্রামের সোহেল (২৮), কাউছার (৩০), হীরন (৩২), আল-আমিন (৪০) ও ওসমান (৩৮)।
সেইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি আলহাজ ও গোলামকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
উক্ত আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজ করনী লকেট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বেলকুচি উপজেলার চর মকিমপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. চাঁন মিয়া ও মোছা. মমতা খাতুনের শিশু সন্তান ইমন ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের সাত দিন পর ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একই উপজেলার মাইঝাইল গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে শিশু ইমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুটির চাচা সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে বেলকুচি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত চলাকালে আসামি আল-আমিন ও মো. ওসমান জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্ত শেষে সাত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ বছর আগে