অংশীদারী চুক্তি
বাংলাদেশ-ইইউ ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহী
বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে একটি ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কারণ এর জন্য ব্যাপক আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন রয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা এই ধরনের ব্যবস্থার বিষয়ে দুই পক্ষের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রথম ‘রাজনৈতিক সংলাপের’ মাঝামাঝি সময়ে তারা যৌথভাবে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান এবং বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতির সহযোগিতা জোরদারে উভয় পক্ষ প্রথমবারের মতো উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মিলিত হয়েছেন।
সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা।
সংলাপে শান্তি বিনির্মাণ, সংঘাত প্রতিরোধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউক্রেন ইস্যু, সংযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো উভয়ের স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের অক্টোবরে, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করার সময় উভয় পক্ষ রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে সম্মত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতি এবং নতুন আত্মবিশ্বাসকে স্বীকার করেছে ইইউ। ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর আলোকপাতসহ উভয়ের স্বার্থের ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহী।
আরও পড়ুন: ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি পাবে বাংলাদেশ
১ বছর আগে