অজুহাত
ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাও
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাছ, মুরগি, মাংস, আলু, কাঁচা মরিচের দামের পাশাপাশি বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম।
মসলার দাম বাড়ার জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের ওঠানামাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ও স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বর্তমানে জিরা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়, যা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ছিল ৫৭০ থেকে ৬৫০ টাকা। আর এলাচের সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা হয়েছে। প্রিমিয়াম মানের এলাচ যা আগে ৩ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি হতো, তা এখন প্রতি কেজি ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদ: চট্টগ্রামে মসলার বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি রসুন ২২০ থেকে ২৭০ টাকা, আদা ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা, শুকনো লাল মরিচ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের মসলার খুচরা বিক্রেতা সৌরভ সাহা শুক্রবার ইউএনবিকে বলেন, ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে সাধারণত মসলা পণ্যের দাম বাড়ানো হয়, তবে এবার দাম বেড়েছে ডলারের দাম সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বেড়ে যাওয়ায়।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি ব্যয় বেশি দাবি করে পাইকাররা প্রতি সপ্তাহে মসলার দাম বাড়াচ্ছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশে সাধারণত মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়, তাই এই বৈদেশিক মুদ্রার যেকোনো উত্থান-পতন ভোগ্যপণ্যের দামকে প্রভাবিত করে।
এছাড়া পাইকারি বাজারে গোল মরিচের দাম ১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। কাজু বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, যা আগে ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা, আর ছোলা ১০২ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের চাঁদপুর ট্রেডার্সের রমজান আলী পুরান ঢাকার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা মৌলভীবাজার থেকে সপ্তাহে দুবার মসলা সংগ্রহ করেন। তিনিও সম্প্রতি দাম বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'মাত্র ২ সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি জিরা ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকায় কিনেছিলাম, কিন্তু এখন ৭০০ টাকা দিতে হচ্ছে। যদিও ডলারের নতুন হার কার্যকর হওয়ার আগেই এসব মসলা আমদানি করা হয়েছিল।’ এটি একটি সিন্ডিকেটের কাজ বলে মনে হচ্ছে- এমন দাবিও করেন এই ব্যবসায়ী।
অপর এক দোকানের এক কর্মচারী বলেন, মাত্র ৬ মাস আগেও প্রতি কেজি এলাচের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্পষ্টতই, একটি সিন্ডিকেট মসলার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
পুরনা ঢাকার মৌলভীবাজার পাইকারি বাজারের এক পাইকারি বিক্রেতা মুঠোফোনে ইউএনবিকে বলেন, ডলারের বর্ধিত দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
চলতি মাসের শুরু থেকেই ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীতে প্রতি ডজন ডিম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসে প্রতি ডজনে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
বিশেষ মানের ফার্মের ডিমের দাম প্রতি ডজন ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
গত দুই সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে এবং আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি (দেশি) মুরগি প্রতি কেজি ৬৭০ থেকে ৭৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও বাচ্চার দাম বাড়ায় বেড়েছে মুরগির দাম। এছাড়া চলমান তাপপ্রবাহে মুরগির খামারেও প্রভাব পড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামেও।
মান ভেদে শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ৩০ টাকা বেড়েছে। মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকায়, যা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে প্রতি কেজি ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
রুই ও কার্প জাতীয় মাছ কেজি আকার ও মান অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার নদীর ছোট মাছসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখীতায় স্থিতিশীল রয়েছে। দাম বাড়ার জন্য মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন, ঢেঁড়স, সজিনা ডাটা, বরবটি শিম, করলাসহ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ, চাল কুমড়া, ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাল, গম, আটা, দুধ, সয়াবিন, সুগন্ধি চাল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত মজুদ, তবুও ঈদের আগে মসলার বাজারে উত্তাপ
৫ মাস আগে
নাট্যকারদের মধ্যে একাত্মতাবোধ নেই: বিদ্যুৎ রায়
তরুণ নাট্যকার বিদ্যুৎ রায়। প্রায় দুই শতাধিক নাটক তার রচনায় প্রচার হলেও এই মানুষ আড়ালেই রয়ে গেছেন। ক্যামেরার পেছনে যারা থাকেন তারা লাইমলাইটের বাইরেইথেকে যান সাধারণত। গ্ল্যামার দুনিয়ার চাকচিক্যের ভিড়ে এই পেছনের মানুষেরা শুধু পেছনেই থেকে যান।
বিদ্যুৎ রায়ের মাথায় নাটকের পোকা ঢুকে প্রয়াত নাট্যজন ড. ইনামুল হকের পরামর্শে। যুক্ত হোন ‘নাগরিক নাট্যাঙ্গন’ দলে। সেই থেকেই শুরু। দলটির ‘সেইসব দিনগুলি’ নাটক দিয়ে প্রথমবার মঞ্চে উঠেন বিদ্যুৎ। এরপর পথটা আরও প্রসারিত হতে থাকে। এক সময় প্রয়াত অভিনেতা দিলীপ চক্রবর্তীর হাত ধরে তিনি স্বনামধন্য নাটকের দল ‘দেশনাটক’ এর সঙ্গে যুক্ত হন।
থিয়েটার চর্চার সঙ্গে টিভি নাটক লেখা শুরু করেন বিদ্যুৎ রায়। তার লেখায় উঠে আসে বাস্তব জীবনের চিত্র। আবার কখনও লেখেন দর্শককে আনন্দ দিতে। তবে অনেকদিন ধরেই টিভি নাটকের বাজেট নিয়ে সংকট চলছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ নাটকের চিত্রনাট্যকার পরিচালকরা নিজেই। এমন অবস্থায় শুধু নাট্যকার হিসেবে ক্যারিয়ারকে কীভাবে দেখছেন এই তরুণ নাট্যকার।
আরও পড়ুন: বাপ্পার সংগীতায়োজনে ফিরলেন দেবাশীষ সমদ্দার
এ প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বিদ্যুৎ বলেন, ‘নাটক লেখা যাদের একমাত্র পেশা তাদের জন্য সারভাইভ করাটা কঠিন। সবার ক্ষেত্রে না হলেও বেশির ভাগের ক্ষেত্রে এটাই সত্য। কারণ আমরা মুখে যতোই প্রফেসনালিজমের কথা বলি না কেন, সত্যিকার অর্থে ততোটা প্রফেশনাল আমরা হতে পারিনি এখনও। সততার ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে অনেক।’
তিনি বলেন, ‘প্রচুর নাটক হচ্ছে, প্রচুর নাটক লেখার সুযোগও আছে, কিন্তু নাট্যকারের পারিশ্রমিক দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই অনিহা লক্ষ্য করা যায়। একটা নাটক তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রথম ইনভেস্টমেন্ট হয় নাট্যকারের গল্প বা চিত্রনাট্য লেখার মাধ্যমে, ‘কিন্তু সব শেষে দেখা যায় তার সম্মানিটা বাকি থেকে যায় বিভিন্ন অজুহাতে। আর সম্মানির পরিমাণটাও তুলনামূলক ভীষণ অল্প। আমরা এই কালচার থেকে এখনও পুরোপুরি বের হতে পারিনি। আবার বেশিরভাগ সময় দুই লাখ টাকা বাজেটের নাটকে নাট্যকারের যে সম্মানি নির্ধারণ করা হয়, নাটকের মূল বাজেট দশ লাখে পৌঁছালেও নাট্যকারের বাজেট একই থাকে। অথচ বড় বাজেটের নাটক লিখতে নাট্যকারের কমপক্ষে কয়েকগুন বেশি মেধা খাটাতে হয়, শ্রম দিতে হয়।’
বিদ্যুৎ আরও বলেন, ‘তবে এই দায় শুধু পরিচালক বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের উপর চাপানো ঠিক হবে না। এর জন্য তাদের সঙ্গে সঙ্গে নাট্যকাররাও সমানভাবে দায়ী। এর কারণ হচ্ছে, নাট্যকারদের সবার মাঝে একাত্মতা না থাকা। ফলে একটা নাটকে নাট্যকারের সম্মানি যেটা হওয়া উচিত, সেটা চাওয়া হলে, অপর কোনো নাট্যকার সেটা তিন ভাগের এক ভাগ টাকায় করতে রাজি হয়ে যায়। এই সুযোগটাই পরিচালক বা প্রযোজক নিয়ে থাকেন এবং যে কারণে বড় বাজেটের নাটকেও নাট্যকারের বাজেট থাকে তলানিতে। তবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ভালো পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে, যারা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন এবং তাদের কাছে নাট্যকাররা কখনো প্রতারিত হন না। তবে আশা রাখি, একটা সময় এই অন্ধকার দূর হয়ে যাবে। নাট্যকাররা তাদের সঠিক সম্মানি ও সম্মান পাবে। আর নাটক লিখেই জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হবে না।’
বিদ্যুৎ রায়ের উল্লেখযোগ্য একক নাটকগুলো সিগন্যাল, টাইমল্যাপস, লক্ষ্মীসোনা, চিৎকার, বাঁচি তোমার খেয়ালে, ভালোবাসার মায়াজাল, সানাই, গ্রামের বন্ধু, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন, সুমি তুমি কোথায়, দায়িত্ববোধ ইত্যাদি।
ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে লতিফ ভাইরাস, পণ্ডিতের আখড়া, ফ্যামিলি প্রবলেম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সামনে প্রচারের অপেক্ষায় লেগুনাপ্রেম, হকারের সংসার, হুইল চেয়ার, অনুভবে তুমি, চোরের সুন্দরী বউ, চাকরের ছেলে, আমি কোটিপতি হবই, মিনি ধারাবাহিক সোনার সংসার, মোরগলড়াইসহ আরও অনেক।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় জন্ম বিদ্যুৎ রায়ের। লেখালেখির আগ্রহ তৈরি হয় শৈশবে। বেড়ে উঠেছেন সংস্কৃতমনা পরিবারে। নাট্যকার হয়ে উঠার প্রথম অনুপ্রেরণা পান বাবার কাছ থেকে। যা তাকে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সবচেয়ে সাহস যুগিয়েছে।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেল: একজন প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী
৯ মাস আগে
নানা অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে: জিএম কাদের
নানা অজুহাত দিয়ে দ্রব্যমূল্য একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার সম্পূর্ণভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। নানান অজুহাত দিয়ে দাম একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে: জিএম কাদের
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দাম যেটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে আমি মনে করি এটা কখনই সফল হওয়া সম্ভব নয়। দাম বেঁধে দেওয়ার একটা নিয়ম ছিল। কতটুকু দাম যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। হিসাব নিকাশ করে সেটা জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, যৌক্তিকতার বাইরে কেউ নিলে একটা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হয়। সহনীয় যেটাকে বলা হবে তা যুক্তিসঙ্গত দাম। সেটার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যথেষ্ট ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়, ডাটা নিতে হয়, ইভেন চাহিদা ও যোগানের ওপর তা নির্ধারণ হয়। যদি সেটা ঠিক না থাকে, তাহলে আমি যতই চাপাচাপি করি এটা স্বাভাবিকভাবে ঠিক হবে না।
জিএম কাদের বলেন, সিন্ডিকেট সরকারকে কোনো পাত্তা দিচ্ছে না বলে আমি মনে করি। যেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কথা, সরকারের কিছু দায়িত্ব থাকে। সেসব জায়গায় তারা সঠিকভাবে কিছু করছে এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমরা পাই না। সে কারণে দ্রব্যমূল্য সরকার যাই বেঁধে দিয়ে থাকুক, বাজারে এর চেয়ে মূল্য বেশি।
তিনি বলেন, কৃষকরা অনেক সময় কম দামে দিচ্ছে শহরে তা অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, যেটা করা হচ্ছে অযৌক্তিকভাবে। তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনোরকম কোনো বন্দোবস্ত বা পদক্ষেপ জনগণের চোখে পড়ছে না। দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আছে। এটা একটা দুর্বিসহ অবস্থা।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত চিন্তা করছি ৩০০ আসনে করব। ভবিষ্যতে কী করব, ভবিষ্যতের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা হবে। যেহেতু এখনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক অস্থিতিশীল, অনিশ্চিত, অস্বচ্ছ। সবকিছু জেনে বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সবাই আমার মনে হয় এই অনিশ্চয়তার দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার এক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে, সরকারের বিপক্ষ আরেক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কোনো পদ্ধতিতে আসলে নির্বাচন হবে সেটাই আমরা জানি না। নির্বাচন সঠিক পথে সঠিক সময়ে হবে কিনা, এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে অনেক কানাঘুষা আছে সন্দেহ আছে, আশংকা আছে।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমরা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না সঠিকভাবে। শেষ পর্যন্ত কে লড়বেন আর কে থাকবেন সেটাও অনিশ্চিত। রংপুর-৩ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
১ বছর আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুধুমাত্র পাকিস্তানে আছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যে জিততে পারবে না তা বুঝতে পেরেছে, আর সে কারণেই তারা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার অজুহাত দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত করতে চাই। এছাড়া তারা ২০১৪ সালের মতো তাণ্ডব ঘটানোর সুযোগ পাবে না। তারা চেষ্টা করলে দেশবাসী তাদের সমুদ্রে ফেলে দেবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ চায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুধুমাত্র পাকিস্তানে বিদ্যমান।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, বিএনপি পাকিস্তানকে অনুসরণ করতে চায়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া হবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো।’
আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ৫০০ ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সব আসনে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইভিএম কেনার জন্য প্রায় এক মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প প্রস্তাব করেছে। যাইহোক, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমরা প্রকল্পে অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে হওয়ায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সরকার কোনো ওসি, ইউএনও বা কনস্টেবলকে বদলি করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতায় অজুহাতের জায়গা নেই: ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকরা
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকরা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বন্ধের প্রচারে যোগ দিয়েছেন। তারা এক্ষেত্রে অজুহাতের কোনো জায়গা নেই বলে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন বলেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ক্ষেত্রে অজুহাতের কোনো জায়গা নেই এবং প্রত্যেকেরই এর বিরুদ্ধে কাজ করার দায়িত্ব রয়েছে।
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, 'পুরুষ ও ছেলে, ছেলে ও বাবা; আসুন আমরা এক হয়ে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করি।'
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাকে 'না' বলে বিশ্বজুড়ে সবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।ইউরোপীয় কমিশন অনুযায়ী, নারীর প্রতি সহিংসতাকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং নারীর প্রতি বৈষম্যের একটি রূপ হিসাবে বোঝানো হয়। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা যেসব ক্ষেত্রে সংঘটিত হতে পারে- শারীরিক ক্ষতি, যৌন ক্ষতি, মানসিক ক্ষতি, নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষতি বা ভোগান্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ইরানের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানি সম্পর্ক জোরদারের আলোচনা
বাংলাদেশ-ইইউ ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহী
ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি পাবে বাংলাদেশ
১ বছর আগে