শক্তিশালী ভূমিকা
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে স্থিতিস্থাপক সমাজ গড়ে তুলতে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে স্থিতিস্থাপক সমাজ গড়ে তুলতে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ কারণে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ও সম্মিলিত পদক্ষেপ আরও স্থিতিস্থাপক ও টেকসই বিশ্ব বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য মূল স্টেকহোল্ডার হিসেবে নারীদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর পার্লামেন্ট ক্লাব মিলনায়তনে সার্ক বিজনেস কাউন্সিল অব উইমেনস ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত অবক্ষয়- নারীর উপর প্রভাব এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা এখন বাংলাদেশের কাছ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার কৌশল শিখতে আগ্রহী। যাইহোক, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়।
তিনি আরও বলেন, এর জন্য সঠিক গবেষণা প্রয়োজন। সর্বোপরি বেসরকারি খাতসহ সবাইকে নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
সেমিনারটি ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে যেখানে নীতিনির্ধারক, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, নারী নেত্রী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুস্থভাবে বাঁচতে ক্ষতিকর প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক আগামীতে তথ্য প্রযুক্তিখাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বক্তারা।
রবিবার তথ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে 'চতুর্থ শিল্প বিপ্লবঃ বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, তথ্য প্রযুক্তিখাতে নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে নবীন উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে এখাতে সৃষ্ট সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন আসক্তি দূর করতে গুগলের নতুন ৩ অ্যাপ
কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য অধিদপ্তরের ইনোভেশন টিম লিডার ও সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল।
তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র তথ্য অফিসার এ. এইচ. এম. মাসুম বিল্লাহর সঞ্চালনায় কর্মশালায় শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মহাব্যবস্থাপক মেজর অবসরপ্রাপ্ত এম ইউ সিকদার, আইটি ইঞ্জিনিয়ার শুকলাল কুমার, কেনার হাটের কো-ফাউন্ডার মো. নাহিদুল ইসলাম, টেকনোসফট গ্লোবাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজালাল, শিখো টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোঃ বেনজির আলম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল বলেন, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক দেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সূতিকাগার। দেশ-বিদেশের আইটি শিল্প উদ্যোক্তারা এখানে নতুন বিনিয়োগের চিন্তা নিয়ে এগিয়ে আসবেন।
এ পার্ক রাজধানী ঢাকার বাইরে যশোরে আইটি খাতে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। এই সফটওয়্যার পার্কের সুবিধা নিয়ে স্টার্ট আপের মাধ্যমে নতুন নতুন আইডিয়া বেরিয়ে আসবে। এখান থেকেই সফল নতুন ব্যবসার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি ই-কমার্স প্লাটফর্মে যশোরের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিপণনের জন্য উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: নীরব ঘাতক স্মার্টফোন!
পার্কের মহাব্যবস্থাপক মেজর অবসরপ্রাপ্ত এম ইউ সিকদার বলেন, সরকার যশোরকে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি আইটিখাতে উদ্যোক্তা তৈরিতে এই বিশেষায়িত পার্ক স্থাপন করেছে।
বর্তমানে এ পার্কে ৫৪ জন বিনিয়োগকারী রয়েছেন। তারা মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, স্টার্ট আপ ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, কল সেন্টার খাতে বিনিয়োগ করেছেন বলে তিনি জানান।
কর্মশালায় উদ্যোক্তারা জানান, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে উদ্যোক্তারা কম খরচে নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন। এখানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। ফলে বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠান এই পার্কে বিশাল পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আইটিখাতের স্টার্ট-আপদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে অফিস পরিচালনার সহায়তা দেয়ায় তারা সরকারের প্রশংসা করেন।
তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য সহজ শর্তে ফাইন্যান্সিং সুবিধা প্রদান এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে অভিজ্ঞতার শর্ত শিথিল করার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, যশোর শহরের নাজির শঙ্করপুর এলাকায় ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ একর জমির ওপর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হয়। কর্মশালা শেষে তথ্য অধিদপ্তরের ইনোভেশন টিমের সদস্যরা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি দূর করতে সফটওয়্যার আনছে অ্যাপল
২ বছর আগে