অপতৎপরতা
অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতার জবাব দিতে ৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাটে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘আজকে বিএনপি কোনো প্রার্থী ও নামী কোনো নেতাকে হত্যার জন্য কিলিং এজেন্ট তৈরি করছে। লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে। তারেক রহমানের সাহস নেই, থাকলে দেশে আসুক।’
আরও পড়ুন: এখন ব্যবস্থা না নেওয়া গেলেও নির্বাচনের পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: কাদের
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যার কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে এবং সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের আদর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অস্ত্রবাজি, গোলাবাজিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের অস্ত্র জনগণ।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হবেন।
কাদের বলেন, ‘বিদেশি শক্তি নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিলে আমরা শুনব, কিন্তু বিএনপির সুরে উসকানি দিলে মেনে নিব না।’
তিনি বলেন, বরিশালে শেখ হাসিনার জনসভা এটাই প্রমাণ করে- এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। এই নির্বাচন বাধা দিয়ে ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে: কাদের
নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
১০ মাস আগে
নির্বাচন নিয়ে অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে: তোফায়েল
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র চলবে, সেগুলো সম্পর্কে সর্তক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। ভোক্তারা যাতে কোনোভাবে প্রতারিত না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলায় পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আছে। গ্যাসভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। আর ভোলা বরিশাল ব্রিজ হলে ভোলা হবে শিল্প নগরী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
১ বছর আগে
অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যদি জনগণের জীবনযাত্রার ব্যত্যয় সৃষ্টি করে, ঢাকা শহরে ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, আমরা জানি ঢাকা শহরে আগুন সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে আছে, ঘাপটি মেরে বসে আছে। সভা উপলক্ষে তারা ধীরে ধীরে আবার বের হওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপির যে সমস্ত নেতা বড় গলায় কথা বলছেন, তারা এই অগ্নিসন্ত্রাসের অর্থদাতা, মদদদাতা, হুকুমদাতা। প্রয়োজনে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
রবিবার রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে বিএনপি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার বিএনপি কুমিল্লায় সমাবেশ করেছে। আপনারা হয়তো জানেন, শতাধিক গরু জবাই করে তারা একটি বড় পিকনিক করেছে কুমিল্লায়। পিকনিকের আয়োজন এমন যে, আগের রাত্রে অনেক মানুষ ছিলো পরের দিন অনেকেই চলে গেছে। কুমিল্লার জনসভায় মির্জা ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলেছেন, তিনি এই কথাও বলেছেন যে, সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছে কিন্তু তারা না কি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সরকার কাউকে জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার এবং গন্ডগোল করার সুযোগ দিতে পারে না। সৎ উদ্দেশ্যেই সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি একটি হীন ও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সভা করতে চায়। নয়াপল্টনের সামনে কোনো মাঠ নেই, সেটি ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বড় রাস্তা। সেই রাস্তা বন্ধ করে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কেন তারা সেখানে সভা করতে চায়!
তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, এরপরও মির্জা ফখরুল সাহেব অসৎ উদ্দেশ্যে এই সমস্ত কথাবার্তা বলছেন।
তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে ৬ প্রস্তাব
এর আগে সিরডাপ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ) এনজিও আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অঙ্গীকার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী।
ধুমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্তি, বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন বন্ধ, তামাকজাত কোম্পানির সিএসআর বন্ধ, তামাকপণ্য প্যাকেটে সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি, খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ ও ই-সিগারেট ও হিটেড তামাকপণ্য নিষিদ্ধ করা-ডরপ উত্থাপিত এই ছয়টি প্রস্তাব সেমিনারে আলোচিত হয়।
আজীবন অধুমপায়ী ড. হাছান বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন পরিমার্জন করে সময়োপযোগী করার উদ্যোগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান। প্রস্তাবনাগুলো পরিমার্জিত আইনের খসড়ায় অন্তর্ভূক্তির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রদানের পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী।
ডরপ প্রেসিডেন্ট মো. আজাহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপ-নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সমন্বয়ক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, বাংলাদেশ এর গ্র্যান্টস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিঞা প্রমুখ। সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বিড়ি শ্রমিক ও যুব ফোরামের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে