আ.লীগের নির্বাচনী স্লোগান
স্মার্ট বাংলাদেশ: আ.লীগের নির্বাচনী স্লোগান প্রকাশ করলেন কাদের
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মতে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের উন্নয়নের ধারাকে স্লোগান হিসেবে তুলে ধরবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যা ভবিষ্যতে এর পরবর্তী ধাপকে মূল্যায়ণ করবে।
কাদের বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ করেছি। আমাদের চার লেনের মহাসড়ক, ছয় লেনের মহাসড়ক, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট রয়েছে। এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ' অর্জন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের জন্য স্লোগান নির্ধারণ করেছেন এবং তার শাসনামলে এটিই হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মূল স্লোগান।’
শনিবার অপরাজেয় বাংলা স্মৃতিস্তম্ভের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের বিকল্প নেই: সেতুমন্ত্রী
ছাত্রলীগের কাউন্সিল সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ছাত্রলীগের বার্ষিক কাউন্সিলের পর কেন্দ্রীয় ইউনিট, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কমিটি একত্রে ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও বিএনপির মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে আমরা ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের বার্ষিক কাউন্সিল পুনর্নির্ধারণ করেছি। ছাত্রলীগ তাদের (বিএনপিকে) কিছুই করবে না।’
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আমরা তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তাদের পছন্দ হয়নি। তারা পল্টন পছন্দ করে, কারণ তারা সেখানে তাদের বাঁশ-লাঠি মজুদ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বেশি নিরাপদ মনে করে।’
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত জায়গা কিন্তু ফখরুলের পছন্দ নয়, কারণ এটা স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে খাঁচা বলে সম্বোধন করেন ফখরুল।
তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে আগের নির্বাচনের সময় কেন খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন?
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ পল্টনকে ভয় পায় না, আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের সহিংসতাকে ভয় পায়।
কাদের আরও বলেন, ‘তারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে আমরা শুধু দেখব না। আমরা তাদের সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘তারা যা কিছুই করুক, সংবিধান পরিবর্তন হবে না। এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারও গঠিত হবে না কারণ আইনত তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাস স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাস।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
১ বছর আগে