বিএমসিসিআই
বিএমসিসিআইয়ের সভাপতি সাব্বির খান, মহাসচিব মোতাহার খান
খান অ্যান্ড দ্বীন ট্রেডার্সের প্রধান নির্বাহী সাব্বির এ খান এবং বেঙ্গল টেকনোলজিক্যাল কর্পোরেশন লিমিটেডের পরিচালক মো. মোতাহার হোসেন খান ২০২৪-২০২৫ এর জন্য যথাক্রমে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা শেরাটনে বিএমসিসিআইয়ের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচন কমিশন নতুন বোর্ডের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেছে।
সাব্বির এ খান, একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী, যিনি ফার্মাসিউটিক্যালস, কেমিক্যাল, এফএমসিজি এবং ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএএ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিমেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার শহীদ বিএমসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এম রিয়াজ রশিদ এবং কাসেম ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
এলায়েন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাইয়াত আহসান এবং উইংস্পিড প্রপেলারস লিমিটেডের পরিচালক সিফাত আহমেদ চৌধুরী জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং রেমেক্স কর্পোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার তাহা ট্রেজারার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় বিএমসিসিআই এর নৌ বিহার
নির্বাচিত বাকি পরিচালকেরা হলেন- এসএমএইচ নিউ জেনারেশন অ্যাপারেলস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আলম শাহ, আইপিপল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ এ হাবিব, ইনফ্রা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী শাহ মুজাক্কের আহমেদুল হক, পিএইচপি স্টকস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতার পারভেজ চৌধুরী, গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াফি শফিক মেনহাজ খান, কেএন-হারবার কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের পরিচালক সুমাইয়া নূর চৌধুরী, গ্রাসহপার কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মাহমুদুর রশীদ এবং চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জিয়াউল হক।
বিএমসিসিআইয়ের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাব্বির এ খান তার বক্তৃতায় বলেন, ‘বিএমসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আমি সম্মানিত এবং একইসাথে গভীর দায়বদ্ধতা অনুভব করছি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএমসিসিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমি এই সাফল্যের ধারাকে বেগবান করার জন্য সবার সহযোগীতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার পূর্বসূরি সৈয়দ আলমাস কবিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, গত দুই বছরে তার অবিচল নেতৃত্বে বিএমসিসিআই-এর সাফল্য ত্বরান্বিত হয়েছে।’
বর্তমান প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির তার মেয়াদ চলাকালীন বিপুল সমর্থনের জন্য বিএমসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সাথে বিএমসিসিআইয়ের সম্মানিত সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে চাই, যারা এই প্রগতিশীল ব্যবসায়ীক সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমার উপর তাদের আস্থা রেখেছেন। এই ব্যতিক্রমী পরিচালনা পর্ষদের কারণে, আমরা একসাথে গত দুই বছরে সফলভাবে বিভিন্ন মাইলফলক অর্জন করেছি।’
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম উপস্থিত ছিলেন এবং বিএমসিসিআই মেম্বার ডিরেক্টরির মোড়ক উন্মোচন করেন।
তিনি নবনির্বাচিত বোর্ডকে অভিনন্দন জানান এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এজিএমে বিএমসিসিআইয়ের বিদায়ী ও নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং বিএমসিসিআই সদস্য কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কর আইন, বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ক ৫ম বিএমসিসিআই লিগালটক সেমিনার অনুষ্ঠিত
৪৫৫ দিন আগে
অর্থনীতি নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বেশ স্থিতিশীল। কিন্তু, বৈশ্বিক ভূ-অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই।
রবিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত প্রাক-বাজেট (২০২৩-২৪) আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং মার্কিন ফেডারেল ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি আমাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে। এসব কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি ও এলসি খোলার ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এ কারণেই আমাদের রিজার্ভ এখনও বেশ স্থিতিশীল রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত সন্তোষজনক নয় এবং আমাদের রাজস্ব আদায়ও কম, তাই কর নেট বাড়ানোর বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী
ট্যাক্স অটোমেশন, কর ব্যবস্থার সরলীকরণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কৃষি, চামড়া, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে আরএমজি সেক্টরের মতো সুবিধা পাওয়া উচিত।
এম এ মান্নান তার বক্তব্যে এলডিসি উন্নীতকরণের পর প্রতিযোগিতামূলক হতে আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বৈচিত্র্যের ওপর জোর দেন।
তাছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও অস্থিতিশীলতা বিবেচনায় আগামী বাজেট অতি উচ্চাভিলাষী হবে না বলেও জানান তিনি।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি)-এর সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ)সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সেকো ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
সেশনের বক্তারা কর ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ এবং ডিজিটাইজেশন বা অটোমেশনের ওপর জোর দেন।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম প্রাক-বাজেট আলোচনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের সংবিধান মানলে বিএনপি'র অবশ্যই নির্বাচনে আসা উচিত: পরিকল্পনামন্ত্রী
৭২০ দিন আগে
কর আইন, বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ক ৫ম বিএমসিসিআই লিগালটক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এর কর আইন ও বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত পঞ্চম লিগ্যালটক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার রাজধানীতে এই সেমিনারের আয়োজন করে বিএমসিসিআই।
আরও পড়ুন: ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
সেমিনারে আলোচনা করেন তানজিব আলম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের চেম্বার প্রধান ব্যারিস্টার তানজিব আলম।
বিএমসিসিআই’র মহাসচিব মোতাহের হোশান খান অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান।
তানজিব আলম বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশকে উদীয়মান হিসেবে বিবেচনা করে না। একই সঙ্গে আমাদের দেশে বিনিয়োগকারী অন্যান্য কোম্পানিগুলো তাদের অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে নিরুৎসাহিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত আইন একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সহজে তাদের মুনাফা পেতে পারে না। সরকারি দপ্তরের অ-পেশাদারী আচরণের কারণে বিনিয়োগকারীরাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। ’
অনুষ্ঠান শেষে বিএমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির ও অতিথিরা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে ৩ বছরে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এডিবি
বাংলাদেশ ও ইরানের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানি সম্পর্ক জোরদারের আলোচনা
৮৪০ দিন আগে