পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বেশ স্থিতিশীল। কিন্তু, বৈশ্বিক ভূ-অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই।
রবিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত প্রাক-বাজেট (২০২৩-২৪) আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং মার্কিন ফেডারেল ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি আমাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে। এসব কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি ও এলসি খোলার ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এ কারণেই আমাদের রিজার্ভ এখনও বেশ স্থিতিশীল রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত সন্তোষজনক নয় এবং আমাদের রাজস্ব আদায়ও কম, তাই কর নেট বাড়ানোর বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী
ট্যাক্স অটোমেশন, কর ব্যবস্থার সরলীকরণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কৃষি, চামড়া, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে আরএমজি সেক্টরের মতো সুবিধা পাওয়া উচিত।
এম এ মান্নান তার বক্তব্যে এলডিসি উন্নীতকরণের পর প্রতিযোগিতামূলক হতে আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বৈচিত্র্যের ওপর জোর দেন।
তাছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও অস্থিতিশীলতা বিবেচনায় আগামী বাজেট অতি উচ্চাভিলাষী হবে না বলেও জানান তিনি।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি)-এর সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ)সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সেকো ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
সেশনের বক্তারা কর ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ এবং ডিজিটাইজেশন বা অটোমেশনের ওপর জোর দেন।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম প্রাক-বাজেট আলোচনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের সংবিধান মানলে বিএনপি'র অবশ্যই নির্বাচনে আসা উচিত: পরিকল্পনামন্ত্রী