রাজনৈতিক সমাবেশ
১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার ছাড়া কোনো ধরনের সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'যেহেতু প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন, তাই নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে বা ভোটারদের ভোট দানে নিরুৎসাহিত করতে পারে এমন সভা-সমাবেশ বা কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকার জন্য মন্ত্রণালয় সবাইকে নির্দেশ দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে: আইজিপি
এর আগে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে নির্দেশনা চেয়ে মেজর হাফিজের রিট
১ বছর আগে
জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বুধবার (২৬ জুলাই) বলেছেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
জনদুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি না করে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দল ঢাকা ২৭ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে।
তবে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপি প্রধান।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার।
তিনি বলেন, তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির দায়িত্ব।
জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আগামীতে কর্মদিবসের পরিবর্তে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির পরিকল্পনা করারও আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া সমাবেশে লাঠি-ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
তাজিয়া মিছিলের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি প্রধান বলেন, ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বিস্ফোরণের পর থেকে পুলিশ তাজিয়া মিছিলে নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইমামবাড়া হোসেনি দালান এলাকাকে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
এছাড়া যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য এলাকায় ডগ স্কোয়াড তৎপর থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
অনেরা ক্যান আছন, গম আছন নি: প্রধানমন্ত্রী
দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার বিকালে পলোগ্রাউন্ড মাঠে মঞ্চে বক্তব্য দিতে উঠে তিনি চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন ‘অনেরা ক্যান আছন? গম আছন নি? তোয়ারার লাই আঁরতে পেট পুরের।’ (আপনারা কেমন আছেন, ভালো আছেন নি? আপনাদের জন্য আমার পেট পুড়ছে।)
প্রধানমন্ত্রীর মুখে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা শুনে উল্লাসে ফেটে পড়ে জনতা।
এসময় তারা চিৎকার করে জবাব দেন ‘আঁরা বেগ ভালা আছি’ অথ্যৎ ‘আমরা সবাই ভালো আছি’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে গড়তে কমিশনপ্রাপ্তদের '২০৪১ সালের সৈনিক' হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই চট্টগ্রামের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন সমাবেশ করতে পারিনি। তাই আপনাদের কাছে ছুটে আসলাম। এই স্মৃতিময় চট্টগ্রামে আমরা বারবার ছুটে আসতাম। আমার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন জেল থেকে মুক্তি পেতেন আমাদের চট্টগ্রামে বেড়াতে নিয়ে আসতেন।’
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম আমাদের সবচেয়ে প্রিয় একটা জায়গা ছিল। এখানে আসলে মনে পড়ে সকল নেতাকর্মীদের কথা। এই চট্টগ্রাম আমাদের সমস্ত আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার। চট্টগ্রামের যে নেতারা সারাজীবন তারা সংগ্রাম করেছেন। আজকে এখানে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। করোনার কারণে দীর্ঘদিন জনসভা করতে পারিনি। তাই আজকে আপনাদের কাছে এসে হাজির হয়েছি। আমরা উন্নয়ন করি। বিএনপি মানুষ খুন করে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এই চট্টগ্রামের আমাদের প্রয়াত নেতাদের। এমএ আজিজ, হান্নান সাহেব, জহুর আহমেদ চৌধুরী, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ যে নেতারা আজকে আর নেই। যাদেরকে চাচা বলে ডাকতাম। তাদের বাড়িতে যেতাম। আজকে কেউ আর বেঁচে নেই। তাদের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে আসলেই ছুটে যেতাম এম এ আজিজ চাচা, জহুর আহমেদ চাচার বাসায়। এখন তারা নেই। সব স্মৃতি মনে আছে।’
ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভা থেকে চট্টগ্রামে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
একই সঙ্গে তিনি চারটি উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
এর আগে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের অপেক্ষার প্রহর শেষে পলোগ্রাউন্ড মাঠের জনসভায় এসে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণায় বিশ্ব হার্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে ৩৫টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে