২ ছেলে
ঠাকুরগাঁওয়ে ২ ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুই ছেলের মারধরে নাজিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর পলাতক তার দুই ছেলে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নে পিঁয়াজু পাড়া গ্রামে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নাজিম উদ্দীন (৫২) ওই গ্রামের টেপু মোহাম্মদের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- আলাল হোসেন (২৭) ও সাইফুল ইসলাম (২০)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, চিকিৎসাসেবা বন্ধ
নিহত নাজিম উদ্দীনের চাচি মাসুমা খাতুন বলেন, সোমবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাজিমের দুই ছেলে আলাল ও সাইফুল তার বাবাকে মাঠ থেকে বাসায় ধরে এনে মারধর করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও দুই ছেলের হুমকি ও গালিগালাজের কারণে তাকে সাহায্য করতে পারেননি।
নিহতের চাচাতো বোন মুক্তা আক্তার বলেন, মারধরের পর বাড়ির বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয় নাজিমকে। পরে রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের চাপের মুখে নাজিমকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, নাজিমকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আনে হাসপাতালে। মৃত ঘোষণার পরই তাকে নিয়ে চলে যায় স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
পাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, দুই ছেলের মারধরেই নাজিমের মৃত্যু হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি ফিরোজ কবির।
আরও পড়ুন: নাটোরে রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
৩ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সৎ ভাগ্নি ও তার দুই শিশুপুত্রকে হত্যার দায়ে আইয়ুব আলী নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
আইয়ুব আলী সাগর উল্লাপাড়া উপজেলার নন্দিগাঁতী গ্রামের মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
এ মামলায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গাজী আব্দুর রহমান বলেন, আসামি আইয়ুব আলী জেল হাজতে আছেন। রবিবার রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এরপর তাকে আবারও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা ও রায়ের সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার রওশনারা খাতুন তার দুই শিশু পুত্র জিহাদ ও মাহিনকে নিয়ে বেলকুচি থানাধীন মরুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। আসামি আইয়ুব আলী ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রওশনারার বাড়িতে বেড়াতে যান। গভীর রাতে উঠে ট্রাংকের তালা খুলে টাকা বের করার চেষ্টা করলে শব্দে রওশনারার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আইয়ুব আলী পাথরের শীল দিয়ে প্রথমে রওশনারার বুকে আঘাত করেন এবং পরে গলাটিপে হত্যা করেন। এসময় রওশনের দুই ছেলে মাহিন ও জিহাদকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন আইয়ুব আলী। তাদের তিনজনকে হত্যার পর ঘরের সবগুলো ট্রাংক খুলে টাকা খুঁজে না পেয়ে পরদিন ভোরে দরজার বাইরে শিকল দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
৯ মাস আগে
জয়পুরহাটে গলাকেটে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ, ২ ছেলে ও তাদের স্ত্রী আটক
জয়পুরহাটের কালাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দুই ছেলে ও দুই পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উপজেলার শিকটা গ্রামে নিজের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা!
নিহত সৈয়দ আলী আকন্দ (৭১) কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত মোতারাজ আলীর ছেলে৷
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সৈয়দ আলী। শুক্রবার সকালে ছেলের বউ শ্বশুরকে ডাকতে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতলের মর্গে পাঠায়।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছেলে তৈয়ব আলী, নাজমুল ও তাদের স্ত্রী এজিনা ও রাহিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় মেহমান হয়ে এসে কবিরাজকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা
১ বছর আগে
মায়ের মামলায় জেলহাজতে গেল ২ ছেলে
শরীয়তপুরে মায়ের করা একটি মামলায় দুই ছেলেকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে ডামুড্যা আমলী আদালতে আসামিরা জামিনের জন্য আসলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে দেন বিচারক।
আসামিরা হলো- ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের মোল্যাকান্দি গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদ বেপারী বড় ছেলে রফিক বেপারী ও মেঝো ছেলে জহুরুল বেপারী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের মৃত নুর মোহাম্মাদ বেপারী স্ত্রী জিন্নাত নেছা।
দুই ছেলে আর ছেলেদের স্ত্রীরা প্রায়দিন'ই তাকে নির্যাতন করতো।
গত ২৯ নভেম্বর তার সন্তান আর সন্তানের স্ত্রীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে অমানবিকভাবে মারধর করেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে পুলিশের গাড়িতে হামলা, বিএনপির ৪৯ নেতাকর্মী জেলহাজতে
আত্মরক্ষায় নিজের সন্তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার জনের বিরুদ্দে মামলা করেন তিনি।
এ মামলায় দুই ছেলেকে ওয়ারেন্ট করে। আর ছেলেদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করে।
সোমবার আসামিরা জামিনের জন্য আসলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার বাদী জিন্নাত নেছা জানান, আমার বড় দুই সন্তান আর তাদের স্ত্রীরা আমাকে প্রায়দিন মারধর করে। আর এদিকে আমার ছোট ছেলে প্রবাসী আবু তাহেরের ঘর দখল করার জন্য আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমি ঘর থেকে বের না হওয়াতে, তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে আমাকে ও আমার ছোট ছেলের বউকে মারধর করে।
এসময় তিনি কান্না কন্ঠে জানান, এক জন মা কত কষ্টে সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা করে সেটা শুধু ওই মা'ই জানে। তারা জেলে গেছে এটা যে আমার কত কষ্ট লাগে, সেটা শুধু আমি'ই জানি। আমি বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক এনাম জানান, আমি এই অসহায় মায়ের পক্ষ হয়ে মামলা করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আদালত ওয়ারেন্ট জারি করে।
সোমবার তারা জামিনের জন্য আসলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে। যতদিন এই অসহায় মা মামলাটি চালাতে চায়, ততদিন আমি তার পাশে থাকবো।
আরও পড়ুন: সংযোগই পাননি, বিদ্যুৎ বকেয়া বিলের মামলায় জেলহাজতে দিনমজুর মতিন
২ বছর আগে