করোনা ভাইরাস
করোনা পরীক্ষার কিট সংকটে ভুগছে বাগেরহাটের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো
বাগেরহাটের উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে মহামারি করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার কিট নেই। এর ফলে উপজেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে, যে কারণে করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের মধ্যে কেউ পজিটিভ আছেন কি না, তা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কখনো আবার সন্দেহ হলে রোগীদের সরাসরি ওইসব হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে নিয়মিত কিটের চাহিদাপত্র দেওয়া হলেও বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পর্যন্ত তা আসেনি। কেবল বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে এসেছে মাত্র ১৫০টি অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট কিট, যা রোগীদের সংখ্যার তুলনায় অত্যন্ত কম। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন এবং করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর খবর বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার কিট না থাকায় জনসাধারণের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বারান্দা, চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে, ওয়ার্ডে, প্যাথলজির সামনে এবং লিফটের ভেতর ও বাইরে নানা বয়সের নারী-পুরুষ রোগীতে ঠাসা। রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড় এত বেশি যে একে অপরের শরীরের সঙ্গে রীতিমতো ধাক্কা লাগছে। তাদের অধিকাংশের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার অভাব স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও দুই মৃত্যু, শনাক্ত ৪
জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগী জানান, তারা কয়েক দিন ধরে জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভব করছেন। তাই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছিলেন। চিকিৎসকরা দেখার পর তাদের ব্যবস্থাপত্রও দিয়েছেন।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা হলে তারাও জানান প্রায় একই কথা।
তারা বলেন, শরীরে কয়েক দিন ধরে জ্বর ও কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে এসেছিলাম, কিন্তু কিট না থাকায় পরীক্ষা করাতে পারিনি। চিকিৎসকরা উপসর্গের ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা দিয়েছেন।
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মনি শংকর পাইক বলেন, জ্বর নিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী হাসপাতালে আসছেন, কিন্তু কিট না থাকায় কারও করোনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। যাদের নিয়ে বেশি সন্দেহ হচ্ছে, তাদের পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার জন্য এক হাজার পিস অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্টের কিট চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কিট আসেনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের করোনা শনাক্ত
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন বলেন, জ্বরসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার একজন রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তিনি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন বলেই সন্দেহ করা হচ্ছিল, কিন্তু কিট না থাকায় পরীক্ষা করা যায়নি। পরে উপসর্গের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিয়ে তাকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তার দুদিন আগে আরও এক রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে কিটের অভাবে তারও পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
ডা. মো. শাহীন আরও বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমাদের এখানে করোনা পরীক্ষার কিট নেই। এখানে অন্তত এক হাজার পিস র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের চাহিদা রয়েছে। গত ১০ জুন কিট চেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে, কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত তা আসেনি।’
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট ছিল না। পরে গত ১৬ জুন মাত্র ১৫০টি অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট এসেছে। তবে এখনও ওই কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়নি।’
তিনি জানান, কিটের স্বল্পতা থাকায় যাচাই-বাছাই করে যাদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, শুধু তাদের পরীক্ষা করানো হবে। আর করোনার আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য রোগীদের খুমেক হাসপাতাল, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। তবে কিট বেশি পেলে প্রয়োজন অনুযায়ী সবার করোনা পরীক্ষা সম্ভব হবে বলেও জানান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের টিকা নেই, পুরনো মজুদ ৩২ লাখ
তিনি আরও বলেন, আগের চেয়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এতে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহারও অনেক বেশি। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এজন্য সবাইকে সচেতন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. আ স ম মাহবুবুল আলম জানান, বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল ছাড়া জেলার ৯টি উপজেলার একটিতেও করোনা ভাইরাস পরীক্ষার অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট কিট নেই। প্রতিটি উপজেলা থেকে কিট চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। কিটের স্বল্পতা থাকায় কেউ করোনা পরীক্ষা করতে চাইলে যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় ৩২ হাজার ৭১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে আট হাজার ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাট জেলায় এ পর্যন্ত ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৮৭৮ জন।
১৬৬ দিন আগে
খুলনায় দুই নারীর করোনা শনাক্ত, প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুতি
খুলনায় গত কয়েকদিন ধরে করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে রোগীদের ভীড় লক্ষ করা গেছে। ইতোমধ্যে অনেকেই পরীক্ষা করিয়েছেন, যার মধ্যে দুই নারীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) খুমেক হাসপাতাল ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে পৃথক পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলায় খুলনায় নানা প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ডা. ইশতিয়াক জানান, আক্রান্ত দুই নারীর নাম সুমাইয়া ও তানিয়া। তাদের মধ্যে সুমাইয়াকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট না থাকার কারণে সংক্রমণের তথ্য মিলছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে দেশব্যাপী করোনার প্রকোপ আবার বাড়তে শুরু করায় প্রস্তুত করা হচ্ছে হাসপাতালগুলো। এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০টি আইসিইউ শয্যাও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তবে করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালটিতে মাত্র ৭৫টির মতো র্যাপিট অ্যান্টিজেন কিট রয়েছে যা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য। করোনা পরীক্ষার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঁচ হাজার কিটের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, পিসিআর মেশিনটিও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ৪০০টির মতো কিট রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ডা. ইশতিয়াক বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব নতুন করে দেখা দেওয়ায় খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্যানেলও প্রস্তুত। বর্তমানে ৪০টি আইসোলেশন ও দশটি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত আছে। এনেসথেশিউলোজিস্ট ও করোনার জন্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও প্রস্তুত আছেন।’
খুলনাবাসীকে করোনার চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও এক মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
খুমেক হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে খুলনায় করোনা পরীক্ষাই হয়নি। ফলে মজুদ করা কিটের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তবে বর্তমানে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের পৃথকভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালটির চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে খুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি ও পুরো শরীরে ব্যাথা—এমন কোনো রোগী পেলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার পরীক্ষা করাচ্ছি। তাছাড়া, শ্বাসকষ্টসহ করোনার অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে যারা আসছেন, তাদের আলাদাভাবে নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি। এখানে লাল, হলুদ ও গ্রিন জোন ভাগ করে পৃথকভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।’
নমুনা সংগ্রহকারীদের দেওয়া তথ্যমতে, এখনই প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন করে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। হাসপাতালে আরটিপিসিআর মেশিন ব্যবহার করার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা যন্ত্রপাতি হাসপাতালে নেই। পাশাপাশি অক্সিজেন সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত আছে, অতিরিক্ত ৫০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার হাসপাতালে মজুদ রয়েছে।
১৭০ দিন আগে
ভিড়যুক্ত শপিংমল ও গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণ: সাবধানতায় করণীয়
জাতিসংঘের হিউম্যানিটারিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিস রিলিফওয়েব অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পুরো ঢাকা জুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ছিলো ৩২টি। এদের মধ্যে কারোরই মৃত্যু হয়নি। বরং পূর্বের ও জানুয়ারির এই রেকর্ড থেকে মোট আরোগ্য লাভের সংখ্যা দাড়িয়েছিলো ৭২-এ। মোটা দাগে সংক্রমণের এই অনুপাত নিম্নগামী, তবে এখনও তা একদম শূন্যের কোঠায় চলে যাইনি। সুতরাং করোনাকালীন সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো এখনও বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে শপিংমল ও গণপরিবহনের মতো ভিড়যুক্ত স্থানগুলোতে সাবধানতা অবলম্বন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ এবং তা প্রতিরোধে করণীয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
করোনা সংক্রমণের লক্ষণ
কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ১৪ দিন পরে দৃশ্যমান হতে শুরু করে উপসর্গগুলো। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলো নিতান্তই হাল্কা ভাবে দেখা দেয়। অবশ্য কারও কারও ক্ষেত্রে শুরুতেই গুরুতর আকার ধারণ করে।
কোভিডের নতুন ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলোতে বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। মূলত টিকা দেওয়ার অবস্থার উপর নির্ভর করে এই পরিবর্তন হয়।
আরো পড়ুন: নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
অধিকাংশ কেসগুলোতে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়, সেগুলো হলো-
জ্বর বা ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যাথা, সর্দি, স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি কমে আসা, প্রচন্ড ক্লান্তি, পেশী বা শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, এবং ডায়রিয়া।
ভিড়যুক্ত শপিংমলে ও গণপরিবহনে করোনা থেকে বাঁচতে করণীয়
.
মান সম্পন্ন মাস্ক পরিধান করা
করোনা ভাইরাস প্রবেশের জন্য মানবদেহের প্রধান অঙ্গগুলো হলো মুখ ও নাক। তাই মাস্ক পরিধানের মতো পুরনো সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার কোনও বিকল্প নেই। শপিংমলে কেনাকাটার সময় বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, নানা ধরণের কাপড়-চোপড় ধরে দেখতে হয়। এমনকি এ যাবতীয় কার্যক্রম চলে অত্যন্ত ভিড়ের মধ্যে থেকে।
এছাড়া দেশের জনসাধারণের সবচেয়ে বড় অংশটিই যাতায়াতের জন্য গণপরিবহনের উপর নির্ভর করেন। ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করায় এই যানবাহনগুলোতে অনিয়ন্ত্রিত ভিড় একদমি নতুন নয়। শিশু থেকে শুরু করে নারী ও বৃদ্ধ সকলেই এই ভিড়ের মধ্যেই কাটিয়ে দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
আরো পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
এই অপরিষ্কার জায়গাগুলোতে যে কোনও জীবাণু থেকে নিরাপদে থাকতে ভালো মানের মাস্ক পরা জরুরি। মুখ এবং নাক সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে এমন সার্জিক্যাল মাস্ক ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর। একাধিকবার ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহার করলে তা নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। একই সাথে মাস্ক পরে থাকার সময় এটি বারবার স্পর্শ না করা এবং প্রয়োজন ছাড়া মুখ থেকে সরানো উচিত নয়।
হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ করা
করোনাকালীন সময়গুলোতে হাত ধোয়াটা রীতিমত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো। এই অভ্যাসটিই আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে, গণপরিবহনে ওঠা-নামার পর, এবং শপিংমলে প্রবেশের পর হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। বাসায় সাবান-পানি ও ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জরুরি। আর বাইরে সার্বক্ষণিক একটি পকেট স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে। বড়দের পাশাপাশি বাচ্চা ও বয়স্কদের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর রাখা জরুরি। ঘরে ঢোকার পর, স্কুলে ও অন্যত্রে চলতে ফিরতে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদেরকে সাহায্য করতে হবে।
অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলা
সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্য ভিড় এড়ানো অত্যাবশ্যক। ঈদের মতো বিভিন্ন উপলক্ষগুলোতে নামকড়া দোকানগুলোতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। একই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয় কাজে যেতে বা কাজ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য যানবাহনে ওঠার সময়।
স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা ভেবে এই প্রবণতা থেকে সর্বদা দূরে থাকা উচিত। কেনাকাটার ক্ষেত্রে কখনোই অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়া যাবে না। যাতায়াতের জন্য একটু আগে ঘর থেকে বেরতে হবে।
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে পারতপক্ষে বেশি ভিড়যুক্ত পরিবহন এড়িয়ে চলা উত্তম। অপেক্ষা করে তুলনামূলক ফাঁকা যানবাহনে উঠা যেতে পারে। বাসা ও কাজের জায়গা খুব বেশি দূরে না হলে পায়ে হেটে যাওয়া-আসা করা উপযুক্ত।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভের সময়ের মতো প্রতিটি ভবনেই সামাজিক দূরত্ব বজায়কে পুনঃবাস্তবায়ন করা দরকার। শপিংমলে কেনাকাটার বা গণপরিবহনের লাইনে সবক্ষেত্রে প্রত্যেকের মধ্যে কমপক্ষে ৩ ফুট (১ মিটার) দূরত্ব রাখা বাঞ্ছনীয়। এটি সম্ভব না হলে নিদেনপক্ষে গায়ে গা লেগে যায় এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে হবে।
বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের অবস্থানের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা উচিত। বড় বড় শপিংমলগুলোতে লিফ্টের পরিবর্তে উপরে উঠার জন্য সিঁড়ি বেছে নিতে হবে।
গণপরিবহনে দরজার কাছে জটলা করা যাবে না। দুই সারি সিটের মাঝের চলাচলের জায়গাটিতে এক স্থানে ভিড় না করে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাড়ানো উচিত।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা
রাস্তাঘাটে ও বিভিন্ন ভবনে চলাফেরার সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত উন্মুক্ত পৃষ্ঠগুলো ভাইরাস ছড়ানোর জন্য উপযুক্ত। যেমন- প্রবেশ দরজার হাতল, চলন্ত সিঁড়ির রেলিং, লিফ্টের বোতাম, গণপরিবহনে সিলিং-এর হাতল ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহারের জন্য সাথে সার্বক্ষণিক টিস্যু রাখা যেতে পারে।
শিশুরা যেন এরকম কিছু না ধরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বয়স্করা গ্লাভ্স বা টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন। যে জায়গাগুলোতে ঘন ঘন এরকম পৃষ্ঠের সংস্পর্শে যেতে হয়, সেখানে উৎকৃষ্ট হচ্ছে পকেট স্যানিটাইজার। এছাড়া কোনও কোনও ক্ষেত্রে (যেমন দরজা) অনেকে কনুই বা কাঁধ ব্যবহার করে থাকেন।
লেনদেনে ডিজিটাল মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা
নগদ টাকা লেনদেনে হাতের স্পর্শ থাকে বিধায় এখানে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। নগদবিহীন বা ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতিগুলো এক্ষেত্রে সেরা ও নিরাপদ বিকল্প। এখন ছোট থেকে বড় প্রায় সব ধরণের দোকানগুলো মোবাইল ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট বা কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা রাখে।
যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ ধরণের লেনদেনের জন্য রাইড শেয়ার পরিষেবাগুলোই একমাত্র অবলম্বন। কেননা দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থায় এখনও এই সুবিধা সংযুক্ত করা হয়নি।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল আছে এমন জায়গা বেছে নেওয়া
অতিরিক্ত লোকসমাগমের জায়গাটি যদি বদ্ধ হয় তাহলে তা এমনিতেই অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। এমন পরিবেশ শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর। তাই গণপরিবহন বা শপিংমল যেখানেই থাকা হোক না কেন, যতটা সম্ভব উন্মুক্ত বায়ুপ্রবাহের দিকে সরে যাওয়া উচিত।
শপিংমলে লিফ্টে লোকসংখ্যা বেশি হয়ে গেলে বের হয়ে এসে সিঁড়ি ব্যবহার করা উত্তম। গণপরিবহনের ক্ষেত্রে জানালার দিকের সিটে বসে জানালা খুলে দেওয়া যায়।
বয়স্ক ও শিশুদের জন্য পৃথক জায়গার ব্যবস্থা রাখার ক্ষেত্রে ঠিক এমন স্থানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বদ্ধ, গরম, ও বাতাসবিহীন স্থানে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যথাসম্ভব ঘরের বাইরে বের হওয়ার বিকল্প পন্থা অবলম্বন করা
করোনা পরবর্তী সময়ে ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করেছে অনলাইন যোগাযোগ এবং রিমোট জব। এতে অধিকাংশ প্রয়োজনীয় কাজগুলো ঘরে থেকেই করে ফেলা সম্ভব হয়। তাছাড়া কেনাকাটা ও বিনোদন সবকিছুই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে। এই জীবনধারা যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুগান্তকারি এক প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
আরো পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
তাই প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরে না বেরিয়ে আগে ভাবা উচিত যে তা ঘরে থেকেই করা সম্ভব কিনা। গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এর জন্য মোবাইল থেকে শুরু করে ভিডিও কলিং-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। এগুলো এখন আর আগের মতো দুষ্প্রাপ্য নয়।
এই প্রবণতা যে শুধু ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে তা নয়। সময় বাঁচিয়ে কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্যও এটি যথেষ্ট উপযোগী।
পরিবহন ব্যবহারে অগ্রিম বুকিংকে অগ্রাধিকার দেওয়া
গণপরিবহনের জন্য দীর্ঘ লাইনে ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে থাকা বিপুল সময় নষ্ট করে। একই সাথে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্যও তৈরি করে সহায়ক পরিবেশ। চলন্ত বাসের সাথে দৌড়াতে দৌড়াতে লাফিয়ে পাদানি উঠে পড়া এখন হরহামেশাই দেখা যায়। কোনও রকম সামাজিক দূরত্বের কথা না ভেবে প্রতিদিনি এমন ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে চলেছেন হাজার হাজার যাত্রী।
কিন্তু সময় ও অর্থ সবকিছুর চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই যে কোনও মূল্যেই এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে অগ্রিম যানবাহন বুক করা দরকার। দূর পাল্লার যানবাহনগুলোতে অগ্রিম সিট বুকিং বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু শহরের ভেতরের যাতায়াতের ক্ষেত্রে এমন সুযোগ শুধু রাইড শেয়ারিং সেবাগুলোতেই রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির দিক দিয়ে ভাবলে এই সেবাগুলো সব দিক থেকে নিরাপদ।
আরো পড়ুন: তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে: জানুন কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
ব্যক্তিগত ব্যবহারের উপকরণগুলো সর্বদা সঙ্গে রাখা
ফুটপাত, শপিংমল, ও যানবাহনে খাবার খাওয়ার জন্য শুধুমাত্র নিজস্ব জিনিসপত্রের উপর নির্ভর করা উচিত। দোকান বা হোটেলে যে গ্লাস, প্লেট, চামচ, ছুরি দেওয়া হয় তা এড়িয়ে চলাই ভালো। পানি পানের জন্য ব্যক্তিগত বোতল বা ফ্লাস্ক অনেকেই সঙ্গে রাখেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবহার্য ছোট-খাট সামগ্রীও বাসা থেকে ভালভাবে ধুয়ে ব্যাগে ভরে নিতে হবে। সেই সাথে ঘরের বাইরে সর্বত্রে নিজের খাবার ও এই ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এটি অতীব জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তারা যে কোনও সংক্রমণের সহজ শিকারে পরিণত হয়।
শেষাংশ
ভিড়যুক্ত শপিংমল ও গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে উপরোক্ত সাবধানতাগুলোর কোনও বিকল্প নেই। করোনাকালীন সময়গুলোর মতো মাস্ক পরিধান, হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের স্থানে থাকা, এবং যথাসম্ভব ঘরে থাকাটা এখনও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভিড় এড়িয়ে চলা, অযাচিত স্পর্শকাতর স্থানগুলো এড়িয়ে চলা, এবং ডিজিটাল লেনদেন হতে পারে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের অনুকূল পদক্ষেপ। এগুলোর সাথে কার্যকরি সংযোজন হতে পারে অগ্রিম পরিবহন বুকিং এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র সর্বদা সাথে রাখা। সর্বসাকূল্যে, এই করণীয়গুলোর মাঝে নিহিত রয়েছে একটি সুরক্ষিত জীবনধারণে অভ্যস্ত হওয়ার রূপরেখা।
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
২৫৫ দিন আগে
আরও ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৪৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯৮ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত
এ সময়ে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৫ জনে।
আরও পড়ুন: আরও ৫৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
৬৩৭ দিন আগে
আরও ৫৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
দেশে বুধবার (৬ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৫৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৩ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বাংলাদেশে শনাক্ত
এ সময়ে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ০৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৫ হাজার ৭৫৫ জনে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫ জনের করোনা শনাক্ত
৬৩৮ দিন আগে
২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৬৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৯ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বাংলাদেশে শনাক্ত
এ সময়ে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৮ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত
৬৩৯ দিন আগে
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৮৩
ঈদের ছুটি শেষে সরকারের আরোপিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ঢাকায় ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার এ সময় ৪৪১ টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে ১৩৭ জনের কাছ থেকে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
ট্র্যাফিক বিভাগ যানবাহনের কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
শনিবার রাজধানীর রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা ছিল। কারণ এদিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো লকডাউন কার্যকরে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল।
নতুন করে দেয়া লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবারের তুলনায় শনিবার রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে কম সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাণিজ্যিক যানবাহন দেখা গেছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনা সদস্যদের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের যানবাহন ও লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার উত্তরা ও আবদুল্লাহপুর হয়ে দুরপাল্লার কয়েকটি বাস ও যানবাহনকে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও আমরা শনিবার কঠোরভাবে 'নো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করছি।’
ফলে ছুটির পর মহানগরীতে ফিরে আসা অনেককে আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, টঙ্গী, আমিন বাজার সেতু এবং বাবু বাজার সেতুসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
তবে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি সেবা প্রদানকারীদের রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি, মাইক্রোবাস এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক যানবাহনকে জরিমানা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
আমিন বাজার এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিছু লোক চিকিৎসাপত্র দেখিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু বেশিরভাগেরই কাগজপত্র পুরানো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ।’
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মনন্ত্রালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, আগের লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন আরও কঠোর হবে। রাস্তায় পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ
১৫৯৪ দিন আগে
রাতে ভারত থেকে ২৫০ ভেন্টিলেটর আসছে
সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকটের পাশাপাশি ভেন্টিলেটরের তীব্র সংকট রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে নয়াদিল্লি থেকে আসছে ২৫০ ভেন্টিলেটর। এতে সংকট কিছুটা কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এই ভেন্টিলেটরগুলো গ্রহণ করবেন।
এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আসছে
বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি: দোরাইস্বামী
১৫৯৪ দিন আগে
থেমে গেলো ফকির আলমগীরের কণ্ঠ
মঞ্চে আর গাইবেন না ফকির আলমগীর। চিরতরে থেমে গেলো একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গণসঙ্গীত শিল্পীর কণ্ঠ। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হেরে গেলেন তিনি। শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রখ্যাত এই শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব ইউএনবির কাছে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কিংবদন্তি এই শিল্পীকে গত রবিবার লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল। আগের শুক্রবার ভোর থেকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তিনি ভর্তি ছিলেন । কিন্তু গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হার্ট অ্যাটাকের পরে তার অবস্থার অবনতি হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিতের আহবান ড. ইউনূসের
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে সংগীত অঙ্গণে পা রাখেন এবং ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণ শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য ও সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন । সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য তিনি গণসঙ্গীত গাইতেন।
ফকির আলমগীরের বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে ‘ও সখিনা’, ‘নাম তার ছিল জন হেনরি’, ‘নেলসন মেন্ডেলা’, ‘সান্তাহার’ ও ‘বাংলার কমরেড বন্ধু’ উল্লেখযোগ্য।
ফকির আলমগীর লেখক-গবেষক হিসেবেও অনেক কাজ করেছেন। ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’ প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৬৬, শনাক্ত ৯,৬৩২
১৮ হলেই টিকা নেয়া যাবে, শিগগিরই বাস্তবায়ন
১৫৯৫ দিন আগে
প্রায় ফাঁকা ঢাকার রাস্তাঘাট, মানুষের চলাচলও কম
করোনা ভাইরাস রোধকল্পে সরকার আরোপিত ‘কঠোর লকডাউন’ এর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ঢাকার রাস্তার প্রায় ফাঁকা ছিল। মানুষের চলাচলও কম ছিল।
লকডাউন সফল করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির প্রচেষ্টার কারণেই জনগণ রাস্তায় বের হতে পারিনি। এছাড়া ছুটির দিন তার ওপর বৃষ্টি থাকায় রাজধানীর রাস্তাগুলোর চেহারা অনেকটা জনমানবশূণ্য ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে কার্যকর হওয়া কঠোর লকডাউন ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
ট্রাফিক পরিদর্শক আসাদুজ্জামান (মহাখালী) বলেন, একে তো শুক্রবার। তার ওপর সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে, তাই রাস্তায় কম যানবাহন দেখা যায়। তাছাড়া চেকপোস্টে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অতি প্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন শুধু তাদের যানবাহনই যেতে দিচ্ছি। যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাসা থেকে বেরুলে মামলা দেয়া হচ্ছে।
এদিন রাজধানীর রাস্তায় সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়। গতকালকের তূলনায় প্রধান সড়কগুলিতে বেসরকারি ও বাণিজ্যিক যানবাহন কম থাকলেও, মানুষের শেষ ভরসা রিকশা অনেক জায়গায় চলাচল করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপনের পর পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের যানবাহন ও লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গরু পাচারকারীদের তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক
নগরীর বিভিন্ন স্থানে কাঁচা বাজার বসেছিল। সরকার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার বসার অনুমতি দিয়েছে। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিধিনিষধ লঙ্ঘনের জন্য প্রায় ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) অধ্যাদেশে মামলা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, রমনায় ৯৯ জন, লালবাগে ৬০ জন, মতিঝিলে ৮৫ জন, ওয়ারীতে ১১৭ জন, তেজগাঁওয়ে ১০০ জন, গুলশানে ৮৭ জন এবং উত্তরায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় ৪০ লাখ
এদিকে এই সময়ের মধ্যে ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে এবং ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও, ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘কঠোর লকডাউন’ এর প্রথম দিনেই আটজনকে সাজা এবং বহু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে।
লকডাউন বিধি
সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিসগুলি আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। লকডাউন চলাকালে রাস্তায় গণপরিবহন, নৌযান চলাচল, অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। দেশের সব শপিংমল এবং মার্কেটগুলিও বন্ধ থাকবে।
১৬১৬ দিন আগে