অর্ধশত নেতাকর্মী
খুলনায় ৪ দিনে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
দেশব্যাপী শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে নতুন করে চাপে পড়েছে খুলনা বিএনপি। গত চারদিনে দলটির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিরাতেই বাড়ি বাড়ি অভিযান চলছে। এর মধ্যে ফের শুরু হয়েছে মামলা।
সবমিলিয়ে দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতারা জানান, অভিযানে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে, এমন আশংকা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু অভিযান এতো জোরালো হবে সেটি তারা বুঝতে পারেননি।
এছাড়া গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক নেতা এখন এলাকা ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার থানায় গেলে দেখা যায়, গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতা শরিফুল ইসলাম টিপুকে।
আরও পড়ুন: এটা পুলিশের অযৌক্তিক পদক্ষেপ: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ নিয়ে ফখরুল
কোন থানায় কে আটক রয়েছে-এই তথ্যও কেউ জানাতে পারছে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযান শুরুর প্রথম দিনেই ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইমদাদুল হকসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়। পরের দুই দিনে আরও ২৫ জন আটক হয়েছেন।
এছাড়া নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এরই মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪ ডিসেম্বর রাতে মামলা করেছে পুলিশ।
ওই মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহম্মেদ, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহম্মেদ সুমন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, নগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করতে বিশেষ অভিযানের নামে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ঢাকায় সমাবেশ অংশ নিলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, তিনদিনে অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে ঢাকায় চলে গেছে। সমাবেশ শেষ করে সবাই খুলনায় ফিরবে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র থেকে খুলনার নেতাকর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। দল থেকে ঢাকায় যাওয়ারও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তারপরও নেতাকর্মীরা দল বেধে ঢাকায় যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ১, প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আটক
১ বছর আগে