উৎপাদন বৃদ্ধি
চাহিদার বিপরীতে খাদ্যদ্রব্য অন্য বিভাগে পাঠাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে: ফরিদা আখতার
রোজার সময় মাছ ও মাংসের চাহিদা বেড়ে যায় উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, চাহিদার বিপরীতে উদ্বৃত্ত খাদ্যদ্রব্য অন্য বিভাগে পাঠানোর জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা যাতে উপকৃত হন, এজন্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে খামারিদের সহযোগিতা করতে হবে।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইকু হ্যারিটেজ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট- এ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মৎস্যজীবী-মৎস্যখাত চরম বৈষম্যের শিকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
খামারিদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, খামারি ও ভোক্তাদের মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে খামারিরা যাতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হয়, এজন্য সরকার মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
অবৈধ জাল বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবৈধ জালের জন্য শুধু জেলেদের শাস্তির ব্যবস্থা করলেই চলবে না, অবৈধ জাল তৈরির কারখানা বন্ধে প্রশাসনকে জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া সরকার জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে আধুনিক নিবন্ধন কার্ড বিতরণে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা।
তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে উপদেষ্টা বলেন, তামাক একটি নেশাজাতীয় দ্রব্য। যা মানুষের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। এজন্য তামাক চাষের বিপরীতে ভুট্টা চাষ করে গো-খাদ্য ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর গরুর ক্ষুরা রোগের কারণে অনেক খামার নষ্ট হয়। এজন্য প্রান্তিক খামারিদের গবাদি পশুর পা ও মুখের রোগ এফএমডি ভ্যাকসিন ঘাটতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার: ফরিদা আখতার
৩ সপ্তাহ আগে
‘মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকার কাজ করছে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক আয় বাড়ানোর জন্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ফলে আমরা মাছ রপ্তানি করছি। এখন আমাদের লক্ষ্য রপ্তানি আয় বাড়ানো।’
বুধবার (৩১ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, মাছ হবে আমাদের দ্বিতীয় প্রধান অর্থনৈতিক মুদ্রা অর্জনের খাত। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন রপ্তানির দিকে মনোযোগী হতে হবে। সব নদী, নালা, খাল, বিল, মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। পুরাতন ও পরিত্যক্ত পচা, ডোবা, পুকুর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে মাছের উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাছে চাষের উপযোগী যত স্থান আছে তা খুঁজে বের করে মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই ২০৩০ সালে ৬৫ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা আমরা অর্জন করতে পারব।’
নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্ষতিকর কারেন্ট জাল, বেহুন্দী জাল, চায়না জালের ব্যবহার বন্ধের জন্য তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি এসময় আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু ও বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পদ্মা সেতু প্রতিবাদের ভাষা, বাঙালির উন্নয়নের প্রতীক: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৪ মাস আগে
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং ইলিশ বেড়ে উঠার পথে কোনোভাবেই যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় সেজন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কর্মসূচি ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত পালন করা হচ্ছে। ‘ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা’ এই প্রতিপাদ্যে আমাদের এবারের কর্মসূচি। এ সময় ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষা এবং জাটকা নিধন বন্ধে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাটকা আহরণ বন্ধকালে ইলিশ আহরণে জড়িতদের যাতে সমস্যা না নয়, সেজন্য তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ব্র্যান্ডেড এবং পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা মাছ ইলিশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আশা করছি- ভবিষ্যতে এটা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
ইলিশ উৎপাদনকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাটকা রক্ষায় ও মা ইলিশ আহরণ বন্ধে জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিভিন্নভাবে মনিটর করা হচ্ছে। ইলিশের অভয়াশ্রমে জাটকা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, যারা কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য ক্ষতিকর জাল তৈরি করে জাটকা নিধন করে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান ও জরিমানা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জাটকাসহ অন্যান্য মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে এ বছর বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে ৩০ দিনে ১৭টি জেলায় মোট ৯৩১টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ৪৭৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যার মাধ্যমে- ৭ হাজার ৬৬৯টি বেহুন্দি জাল, ৪৪৮ দশমিক ৭১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৯ হাজার ৭৪২টি বেড় জাল, চরঘড়া জাল, মশারি জাল ও পাইজাল আটক করা হয়েছে এবং প্রায় ২৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১৯২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছি।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭১টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৭১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে। কারণ, আমাদের মৎস্যজীবীদের পরিবারের কথাও মাথায় রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে কম লাভে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩১ হাজার ৭০০ জেলেকে চাহিদানুযায়ী নানা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
ইলিশ সংরক্ষণে শুধু মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর নয়, সকলকে সম্পৃক্ত থাকতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, নৌবাহিনী, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে।
এমন কি মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। আমরা জাটকা ধরবো না। বড় ইলিশ তৈরির সুযোগ করে দেবো। আমরা বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করবো না। এটা হোক জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে আমাদের অঙ্গীকার।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, জাটকা নিধনের সাথে যারা জড়িত, গোচরীভূত হওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার কাজ করছে। মা ইলিশ রক্ষা পেলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে দাম কমে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, তবে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার এসব বিষয় সদিচ্ছার সঙ্গে মনিটরিং করছে।
শুধুমাত্র আইন প্রয়োগের মাধ্যমে জাটকা বা মা ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জাটকা বা মা ইলিশ ধরা বন্ধে সামাজিক ক্যাম্পেইন চালাতে হবে, জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
৯ মাস আগে
চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করবে ইরি ও ব্রি
বাংলাদেশে চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা জোরদার ও আরও গভীরভাবে কাজ করবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে (ব্রি) পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইরির প্রতিনিধিদল এসব কথা জানায়।
প্রতিনিধিদলে ইরির এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জংসু শিন, ইরির বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভান্ডারি, নির্বাহী সহকারী মো. শাহিন ভূইয়া এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তবে জনসংখ্যা বাড়ছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। এসব কারণে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। ইরির সহযোগিতা এক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য এখন উৎপাদন আরও বাড়ানো। উৎপাদন বাড়াতে পারলে মজুতদারী, কৃত্রিম সংকটের মতো সমস্যা থাকবে না। সেজন্য, উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা মজুতদারী ও কৃত্রিম সংকট মোকাবিলা করব।
ইরির প্রতিনিধদল তাদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তারা জানান, চালের উৎপাদন বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল, স্বল্প জীবনকালীন ও মানসম্পন্ন ধানের জাত উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। খরা, তাপ, ঠান্ডা, লবণাক্ততাসহ প্রতিকূল পরিবেশে চাষোপযোগী জাত এবং পুষ্টিসম্পন্ন ধানের জাতের উদ্ভাবনে এখন গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিকে কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের মাঝে ভালো বীজ, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, যেভাবেই হোক ফসলের উৎপাদন আমাদের বাড়াতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বীজ, সার প্রভৃতি কৃষি উপকরণের কোনো রকম ঘাটতি হবে না, সংকট হবে না। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেশি করে কৃষি উপকরণ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার(১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. আব্দুস শহীদ কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তার নির্বাচনি এলাকা শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করে। কীভাবে এই সিন্ডিকেট ভাঙা যায়, তার কার্যকর পদ্ধতি বের করতে আমরা চেষ্টা করছি। মজুতদারদের রোধ করতে হবে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পুঁজি। এই আদর্শের কারণেই বঙ্গবন্ধু আমাকে ভালোবাসতেন। স্বাধীনতার পর লন্ডনে গিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করি বলেই সেখানে যাইনি। দেশে থেকে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। এখন জনগণের ভালোবাসাই আমার সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
পরে সন্ধ্যায় মন্ত্রী শ্রীমঙ্গলে ফুলছড়া চা বাগানের শীতার্ত ও অসহায় চা-শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
১১ মাস আগে
রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
চলতি অর্থবছরে রবি মৌসুমের ১০ ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১০টি ফসলের মধ্যে রয়েছে- গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি ডাল।
আরও পড়ুন: কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের মোট ২৬০ জন করোনায় আক্রান্ত
এ প্রণোদনার আওতায় ৬৪টি জেলার ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৭০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হবে।
একজন কৃষক ১০ ফসলের যে কোন একটি চাষের জন্য এ প্রণোদনা পাবেন। প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় গমবীজ ২০ কেজি, ভুট্টার বীজ ২ কেজি, সরিষা/সূর্মুখীর বীজ ১ কেজি, চিনাবাদামের বীজ ১০ কেজি, সয়াবিনের বীজ ৮ কেজি, শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ ১ কেজি, মুগ/মসুরের বীজ ১ কেজি ও খেসারির বীজ ৮ কেজি এবং সার বিনামূল্যে পাবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এ সংক্রান্ত আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠপর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে সহায়ক হবে’
১ বছর আগে
উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য সুষ্ঠু কৃষিঋণ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, অনেক তরুণ উদোক্তা বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে আসতেছে, তাদের জন্য ঋণ দরকার। অনেক সময় কৃষকেরা এনজিও বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ করে। সেজন্য, কৃষকদেরকে সহজ শর্তে, কম সুদে, জামানাত ছাড়া বিনা হয়রানিতে ঋণ দিতে হবে। এ বিষয়টিকে কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার ঢাকায় খামারবাড়িতে বিএআরসি মিলনায়তনে নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিতকরণ বিষয়ে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিসেফ ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বর্তমান সরকার ৫০শতাংশ-৭০শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। তারপরেও একটা কম্বাইন হারভেস্টার কিনতে কৃষককে স্থানভেদে ১০- ১৪ লাখ টাকা দিতে হয়। ভর্তুকি দেয়ার পরও অনেক কৃষক এত টাকা দিয়ে হারভেস্টার কিনতে পারে না। এখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে, কৃষককে ঋণ দিতে হবে।
ব্যাংক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে একসঙ্গে বসে, সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ে কৃষিঋণ বিতরণের সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ দেন এসময় মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সকলের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের উৎপাদন ও প্রাপ্যতা অনেক বেড়েছে। তবে অনেক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা সীমিত আয় দিয়ে এখনও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারে না। এক্ষেত্রে মানুষের আয় বাড়াতে হবে, এগ্রো প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগ করতে হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে। সেলক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বিসেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতে অন্য মন্ত্রীদের কৃষিমন্ত্রীর চিঠি
সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে