স্বামী-শাশুড়ি আটক
শেরপুরে ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়িসহ আটক ৩
শেরপুরে নিখোঁজের চারদিন পর ভাড়াবাড়ির ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের সিংপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-গৃহবধূ রোকসানা বেগম (৩৫) এবং তার ছেলে রাফিদ (১১)। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী মাসেক আলী ও শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের নবীনগর পানাইতাপাড়া এলাকার মাদকাসক্ত অটোচালক মাসেক আলী তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে শহরের সিংপাড়া এলাকার বাসেদ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন। বাসেদ মিয়া ঢাকায় চালের ব্যবসা করেন। গত ৪ ডিসেম্বর মাসেকের স্ত্রী রোকসানা বেগম ও বড় ছেলে রাফিদ নিখোঁজ হন। এ নিখোঁজের ঘটনায় রোকসানার বড় বোন সুফিয়া বেগম ৭ ডিসেম্বর শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৫ দিন পর কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
এদিকে, মাসেক মাদকাসক্ত হওয়ায় স্ত্রী-ছেলে নিখোঁজের দুই দিন পর রহস্যজনকভাবে শহরের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় ভর্তি হন। এদিকে, সদর থানা পুলিশ ওই সাধারণ ডায়রির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে বুধবার মাসেক মিয়াকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশ জিজ্ঞেসাবাদ করে এবং বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের সিংপাড়া এলাকার ওই ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে বাড়ির ল্যাট্রিনের কুয়ার ট্যাংকি থেকে পুলিশ মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মৃত রোকসানার স্বামী মাসেক, শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করে।
পুলিশের সূত্রগুলো জানায়, মাদকের নেশার টাকা নিয়ে ঝগড়ার ফলেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
শেরপুর সদর সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া জানিয়েছেন, মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের পুরো বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত রোকসানা বেগম একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নার্সের কাজ করতেন। তার বাবার বাড়ি শহরের খরমপুর টিক্কাপাড়া মহল্লায়। রোকসানা বেগম তার স্বামী, দুই ছেলে রাফিদ ও অর্নবসহ দীর্ঘদিন যাবত শহরের সিংপাড়া মহল্লার ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ বাদল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসেক আলী স্ত্রী-পুত্রকে হত্যার কথা স্বীকার করায় মা-ছেলের লাশ ওই ল্যাট্রিনের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করা হয়। কীভাবে ও কেনো হত্যা করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলার বাগান থেকে ২ ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
২ বছর আগে