সমাবেশের অনুমতি
জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধিত দল না-হওয়ায় তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধিত দল না-হওয়ায় তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামী সভা-সমাবেশ করতে চাচ্ছে, তাদের অনুমতি দেবেন কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক দলমত আছে। জামায়াত এর আগেও দুয়েক জায়গায় আলোচনা করেছে। তারা যদি দেশের নিয়ম-কানুন মেনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে যে কেউ যে কোনো কথা বলতে পারে। জামায়াত বলতে কোনো কথা নেই। দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা আছে। আমদের কথা হলো, আইন-কানুনের মধ্যে থেকে তারা কথা বলতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে এভাবে অনুমতি দেবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কাউকে অনুমতি দিইনি। স্পষ্টভাবে জানা উচিত, আমরা কউকে অনুমতি দিইনি। এ ছাড়া আমি তো বলেছি, জামায়াতে ইসলাম এখন পর্যন্ত কোনো নিবন্ধিত দল না, কাজেই তারা যদি জামায়াতে ইসলামের ব্যানারে যদি আসে, তাহলে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশের দিন রাস্তা বন্ধ করা হবে কিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন রাষ্ট্রদূত হাস
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
অবশেষে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ হচ্ছে গোলাপবাগ মাঠে
অবশেষে ঢাকার ধলপুরের গোলাপবাগ মাঠে শনিবার সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে, এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালের সমন্বয়ে গঠিত বিএনপির দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে ১০ ডিসেম্বর দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে অচলাবস্থা নিরসনের চেষ্টা করে।
এ জেড এম জাহিদ বলেন, ডিবি প্রধান প্রতিনিধি দলকে অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়ার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাস পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
প্রতিনিধি দলটি ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর ধলপুর মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। তাই আগামীকাল গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বুধবারের সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ জানান, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর সমাবেশস্থল: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে দলের দুই শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করতে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে অনলাইনে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা।
শুক্রবার ভোরে বিএনপি দাবি করেছে, রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে সাধারণ পোশাকের পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়। পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি স্থান পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ৫৫৩ বিএনপি নেতাকর্মীসহ ২৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে