জবাবদিহি
জবাবদিহিই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চাবিকাঠি: ঢাকা
তুরস্ক সফররত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জোর দিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এবং এই সংকটের চূড়ান্ত সমাধানের জন্য জবাবদিহি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পাশাপাশি জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাব অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়টি পুর্নব্যক্ত করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তুরস্কের আনাতোলিয়ায় ‘আনাতোলিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরাম ২০২৫’ সম্মেলনের ফাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খানের সঙ্গে বৈঠক করেন হোসেন।
বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মিয়ানমার
বৈঠকে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্ভোগের বিষয়ে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় বাংলাদেশ ও আইসিসির মধ্যকার সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আইসিসির প্রসিকিউটর আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার প্রতি বাংলাদেশের অবিচল অবস্থানের প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোম সনদ ও আইসিসির প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার ক্ষেত্রে আইসিসির সঙ্গে বাস্তব সহযোগিতা অন্বেষণে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে।’ রোহিঙ্গা সংকট ও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আইসিসির অবস্থানেরও প্রশংসা করেন।
আগামী দিনে বিদ্যমান কর্মপ্রচেষ্টার মাত্রা আরও বাড়ানোর বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আরাকানের যুদ্ধাবস্থা নিরসন করেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন: খলিলুর রহমান
২০ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানে শিশুমৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ, সুরক্ষা ও জবাবদিহি চায় ইউনিসেফ
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এটিকে হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউনিসেফ।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক অফিসের প্রতিবেদনটির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ১ জুলাই থেকে ১৫ই আগস্টের মধ্যে যে ১ হাজার ৪০০ ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে শতাধিক শিশু ছিল। ইউনিসেফ এইসব মৃত্যুর অনেকের বিষয়ে ইতোমধ্যে রিপোর্ট করেছে এবং মোট কত শিশু নিহত বা আহত হয়েছে—তা স্পষ্ট করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রত্যেকের জন্য শোক প্রকাশ করছি।
অভ্যুত্থানে নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। তা ভাষ্যে, ‘এ সময় নারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের হুমকিসহ নানাপ্রকার জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনার নথি পাওয়া গেছে।’
‘শিশুরাও এই সহিংসতা থেকে রেহাই পায়নি; তাদের অনেককে হত্যা করা হয়, পঙ্গু করে দেওয়া হয়, নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়, অমানবিক অবস্থায় আটক করে রাখা হয় এবং নির্যাতন করা হয়।’
বিবৃতিতে শিশুদের ওপর সহিংসতার তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন ফ্লাওয়ার্স। বলেছেন, ‘একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ধানমণ্ডিতে, যেখানে ২০০টি ধাতব গুলি ছোড়ার কারণে ১২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে মারা যায়। আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জে; সেখানে ছয় বছর বয়সী এক কন্যাশিশু তার বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। এই বিক্ষোভের সবচেয়ে ভয়ংকর দিন ৫ আগস্ট পুলিশের গুলি চালানোর বর্ণনা দিয়ে আজমপুরের ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে বলে— সব জায়গায় বৃষ্টিপাতের মতো গুলি চলছিল। সে অন্তত এক ডজন মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিল সেদিন।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাগুলো অবশ্যই আমাদের সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলছে।’
বাংলাদেশের শিশুদের সঙ্গে আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে দেশের সকল মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে ৩২ শিশু নিহতের বিষয়ে ইউনিসেফের বিবৃতির জবাব দিল সরকার
প্রাপ্ত এসব ফলাফলের আলোকে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনা-বিষয়ক ইউনিসেফের আগের বিবৃতিগুলোর জের ধরে বাংলাদেশের সমস্ত নীতিনির্ধারক, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের শিশু, যুবসমাজ ও পরিবারগুলোকে শারীরিক ও মানসিক ক্ষত সারিয়ে ওঠার পাশাপাশি আশা সঞ্চার করে তাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
এজন্য তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে জাতিসংঘের শিশু-বিষয়ক এই সংস্থাটি:
প্রথমত, যেসব শিশু প্রাণ হারিয়েছে, তাদের ও তাদের শোকাহত পরিবারের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, যারা এখনও আটক অবস্থায় আছে এবং যাদের জীবন কোনো না কোনোভাবে এই ঘটনাগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, তাদের সবার জন্য পুনর্বাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একজোট হওয়া।
তৃতীয়ত ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এই সময়টাকে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সার্বিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সব রাজনৈতিক নেতা, দল ও নীতিনির্ধারকদের পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একজোট হতে হবে, যাতে বাংলাদেশের কোনো শিশুকে আর কখনও এমন বিচার-বহির্ভূতভাবে ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাবে আটক থাকতে না হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে গিয়ে, যা তাদের অধিকার, তাদের যেন নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হতে না হয়। আর এভাবে বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের অধিকার সমুন্নত রাখা সম্ভব।
জবাবদিহি ও সংস্কারের এই আহ্বানে ইউনিসেফ যেসব কাজে সহায়তা দিতে চায় তার মধ্যে রয়েছে—
১. শিশুদের প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও বেআইনিভাবে আটকে রাখার ক্ষেত্রে স্বাধীন তদন্ত নিশ্চিত করা।
২. বিচার খাতের সংস্কার নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিশু সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আদলে বাংলাদেশের আইনি কাঠামোকে সাজিয়ে তোলা।
৩. ভবিষ্যতে শিশু অধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধের জন্য স্বাধীন পর্যবেক্ষণ ও নীরিক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৪. আমরা সবাই শিশুদের উপযুক্ত এমন বিচার ব্যবস্থা চাই, যেটি শিশুদের অপরাধী হিসেবে দেখবে না, শিশুদের হুমকি হিসাবে বিবেচনার পরিবর্তে তাদের কথা ও ব্যাখ্যা বুঝবে; তাদের যত্ন, সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে সে মোতাবেক কাজ করবে।
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লব চলাকালে পরিকল্পিত দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে: জাতিসংঘ
৫. যেসব শিশু অপরাধ করেছে বলে আদালতে সাব্যস্ত হয়েছে, তাদের আটক করে না রেখে এর বিকল্প ব্যবস্থা বের করতে হবে। শাস্তি যা শিশুর স্থায়ী ক্ষতি করে, তার পরিবর্তে বিভিন্ন ডাইভারশন প্রোগ্রাম, প্রবেশন ও পুনর্বাসনমুখী বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
৬. শিশু-সংবেদনশীল আইনি প্রক্রিয়াগুলি নিশ্চিত করবে; যেখানে শিশুদের জন্য বিশেষ আদালত, আইনি সহায়তা এবং শিশু-সংবেদনশীল তদন্ত ব্যবস্থা থাকবে।
৭. শিশু ভুক্তভোগীদের রক্ষা করবে; ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে জবাবদিহির ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে ভবিষ্যতে শিশুদের অধিকার এমন লঙ্ঘন না হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এখন বড় এক পরিবর্তন, প্রত্যাশা ও রূপান্তরের দ্বারপ্রান্তে। সংস্কার কমিশনগুলো বর্তমানে পুলিশ, আদালত ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্নির্মাণে কার্যকর উপায় খুঁজে বের করতে যেভাবে কাজ করছে, তাতে তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও আরও ন্যায়সঙ্গত পরিবেশ তৈরির সুযোগ রয়েছে।
৭৬ দিন আগে
সরকারে জবাবদিহি নেই বলেই গ্যাসের দাম বাড়ছে: রিজভী
জবাবদিহি নেই বলেই সরকার গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘এই সরকারের জবাবদিহি থাকলে ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারে ১৯ টাকা বাড়ানো হতে পারে না। সীমিত আয়ের মানুষ যারা সিএনজি, রিকশাচালক কিংবা দিনমজুরি করে দিনানিপাত করে তাদের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ পড়বে। এই মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। এই সরকারের জবাবদিহি থাকলে গ্যাসের দাম বাড়াত না।’
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রয়ারি)দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের বাসায় হামলার অভিযোগ
রিজভী বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাপোর্ট দেই। কিন্তু আপনাদের (সরকারকে) মনে রাখতে হবে, আপনাদের সিদ্ধান্ত যেন গণবিরোধী না হয়, গরীব মানুষ মারার সিদ্ধান্ত যেন না হয়। এমনিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিন বাড়ছে। চালের দাম কমাতে পারেননি। তার মধ্যে যদি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, তাহলে সেটি ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ ছাড়া আর কিছুই নয়।”
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। সেই ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই দেশে কে সরকার গঠন করবে—তা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা করতে দেয়নি। ছাত্র-জনতার রক্তঝরা গণআন্দোলনে সেই ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য জনগণের আশা জাগানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক কিছু করার আছে।’
‘দেশের জনগণ গত ১৬-১৭ বছর ধরে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি। জনগণের চাওয়া—অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই পরিবেশটা তৈরি করবে, যাতে তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কারের নামে জনগণের চোখে ধোয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার করুক; তবে সংস্কারের সঙ্গে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে হবে।’
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সংগঠন কিংবা দল কারা তৈরি করবে—সেই দায়িত্ব হচ্ছে সেই ব্যক্তির। এই দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার নয়।’
দেশে গণতান্ত্রিক সরকার নেই বলেই অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগ বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক।
তার ভাষ্যে, ‘মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। এই অনিশ্চয়তা কাটানোর জন্যই রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন। বর্তমানে দেশকে বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আমাদের রিজার্ভ আবার কমতে শুরু করেছে। এগুলো দূরীভূত করতে হলে অবশ্যই নির্বাচিত সরকারের পথে হাঁটতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, সহ-অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, এস এ জিন্নাহ কবিরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২২
৮৬ দিন আগে
সরকার প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সরকার যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনা এবং হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, নাশকতা ও নাশকতাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার(২৮ জুলাই) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ নিশ্চিত করছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কথিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণের ভিত্তিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং নিরপরাধ নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার প্রতিশোধ বা হয়রানি না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই গঠিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিশন ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।
এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার ঘটনাসহ হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার সংশ্লিষ্ট ঘটনার দায় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিভাগীয় তদন্তও করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে আইনের গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করতে পারে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে বাড়াবাড়ি বা অন্যায়ের আশঙ্কা এড়াতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: সহিংসতা বন্ধ করে দেশে ইন্টারনেট ফেরানো ও দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের আহ্বান
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অব্যাহত ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছে বিবৃতিতে-
এক: অধিকাংশ শান্তিপূর্ণ ও ইস্যুভিত্তিক ছাত্র আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
দুই: সরকার পুনর্ব্যক্ত করছে যে, সব ধরনের হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার হবে। নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে যারাই সংশ্লিষ্ট থাক না কেন নির্বিশেষে দায়ীদের চিহ্নিত করা হবে।
তিন: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় মোতায়েন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে 'দেখামাত্র গুলি' করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
চার: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় নজরদারি, নির্দিষ্ট স্থানে আটকে পড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি চলাচলের সুবিধার্থে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পাঁচ: অসাবধানতাবশত একটি সাদা আর্মড-পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) মোতায়েনের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। যেটিতে জাতিসংঘের চিহ্নটি মুছে ফেলতে রঙ ব্যবহার করা হলেও তা দৃশ্যমান ছিল। ওই এপিসিটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে দ্রুতই তা পরিষেবা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে জাতিসংঘের প্রতীক ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী পরিবহনের অন্যান্য ছবির প্রমাণের স্বপক্ষে কোনো ভিত্তি নেই।
ছয়: ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বর্তমানে সম্পূর্ণ কার্যকারিতাসহ চালু করা হয়েছে। অস্থিরতা এবং সহিংসতার পুরো সময়কালে তারভিত্তিক এবং মোবাইল টেলিযোগাযোগসহ যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলো কার্যকর ছিল।
সাত: প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সবসময়ই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং কারফিউ চলাকালীন অন্যান্য জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ও গণমাধ্যম কর্মীদের এর আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, 'সরকার যেকোনো মূল্যে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মতামতের অধিকার সমুন্নত রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।’
পরিশেষে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা সংঘটিত অভূতপূর্ব ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকার ১৪টি বিদেশি মিশনের চিঠি
২৭৬ দিন আগে
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি করার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ফিলিস্তিনের নিরপরাধ জনগণের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গাম্বিয়ার বানজুলে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় বানজুলের স্যার দাওদা কাইরাবা জাওয়ারা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের পক্ষে এ বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনের অবিলম্বে অবসান, দুর্দশাগ্রস্তের জন্য নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ওআইসি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি ও শাস্তি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে গাজায় চলমান সংকট সমাধান সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী পররাষ্ট্রনীতি ও প্রজ্ঞায় মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান সদস্যপদ লাভের পর থেকেই ওআইসির বিভিন্ন উদ্যোগে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
বিশ্বব্যপী ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়ার বিস্তারে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ফোবিয়ার ক্রমবিস্তার রোধে ওআইসিকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা দায়ের করার জন্য গাম্বিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়াও সুষ্ঠুভাবে মামলা পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে অনুরোধ জানান।
এবারের ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সৌদি আরবের কাছ থেকে সভাপতিত্ব গ্রহণ করে গাম্বিয়া।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় ওআইসির মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, ৪-৫ মে গাম্বিয়ার বানজুলে আয়োজিত ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তার সঙ্গে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন- পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ায়ী, নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) ওয়াহিদা আহমেদ ও পদস্থ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ: লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩৬১ দিন আগে
মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জবাবদিহি নিশ্চিত করুন: ফরটিফাই রাইটস
ফরটিফাই রাইটস মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, মিয়ানমারে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত সব পক্ষের উচিৎ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য দেশগুলোর উচিৎ রোম সংবিধির ১৪ অনুচ্ছেদের অধীনে দেশের পরিস্থিতি চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পাঠানো।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের হপন নিয়ো লেইক গ্রামে ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী হামলার সময় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে হামলা, হত্যা, বেসামরিক বাড়িঘর ধ্বংস এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা নথিভুক্ত করেছে মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটস। এসব হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।
ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি বলেন, ‘যুদ্ধের আইন জান্তা বাহিনী ও সংঘাতের সমস্ত পক্ষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং যখনই সম্ভব বেসামরিক নাগরিকদের আসন্ন আক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে।’
আরও পড়ুন: নৃশংস অপরাধের জন্য মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক তদন্তে দেখা গেছে, সামরিক হামলার কার্যকর সতর্কবার্তা বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারত। জান্তার নৃশংস অপরাধ নিত্যদিনের ঘটনা। আইসিসির সদস্য দেশগুলোর উচিৎ জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি আদালতের কাছে পাঠানো এবং জান্তাকে বার্তা দেওয়া যে এসব হামলা অগ্রহণযোগ্য।’
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে টানা চার দিন ধরে উত্তর রাখাইন রাজ্যের বুথিডং টাউনশিপের হপন নিয়ো লেইক গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।
২৪ জানুয়ারি আরাকান আর্মি হপন নিয়ো লেইকে পরিখা খনন করার পর এই হামলা শুরু হয়।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার চার দিনের গোলাবর্ষণের ফলে ৪৪ জন বেসামরিক লোক হতাহত হন।এর মধ্যে কমপক্ষে ১২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত ও ৩২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ৮ শিশু ছিল এবং সবাই রোহিঙ্গা।
ঘটনাস্থল সূত্রে জানা গেছে, হামলায় হপন নিয়ো লেইক ও আশপাশের এলাকা থেকে শিশুসহ ১৫ হাজার বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
একজন কমিউনিটি ভিত্তিক কর্মী এবং হপন নিয়ো লেইকের বাসিন্দা গ্রামে ধ্বংস হওয়া ৪১টি বেসামরিক বাড়ি চিহ্নিত করেছেন। ওই এলাকায় আনুমানিক ১ হাজার বাড়ি রয়েছে।
বেসামরিক ভুক্তভোগী এবং আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের পাশাপাশি ধ্বংসপ্রাপ্ত সম্পত্তির মালিকদের নাম এবং শনাক্তকরণের তথ্য ফরটিফাই রাইটসের ফাইলে রয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফরটিফাই রাইটস বিশ্বাস করে যে মিয়ানমারের জান্তার লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন (এলআইডি) ২২, লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (এলআইবি) ৫৫১ ও মিলিটারি অপারেশনস কমান্ড (এমওসি) -১৫ সম্ভবত এই হামলার জন্য দায়ী এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য তাদের তদন্ত করা উচিৎ।
২০২৪ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ফরটিফাই রাইটস হপন নিয়ো লেইক গ্রামের চার বাসিন্দাসহ হামলায় বেঁচে যাওয়া ছয় রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়।
ফরটিফাই রাইটস মোবাইল ফোনের ভিডিও এবং কয়েক ডজন ছবি পর্যালোচনা করে দেখেছে যাতে আহত বেসামরিক নারী, পুরুষ ও শিশুদের পাশাপাশি জ্বলন্ত ভবন এবং বাড়িঘর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে।
হপন নিয়ো লেইকের বাসিন্দারা ফরটিফাই রাইটসকে বলেছেন, আরাকান আর্মি ২৪ জানুয়ারি গ্রামে পরিখা খনন করেছিল।
হপন নিয়ো লেইক গ্রামের ২২ বছর বয়সী এক কৃষক ফরটিফাই রাইটসকে বলেন, ‘আমার গ্রামে অনেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ জনের বেশি লাশ দেখেছি। এত ভারী গোলাবর্ষণ হয়েছিল যে আমি ও অন্যরা বাকি মৃত বা আহত গ্রামবাসীদের সন্ধান করার সাহস পাইনি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৪৩ দিন আগে
প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তিনি নিজেও থাকতে চান না। পেশাদারিত্বের সঙ্গে যদি কমিটি তৈরি হয় এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে কেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে তাকে নাক গলাতে হবে।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য নিয়ে কৌশলগত ও প্রশাসনিক দুই ধরনের বিষয়ই আছে। প্রশাসনিক বিষয়গুলো নিয়ে যদি সারাক্ষণ তিনি ব্যস্ত থাকেন তাহলে কৌশলগত বিষয় নিয়ে চিন্তা করবে কখন। আর চিন্তা করে সেগুলোকে মোকাবিলা করার রাস্তা বের করবে কখন।
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করার জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। চিন্তা করাটাও একটা কাজ। সারাক্ষণ তিনি প্রত্যেকটা কমিটিতে, প্রত্যেকটা কাজে, প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত থাকলে তাহলে মৌলিক জায়গাগুলোতে সমাধান বের করা সহজ হবে না।
অধ্যাপক আরাফাত মনে করেন, গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা যতটা দরকার ঠিক ততোটুকুই অপতথ্যকে দমন করা দরকার। এ ব্যাপারেও কারো কোনো দ্বিমত নেই। আবার একই সঙ্গে অপতথ্য যে সমাজে আছে এ ব্যাপারেও কারো কোনো দ্বিমত নেই। এগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে দমন করার উপায় আমাদের বের করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চান।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু বাণিজ্যিক বিষয় আছে, কিছু স্বার্থের বিষয় থেকে যায়। সামাজিকভাবে কেউ স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা সবাইকে খুশি করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, সবকিছু ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিক সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হবে। কিন্তু সিদ্ধান্তটা নিতে হবে দিন শেষে বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে।
আরও পড়ুন: অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৪৫৮ দিন আগে
অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
স্বাধীন ও গুজবমুক্ত গণমাধ্যম প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই। আমরা দিন শেষে চাই গুজব বা রিউমারমুক্ত গণমাধ্যম।’
তিনি বলেন, যেখানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকবে এবং সরকার বা কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে। উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকবে এবং সমালোচনার জায়গা থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) নেতাদের সঙ্গে এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, কিছু কিছু সমালোচনা হবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে, সেগুলো জেনে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি চান সমালোচনা হোক সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে।
তিনি বলেন, সরকার বা সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজ নিয়ে যদি কোনো বিচ্যুতি বা ব্যর্থতা থাকে অবশ্যই সমালোচনা হবে এবং সেটা যদি প্রথম পাতায় প্রিন্ট মিডিয়া বা ইলেক্টনিক মিডিয়াতে হেডলাইনে থাকে তাহলে সরকারের সেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ব্যক্তিরা যে জবাব দেবেন সেই জবাবগুলো যাতে একইভাবে গুরুত্বসহকারে মিডিয়াতে আসে।
তিনি আরও বলেন, যেন জনগণ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। কারণ গণতন্ত্রে কিন্তু মানুষকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং ইনফর্ম ডিসিশন নিতে হয়।
আরাফাত বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে এক ধরনের অপচেষ্টা চলে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যে বিস্তৃতি ঘটেছে সেখানে কীভাবে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায় এবং শৃঙ্খলা আনা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।
আরাফাত বলেন, প্রথমেই সতর্ক থাকতে হবে, আমরা যেমন মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) নির্মূল করতে চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই কিন্তু সেটি করতে গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেখানে যেন ওভারস্টেপ না হয়।
তবে দেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধ এবং ৩০ লাখ শহিদদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। এগুলো দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড।
তিনি মনে করেন আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমালোচনার জায়গা রেখে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সেই চেষ্টা থাকবে।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৪৬২ দিন আগে
বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকার একটি কার্যকর কাঠামো বিবেচনা করছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক্সের (টুইটার) এক পোস্টে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ায় তাদের কীভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় তার একটি কাঠামো বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, অপপ্রচার রোধে মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করছে সরকার।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
৪৬৭ দিন আগে
অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে জবাদিহির আওতায় আনা যায় সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চান নবনিযুক্ত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার হচ্ছে। অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করেও অপপ্রচার হয়। সমস্যা যেটি হয়, এই অপপ্রচার রোধ করতে গিয়ে আমরা চিন্তা করি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, যেহেতু নতুন একটা ফেনামেনা তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিস্তৃতি ঘটে এই জায়গায় এসেছে। কাজেই নতুনভাবে আমাদের ভেবে কর্মকৌশল নিতে হবে।
তিনি বলেন, কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে পারি, সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে পারি। কারণ দিন শেষে সবকিছু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে, যদি অপপ্রচার অবাধ ও স্বাধীনভাবে বিস্তৃতি লাভ করার সুযোগ পায়। তাহলে কিন্তু কোনোকিছুই দিন শেষে গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না, সেটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলি আর যাই বলি। সেখানে আমাদের একটি কর্মকৌশল নিতে হবে আলাদা করে।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশকে নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর ক্যাম্পেইন হচ্ছে। সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য নিয়ে যে অভিজ্ঞতা আছে, তার কাছ থেকে সহায়তা নেব।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের পূর্ণাঙ্গ অঙ্গিকার আছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের অগ্রগতির স্বার্থে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমরা নিশ্চিত করেছি এবং করতে চাই।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, একই সঙ্গে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী যদি অপপ্রচার বা মিথ্যাচার করে সেটি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ সাধারণ মানুষ কিন্তু এটা ডিজার্ভ করে না। তার জন্য এটা অবিচার হয়, আপনি যখন অসত্য বলে তাকে ধোকা দেন। এই অসত্য এবং অপপ্রচারকে কীভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা যায় সেই বিষয়গুলো যাতে সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ আরও সুন্দরভাবে তৈরি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আগামীতে কাজ করতে চাই।
এ সময় সদ্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদায় নেন এবং নতুন প্রতিমন্ত্রীকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
৪৭৩ দিন আগে