জবাবদিহি
সরকার প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সরকার যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনা এবং হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, নাশকতা ও নাশকতাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার(২৮ জুলাই) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ নিশ্চিত করছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কথিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণের ভিত্তিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং নিরপরাধ নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার প্রতিশোধ বা হয়রানি না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই গঠিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিশন ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।
এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার ঘটনাসহ হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার সংশ্লিষ্ট ঘটনার দায় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিভাগীয় তদন্তও করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে আইনের গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করতে পারে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে বাড়াবাড়ি বা অন্যায়ের আশঙ্কা এড়াতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: সহিংসতা বন্ধ করে দেশে ইন্টারনেট ফেরানো ও দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের আহ্বান
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অব্যাহত ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছে বিবৃতিতে-
এক: অধিকাংশ শান্তিপূর্ণ ও ইস্যুভিত্তিক ছাত্র আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
দুই: সরকার পুনর্ব্যক্ত করছে যে, সব ধরনের হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার হবে। নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে যারাই সংশ্লিষ্ট থাক না কেন নির্বিশেষে দায়ীদের চিহ্নিত করা হবে।
তিন: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় মোতায়েন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে 'দেখামাত্র গুলি' করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
চার: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় নজরদারি, নির্দিষ্ট স্থানে আটকে পড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি চলাচলের সুবিধার্থে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পাঁচ: অসাবধানতাবশত একটি সাদা আর্মড-পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) মোতায়েনের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। যেটিতে জাতিসংঘের চিহ্নটি মুছে ফেলতে রঙ ব্যবহার করা হলেও তা দৃশ্যমান ছিল। ওই এপিসিটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে দ্রুতই তা পরিষেবা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে জাতিসংঘের প্রতীক ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী পরিবহনের অন্যান্য ছবির প্রমাণের স্বপক্ষে কোনো ভিত্তি নেই।
ছয়: ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বর্তমানে সম্পূর্ণ কার্যকারিতাসহ চালু করা হয়েছে। অস্থিরতা এবং সহিংসতার পুরো সময়কালে তারভিত্তিক এবং মোবাইল টেলিযোগাযোগসহ যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলো কার্যকর ছিল।
সাত: প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সবসময়ই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং কারফিউ চলাকালীন অন্যান্য জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ও গণমাধ্যম কর্মীদের এর আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, 'সরকার যেকোনো মূল্যে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মতামতের অধিকার সমুন্নত রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।’
পরিশেষে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা সংঘটিত অভূতপূর্ব ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকার ১৪টি বিদেশি মিশনের চিঠি
৪ মাস আগে
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি করার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ফিলিস্তিনের নিরপরাধ জনগণের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গাম্বিয়ার বানজুলে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় বানজুলের স্যার দাওদা কাইরাবা জাওয়ারা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের পক্ষে এ বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনের অবিলম্বে অবসান, দুর্দশাগ্রস্তের জন্য নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ওআইসি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি ও শাস্তি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে গাজায় চলমান সংকট সমাধান সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী পররাষ্ট্রনীতি ও প্রজ্ঞায় মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান সদস্যপদ লাভের পর থেকেই ওআইসির বিভিন্ন উদ্যোগে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
বিশ্বব্যপী ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়ার বিস্তারে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ফোবিয়ার ক্রমবিস্তার রোধে ওআইসিকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা দায়ের করার জন্য গাম্বিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়াও সুষ্ঠুভাবে মামলা পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে অনুরোধ জানান।
এবারের ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সৌদি আরবের কাছ থেকে সভাপতিত্ব গ্রহণ করে গাম্বিয়া।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় ওআইসির মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, ৪-৫ মে গাম্বিয়ার বানজুলে আয়োজিত ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তার সঙ্গে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন- পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ায়ী, নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) ওয়াহিদা আহমেদ ও পদস্থ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ: লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জবাবদিহি নিশ্চিত করুন: ফরটিফাই রাইটস
ফরটিফাই রাইটস মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, মিয়ানমারে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত সব পক্ষের উচিৎ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য দেশগুলোর উচিৎ রোম সংবিধির ১৪ অনুচ্ছেদের অধীনে দেশের পরিস্থিতি চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পাঠানো।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের হপন নিয়ো লেইক গ্রামে ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী হামলার সময় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে হামলা, হত্যা, বেসামরিক বাড়িঘর ধ্বংস এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা নথিভুক্ত করেছে মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটস। এসব হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।
ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি বলেন, ‘যুদ্ধের আইন জান্তা বাহিনী ও সংঘাতের সমস্ত পক্ষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং যখনই সম্ভব বেসামরিক নাগরিকদের আসন্ন আক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে।’
আরও পড়ুন: নৃশংস অপরাধের জন্য মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক তদন্তে দেখা গেছে, সামরিক হামলার কার্যকর সতর্কবার্তা বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারত। জান্তার নৃশংস অপরাধ নিত্যদিনের ঘটনা। আইসিসির সদস্য দেশগুলোর উচিৎ জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি আদালতের কাছে পাঠানো এবং জান্তাকে বার্তা দেওয়া যে এসব হামলা অগ্রহণযোগ্য।’
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে টানা চার দিন ধরে উত্তর রাখাইন রাজ্যের বুথিডং টাউনশিপের হপন নিয়ো লেইক গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।
২৪ জানুয়ারি আরাকান আর্মি হপন নিয়ো লেইকে পরিখা খনন করার পর এই হামলা শুরু হয়।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার চার দিনের গোলাবর্ষণের ফলে ৪৪ জন বেসামরিক লোক হতাহত হন।এর মধ্যে কমপক্ষে ১২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত ও ৩২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ৮ শিশু ছিল এবং সবাই রোহিঙ্গা।
ঘটনাস্থল সূত্রে জানা গেছে, হামলায় হপন নিয়ো লেইক ও আশপাশের এলাকা থেকে শিশুসহ ১৫ হাজার বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
একজন কমিউনিটি ভিত্তিক কর্মী এবং হপন নিয়ো লেইকের বাসিন্দা গ্রামে ধ্বংস হওয়া ৪১টি বেসামরিক বাড়ি চিহ্নিত করেছেন। ওই এলাকায় আনুমানিক ১ হাজার বাড়ি রয়েছে।
বেসামরিক ভুক্তভোগী এবং আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের পাশাপাশি ধ্বংসপ্রাপ্ত সম্পত্তির মালিকদের নাম এবং শনাক্তকরণের তথ্য ফরটিফাই রাইটসের ফাইলে রয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফরটিফাই রাইটস বিশ্বাস করে যে মিয়ানমারের জান্তার লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন (এলআইডি) ২২, লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (এলআইবি) ৫৫১ ও মিলিটারি অপারেশনস কমান্ড (এমওসি) -১৫ সম্ভবত এই হামলার জন্য দায়ী এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য তাদের তদন্ত করা উচিৎ।
২০২৪ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ফরটিফাই রাইটস হপন নিয়ো লেইক গ্রামের চার বাসিন্দাসহ হামলায় বেঁচে যাওয়া ছয় রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়।
ফরটিফাই রাইটস মোবাইল ফোনের ভিডিও এবং কয়েক ডজন ছবি পর্যালোচনা করে দেখেছে যাতে আহত বেসামরিক নারী, পুরুষ ও শিশুদের পাশাপাশি জ্বলন্ত ভবন এবং বাড়িঘর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে।
হপন নিয়ো লেইকের বাসিন্দারা ফরটিফাই রাইটসকে বলেছেন, আরাকান আর্মি ২৪ জানুয়ারি গ্রামে পরিখা খনন করেছিল।
হপন নিয়ো লেইক গ্রামের ২২ বছর বয়সী এক কৃষক ফরটিফাই রাইটসকে বলেন, ‘আমার গ্রামে অনেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ জনের বেশি লাশ দেখেছি। এত ভারী গোলাবর্ষণ হয়েছিল যে আমি ও অন্যরা বাকি মৃত বা আহত গ্রামবাসীদের সন্ধান করার সাহস পাইনি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তিনি নিজেও থাকতে চান না। পেশাদারিত্বের সঙ্গে যদি কমিটি তৈরি হয় এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে কেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে তাকে নাক গলাতে হবে।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য নিয়ে কৌশলগত ও প্রশাসনিক দুই ধরনের বিষয়ই আছে। প্রশাসনিক বিষয়গুলো নিয়ে যদি সারাক্ষণ তিনি ব্যস্ত থাকেন তাহলে কৌশলগত বিষয় নিয়ে চিন্তা করবে কখন। আর চিন্তা করে সেগুলোকে মোকাবিলা করার রাস্তা বের করবে কখন।
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করার জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। চিন্তা করাটাও একটা কাজ। সারাক্ষণ তিনি প্রত্যেকটা কমিটিতে, প্রত্যেকটা কাজে, প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত থাকলে তাহলে মৌলিক জায়গাগুলোতে সমাধান বের করা সহজ হবে না।
অধ্যাপক আরাফাত মনে করেন, গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা যতটা দরকার ঠিক ততোটুকুই অপতথ্যকে দমন করা দরকার। এ ব্যাপারেও কারো কোনো দ্বিমত নেই। আবার একই সঙ্গে অপতথ্য যে সমাজে আছে এ ব্যাপারেও কারো কোনো দ্বিমত নেই। এগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে দমন করার উপায় আমাদের বের করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চান।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু বাণিজ্যিক বিষয় আছে, কিছু স্বার্থের বিষয় থেকে যায়। সামাজিকভাবে কেউ স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা সবাইকে খুশি করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, সবকিছু ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিক সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হবে। কিন্তু সিদ্ধান্তটা নিতে হবে দিন শেষে বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে।
আরও পড়ুন: অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
স্বাধীন ও গুজবমুক্ত গণমাধ্যম প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই। আমরা দিন শেষে চাই গুজব বা রিউমারমুক্ত গণমাধ্যম।’
তিনি বলেন, যেখানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকবে এবং সরকার বা কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে। উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকবে এবং সমালোচনার জায়গা থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) নেতাদের সঙ্গে এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, কিছু কিছু সমালোচনা হবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে, সেগুলো জেনে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি চান সমালোচনা হোক সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে।
তিনি বলেন, সরকার বা সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজ নিয়ে যদি কোনো বিচ্যুতি বা ব্যর্থতা থাকে অবশ্যই সমালোচনা হবে এবং সেটা যদি প্রথম পাতায় প্রিন্ট মিডিয়া বা ইলেক্টনিক মিডিয়াতে হেডলাইনে থাকে তাহলে সরকারের সেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ব্যক্তিরা যে জবাব দেবেন সেই জবাবগুলো যাতে একইভাবে গুরুত্বসহকারে মিডিয়াতে আসে।
তিনি আরও বলেন, যেন জনগণ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। কারণ গণতন্ত্রে কিন্তু মানুষকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং ইনফর্ম ডিসিশন নিতে হয়।
আরাফাত বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে এক ধরনের অপচেষ্টা চলে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যে বিস্তৃতি ঘটেছে সেখানে কীভাবে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায় এবং শৃঙ্খলা আনা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।
আরাফাত বলেন, প্রথমেই সতর্ক থাকতে হবে, আমরা যেমন মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) নির্মূল করতে চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই কিন্তু সেটি করতে গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেখানে যেন ওভারস্টেপ না হয়।
তবে দেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধ এবং ৩০ লাখ শহিদদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। এগুলো দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড।
তিনি মনে করেন আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমালোচনার জায়গা রেখে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সেই চেষ্টা থাকবে।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকার একটি কার্যকর কাঠামো বিবেচনা করছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক্সের (টুইটার) এক পোস্টে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ায় তাদের কীভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় তার একটি কাঠামো বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, অপপ্রচার রোধে মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করছে সরকার।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
১১ মাস আগে
অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে জবাদিহির আওতায় আনা যায় সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চান নবনিযুক্ত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার হচ্ছে। অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করেও অপপ্রচার হয়। সমস্যা যেটি হয়, এই অপপ্রচার রোধ করতে গিয়ে আমরা চিন্তা করি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, যেহেতু নতুন একটা ফেনামেনা তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিস্তৃতি ঘটে এই জায়গায় এসেছে। কাজেই নতুনভাবে আমাদের ভেবে কর্মকৌশল নিতে হবে।
তিনি বলেন, কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে পারি, সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে পারি। কারণ দিন শেষে সবকিছু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে, যদি অপপ্রচার অবাধ ও স্বাধীনভাবে বিস্তৃতি লাভ করার সুযোগ পায়। তাহলে কিন্তু কোনোকিছুই দিন শেষে গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না, সেটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলি আর যাই বলি। সেখানে আমাদের একটি কর্মকৌশল নিতে হবে আলাদা করে।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশকে নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর ক্যাম্পেইন হচ্ছে। সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য নিয়ে যে অভিজ্ঞতা আছে, তার কাছ থেকে সহায়তা নেব।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের পূর্ণাঙ্গ অঙ্গিকার আছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের অগ্রগতির স্বার্থে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমরা নিশ্চিত করেছি এবং করতে চাই।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, একই সঙ্গে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী যদি অপপ্রচার বা মিথ্যাচার করে সেটি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ সাধারণ মানুষ কিন্তু এটা ডিজার্ভ করে না। তার জন্য এটা অবিচার হয়, আপনি যখন অসত্য বলে তাকে ধোকা দেন। এই অসত্য এবং অপপ্রচারকে কীভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা যায় সেই বিষয়গুলো যাতে সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ আরও সুন্দরভাবে তৈরি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আগামীতে কাজ করতে চাই।
এ সময় সদ্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদায় নেন এবং নতুন প্রতিমন্ত্রীকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
১১ মাস আগে
স্বচ্ছতা-জবাবদিহি বজায় রেখে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে ডিএসসিসি: তাপস
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বর্তমানে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র তাপস বলেন, বর্তমানে আমরা নিয়মিতভাবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বরাদ্দ গ্রহীতাদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় দোকান বরাদ্দ দিচ্ছি। এই বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিয়ে আগে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা হতো।
আরও পড়ুন: সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত সিদ্দিক বাজার আধুনিক নগর মার্কেটে বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকানিদের মধ্যে বরাদ্দপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে সেসব বিষয়কে আমরা কঠোরভাবে দমন করেছি। এখন এই প্রক্রিয়ায় আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করেছি।
ক্ষতিগ্রস্তদেরও যথাযথভাবে পুনর্বাসন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, শুধু নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রেই নয় বরং পুনর্নির্মাণ কার্যক্রমে যেসব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমরা তাদেরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসন করছি।
অনুষ্ঠানে ৩০৩ জন বরাদ্দ গ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে 'গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস' গঠন
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও সুরক্ষার লক্ষ্যে গঠিত গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সমাজের সকল অংশীদারদের নতুন নতুন প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।’
নতুন গঠিত এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস-এ কো-চেয়ার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ, মিশর, ফ্রান্স, ভারত, মরক্কো ও নেপাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। বাংলাদেশসহ অন্য পাঁচটি সহ-সভাপতি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিগণ স্ব স্ব দেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এবং অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী
শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে একটি বহু অংশীদারিত্বভিত্তিক প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জবাবদিহিতার বিষয়টিকে নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার ওপর জোর দেন।
প্রদত্ত্ব বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দূরদর্শিতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন, তা থেকেই উদ্ভূত হয়েছে বিশ্ব শান্তি রক্ষার প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অঙ্গিকার।
আরও পড়ুন: পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
তিনি শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সৃষ্ট অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও সুরক্ষার লক্ষ্যে তিনি স্বাগতিক দেশের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা, ঘটনার দ্রুত তদন্ত, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্বাগতিক দেশের স্বক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির বাস্তবায়ন এবং ভুল ও বিকৃত তথ্যের প্রচার বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নবসৃষ্ট এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসটি যেসকল কাজ করবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-স্বাগতিক দেশকে সহযোগিতা প্রদান, মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি, সঠিক তথ্যের আদান-প্রদান, সর্বোত্তম অনুশীলন ও সম্পদ ভাগাভাগি এবং সহযোগিতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ। এসকল কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রুপটি শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার সহিংসতামূলক কার্যকলাপ প্রতিহত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী দিনে ৩৬টি দেশ গ্রুপটিতে যোগদান করে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা আবশ্যক: হেগে বক্তারা
রোহিঙ্গাদের টেকসই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও রোম সংবিধির রাষ্ট্রপক্ষগুলোকে দৃঢ়তার সঙ্গে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে হবে। বক্তারা শুক্রবার হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) ২১তম বার্ষিক সমাবেশ চলাকালীন একটি ইভেন্টে একথা বলেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস, গাম্বিয়া সরকার ও নো পিস উইথআউট জাস্টিস যৌথভাবে ‘রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার’ শিরোনামের একটি সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, আইসিসির ডেপুটি প্রসিকিউটর নাজহাত শামীম খান, বার্মা রোহিঙ্গা অরগানাইজেশন ইউকে এর প্রেসিডেন্ট তুন খিন, রাখাইন রাজ্যের উপদেষ্টা কমিশনের সাবেক সদস্য ল্যাটিশিয়া ভ্যান ডেন অ্যাসুম ও গাম্বিয়ান সলিসিটর জেনারেল হুসেইন থমাসি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ল্যাভরভের আসন্ন সফরে জ্বালানি সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা সংকটের ওপর ফোকাস দিবে ঢাকা
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ বলেন, টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের নতুন ফেডারেল কাঠামোর মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমারের অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্পর্কিত সমস্যাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক গোষ্ঠী, সুশীল সমাজ, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক, আসিয়ান অঞ্চলের নেতাদের এই অঞ্চলের যৌথ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে দেশটির পরিস্থিতির দিকে নজর দেয়া দরকার। মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রাজনৈতিক সমাধানে সমানভাবে নজর দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
রোহিঙ্গা নেতা থুন খিন রোহিঙ্গাদেরকে স্থান দেয়া ও তাদের পক্ষে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আর্জেন্টিনার আদালতে চলমান মামলার ওপর আলোকপাত করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ডেপুটি প্রসিকিউটর নাজহাত খান রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের আইসিসি মামলার তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
গাম্বিয়ান সলিসিটর জেনারেল বলেন, গাম্বিয়া নিজেই দুই দশকের স্বৈরাচারী শাসনের শিকার হয়েছে। তাই তারা গণহত্যা কনভেনশনের সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছে।
রাষ্ট্রদূত ল্যাটিশিয়া আসুম বলেন, অভ্যুত্থানের পর থেকে দুই বছর ধরে মিয়ানমারের স্থল পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ আসিয়ান দেশের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থল সীমানা নেই। তাই তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রতিবেশি দেশগুলোর ওপর যে বোঝা তা যথাযথ বোঝে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে জাপানের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
২ বছর আগে