প্রত্যাশা
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছে সরকার
চলমান আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সোমবার (২৮ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আপনারা তা জানতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিকে রাজনৈতিক হিসেবে দেখছে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপদেষ্টা পরিষদও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে এবং সকল রাজনৈতিক পক্ষ ও ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, প্রধান সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি, মুখপাত্র সামান্থা শারমিন ও আকতার হোসেন বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জামায়াত ও ১২ দলীয় জোটের নেতারা একমত পোষণ করেছেন।
আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'দেশব্যাপী অস্বস্তির সৃষ্টি হওয়ায় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।’
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রবিবার তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জোর দিয়ে বলেছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই যেকোনো বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে পদক্ষেপ নেওয়া এড়াতে হবে এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে কাজ করা উচিত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা মনে করি, কোনো ধরনের স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ না নিয়ে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। বিএনপির অবস্থান আমরা এভাবে দিতে পারি না। আমাদের দলীয় ফোরাম আছে, বিষয়টি নিয়ে ফোরামে আলোচনা করে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব।’
দলটি প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
১ মাস আগে
জাতি সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট প্রত্যাশা করে না: বিএনপি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবির মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট জাতি প্রত্যাশা করে না।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে বিভিন্ন চক্রান্তের মাধ্যমে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপতির পদ সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ এবং এটি একটি প্রতিষ্ঠানও। পদত্যাগ বা অপসারণের কারণে এই পদ শূন্য হলে তা সাংবিধানিক ও জাতীয় সংকট তৈরি করবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকটের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ যদি বিলম্বিত হয় বা বাধাগ্রস্ত হয়, তবে তা জাতির আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যাবে।
ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা যাতে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাতি ঐক্যবদ্ধ এবং সম্মিলিতভাবে এসব চ্যালেঞ্জ ও চক্রান্ত মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
বিএনপি রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ চায় কিনা জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য থাকলে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে, যা জাতি আশা করে না।’
আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
'জনতার চোখ' পত্রিকায় এক নিবন্ধে মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী দাবি করেছেন রাষ্ট্রপতি তাকে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার কাছ থেকে তিনি(রাষ্ট্রপতি) কোনো পদত্যাগপত্র পাননি।’মূলত এর পরই একদল ছাত্র-জনতা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র না পাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করে বলেন, ‘তার বক্তব্য তার শপথ ভঙ্গের শামিল। শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি বলে রাষ্ট্রপতির দাবি মিথ্যা ও শপথের লঙ্ঘন।’
এর আগে সালাহউদ্দিনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা নস্যাতে জাতীয় ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, তারা গণতন্ত্রপন্থী সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের যেকোনো ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবেন।
সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে নজরুল ইসলাম খান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা তাদের কাছে কোনো মতামত চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে নজরুল বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তবে দেশে যাতে নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট তৈরি না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক-রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির প্রচেষ্টা বানচালে ঐক্যের আহ্বান বিএনপির
১ মাস আগে
জুলাই আন্দোলনের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাজের বিভিন্ন স্তরের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মঞ্চ হিসেবে রবিবার আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
ঘোষিত ৫৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে আজ। এই কমিটি অংশীজনদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শ উপলব্ধি করে তার নিষ্পত্তির জন্য কাজ করবে এবং সব ধরনের ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
সংগঠনের পক্ষে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পাটোয়ারী এ কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন গত বছর গঠিত বিকল্প ছাত্র প্লাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পেছন থেকে অগ্রণী ভূমিকা ছিল আখতারের।
১৭ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বন্দি ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী সামান্থা শারমিনকে কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে।
কমিটি গঠন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সামান্থা জানান, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তারা কাজ শুরু করেছেন।
নেতারা বলেন, অতি শিগগিরই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
মুখপাত্র বলেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত এই কমিটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা ছাত্র অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করব এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করব।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আরিফুল ইসলাম আদিব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারওয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদী, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশিদ দিয়া, প্রাঞ্জল কোস্তা, মইনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুজাইফা ইবনে ওমর, শ্রবনা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা ও সানজিদা রহমান তুলি;
আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক ম্রি, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, আজহার উদ্দিন অনিক, মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মনজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাস, তাজনুভা জাবিন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক-উস-সালেহীন, তাহসিন রিয়াজ, হাসান আলী খান, আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান;
ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, তানজিল মাহমুদ, এস এম সুজা, আরিফুর রহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মদ মুক্তাদির, আকরাম হোসেন।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্র-জনতার বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে গিয়ে গুরুতর আহতদের খোঁজখবর নিলেন প্রধান উপদেষ্টা
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে প্রক্রিয়া বলা সম্ভব নয়। আমাদের ছাত্র-জনতার কাছে ফেরত যেতে হবে। তাদের কাছ থেকে দাবিটা আসতে হবে। তারা কী নতুন সংবিধান চায়, নাকি পুরোনো সংবিধান সংস্কার করে সংশোধনের মাধ্যমে আনতে চায়। এ বিষয়ে জনগণের রায় নিতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। এছাড়া ছাত্র-জনতার যে সমন্বয়করা রয়েছেন তারা এ বিষয়ে (সংবিধান সংশোধন) দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আপনারা কী করছেন জানতে চাইলে এ এফ হাসান আরিফ বলেন, এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তবে আপনাদের প্রত্যাশা যে কালকেই পূরণ হতে হবে, সেটা নয়। ছাত্র-জনতার বক্তব্য কী? সেটা একটু শুনুন। আমরা সেকেন্ডারি (দ্বিতীয় স্তরে)।
আরও পড়ুন: ঢাকা নদী বন্দরের ঘাটের রাজস্ব বাড়াতে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার তাগিদ নৌ উপদেষ্টার
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি তোমাদের অনুরোধ করব- সমন্বয়ের সঙ্গে জড়িত, ছাত্র-জনতা শ্রমিক বিপ্লবের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হও। আমরা কিন্তু সেকেন্ডারি, ওখান থেকে তোমার প্রশ্নের উত্তরগুলো আসবে। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেটা আমরা এক্সিকিউট (বাস্তবায়ন) করব। আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা, আমি যেই হই না কেন, আমার ৫৭ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকুক না কেন, সেটা মুখ্য নয়। প্রথমে হচ্ছেন তারা (সমন্বয়ক)। ডেফিনেটলি এটা একটা মেজর- ইস্যু ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন।
উপদেষ্টা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে আনা যায় সেটা নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে যে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর নাকি চার বছর করা হবে। সেটা আলোচনা করে নির্ধারণ করতে হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের যদি চার বছর হতে পারে, আমরা থার্ড ওয়ার্ল্ডের দেশ, আমাদের কেন পাঁচ বছর লাগবে।
আরও পড়ুন: গণভবনে নির্মিতব্য স্মৃতি জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
স্টারমারের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে স্টারমারের যোগ্য নেতৃত্বে লেবার পার্টির নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে তার সরকার।
আরও পড়ুন: পরাজয় মেনে প্রধানমন্ত্রীর শেষ ভাষণ দিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়েছেন সুনাক
প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে বলেন, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ৭ লাখেরও বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যোগী বাংলাদেশি-ব্রিটিশ প্রবাসীর অমূল্য অবদান আমাদের দুই দেশের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ লাগাতে হবে।’
লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে গত ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্টারমারের দলের ঐতিহাসিক বিজয় এবং যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্বভার গ্রহণে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার
শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রচারে আপনার নেতৃত্বের প্রতি ব্রিটিশ জনগণের বিশ্বাস ও বিশ্বাসের স্পষ্ট প্রমাণ এই জয়।’
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে লেবার পার্টি ও দলের স্যার হ্যারল্ড উইলসন, টমাস উইলিয়ামস কেসি ও লর্ড পিটার শোরের মতো শ্রেষ্ঠ নেতাদের স্থায়ী বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল আকাঙ্ক্ষার সাধারণ মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমি আপনার স্বাস্থ্য, সুখ ও সাফল্য কামনা করছি এবং এই মহান দায়িত্ব ও যুক্তরাজ্যের বন্ধুপ্রতীম জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
দেশে ফিনল্যান্ড-গুয়াতেমালা ও আয়ারল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ফিনল্যান্ড, গুয়েতেমালা ও আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে তাদের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে পৃথকভাবে পরিচয়পত্র গ্রহণের পর তিনি এ কথা বলেন।
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা হলেন- ফিনল্যান্ডের কিমো লাহডেভিরতা, গুয়েতেমালার ওমর কাস্তেনেদা সোলারেস ও আয়ারল্যান্ডের কেভিন কেলি।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনস্বার্থ বিষয়ে গুরুত্ব দিন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এখানে নতুন দূতদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এই তিন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সংহত হবে।
বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশ ও নিজ নিজ দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সব সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
তিনি তিন দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনুসন্ধানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সফরের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ মানবিক কারণে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিলেও এখন এটি একটি জটিল আর্থ-সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বন্ধুপ্রতীম দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূরা নিজ নিজ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতিতে দুঃখ ও সমবেদনা জানান।
রিমালসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের সাফল্যের প্রশংসা করে তারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের আগমনের সময় তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৬ মাস আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কী প্রত্যাশা
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে অনেক পণ্য ও সেবার ওপর শুল্কহার ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সব পণ্য ও সেবায় সমানভাবে এই ভ্যাট প্রয়োগের প্রস্তাব থাকলেও পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট হার হবে ১৫ শতাংশ, এতে ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হতে পারে।
বর্তমানে এনবিআর বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর ২, ৩, ৫ , ৭.৫, ১০ ও ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু খাতে ভ্যাট অব্যাহতি পর্যায়ক্রমে তুলে নিয়ে অভিন্ন ভ্যাট হারের দিকে এগোনোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাড়ছে মোবাইল ফোনের কল খরচ
রাজস্ব আদায় বাড়াতে মোবাইল ফোন কলের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে ইতিবাচক সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে গ্রাহকরা ১০০ টাকা দিয়ে মোবাইল রিচার্জ করলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ কেটে নেওয়ার পর ৭৩ টাকার কথা বলতে পারেন। আবারও সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানো হলে গ্রাহকরা ১০০ টাকার মধ্যে ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার কথা বলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা নিয়ে সংকোচে অর্থ প্রতিমন্ত্রী
গাড়ি আমদানিতে শুল্ক দিতে হবে সংসদ সদস্যদের
বর্তমানে সংসদ সদস্যরা বিনা শুল্কে গাড়ি আমদানি করতে পারেন। তবে বৈষম্য কমাতে এ সুবিধা বাতিল করতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি হাইটেক পার্কের জন্য আমদানি করা যেসব গাড়ি আগে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেত, সেসব গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে।
ব্যাগেজ নিয়ম অপরিবর্তিত থাকছে
বর্তমান নিয়মানুযায়ী একজন যাত্রী ৪ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করে ১১৭ গ্রাম স্বর্ণ আনতে পারেন। এনবিআর এটি বছরে একবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব করেছিল, তবে প্রধানমন্ত্রী এতে ভেটো দেন। প্রতিবার স্বর্ণ আনার সময় কর আদায় করা হবে, এমনকি বছরে একবারের সীমা পার করলেও।
করপোরেট করহার
শর্তসাপেক্ষে করপোরেট কর হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। প্রধানমন্ত্রী উৎপাদনশীল খাতে তালিকাভুক্ত নয় এমন শিল্পে কর সাড়ে ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। তবে অন্য সব খাতে কর অপরিবর্তিত থাকবে।
কৃষি উপকরণ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা
কৃষি উপকরণ ও সার আমদানিতে শুল্ক না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর অর্থ হলো এসব পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে না।
আয়কর মূল্যায়ন
করদাতার হয়রানি কমাতে ও রাজস্ব আদায় বাড়াতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়কেই পরবর্তী বাজেটে স্ব-মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে আয়কর দাখিল করতে হবে। এই পদ্ধতি আয়কর মূল্যায়নগুলো এড়িয়ে যায়, যা বর্তমানে পৃথক করদাতাদের জন্য এবং সংস্থাগুলোর জন্য ঐচ্ছিকভাবে প্রয়োজনীয়। আগামী বাজেটে আয়কর আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন প্রধানমন্ত্রীর, ৬ জুন সংসদে পেশ
বাড়ছে না করমুক্ত আয়ের সীমা
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির পরও আসন্ন বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা বাড়বে না। গত বছর এই সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়।
কর বাড়ছে ধনীদের
রাজস্ব আদায় বাড়াতে বিত্তবানদের ওপর বাড়তি কর আরোপের পরিকল্পনা করছে এনবিআর। ১৬ লাখ টাকার বেশি বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ের করহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতি হ্রাস এবং শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ থেকে মূলধনী আয়ের উপর কর ছাড় প্রত্যাহারের পরিকল্পনাও রয়েছে।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। তবে পরে এটি সংশোধন করে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন ৫ জুন
৬ মাস আগে
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যতটা কনসার্ন ততটা কনসার্ন আর কেউ সম্ভবত নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে অনেক কিছুই চিন্তা করনে।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সদ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগদানকৃত ডা. রোকেয়া সুলতানার সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একজন ডাক্তার থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও একজন পেশাদার ডাক্তারকেই দিলেন তিনি। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ একদম পরিষ্কার।
তিনি দেশের স্বাস্থ্যখাতে দৃশ্যমান উন্নতি করতে চান। এক্ষেত্রে আমি এবং প্রতিমন্ত্রী দুইজনেই প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশাটা বুঝি ও জানি। আমরা সেভাবেই কাজ এগিয়ে নিতে চাই যাতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণ হয়।
সভায় সদ্য যোগদান করা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেছি কোনো পদ-পদবি পাওয়ার জন্য নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এত বড় সম্মান দিয়েছেন দেশের মানুষের সেবা করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ৩৩ বছর আমি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছি। স্বাস্থ্যখাতের মাঠ পর্যায় থেকে উপর পর্যন্ত আমার জানা আছে। চাকরি জীবনে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ১৯৮০ সাল থেকে একসঙ্গে কাজ করেছি।
আশা করছি, আমরা একসঙ্গে মিলে এবার স্বাস্থ্যখাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে পারব।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নার্সিং অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, ডিজিডিএসহ স্বাস্থ্যখাতের সব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবরা।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযান জোরদার হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
শপথ গ্রহণ ও সংসদে যোগদান করে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুরের সেনপাড়ায় নিজ বাসভবনে তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে জিএম কাদের বলেন, 'যেহেতু আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, তাই এই মুহূর্তে আমরা শপথ নিতে পিছপা হব না। আমরা সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলব এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
চলতি নির্বাচনে সরকারের সততা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'যেখানে সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়েছিল, সেখানে তারা সফল হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় তারা জনগণের মন জয় করতে চেয়েছিল, সেখানে তারা বলপ্রয়োগ করেছে এবং আমাদের জনগণকে পরাজিত করেছে।’
বৈঠকের এজেন্ডা সম্পর্কে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফলে হতাশ হয়েছেন। অতএব, আমি সবার সঙ্গে বসেছি, তাদের উদ্বেগ শুনেছি এবং লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করেছি। এই তথ্যগুলো ভবিষ্যতে অনুসরণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জাপা জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
১১ মাস আগে
খুলনায় সরিষার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
খুলনায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা ফুটেছে। চলতি মওসুমে খুলনায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ করেছেন চাষিরা।
এ মওসুমে ২৮৯ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেড়েছে। ৯ উপজেলার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বেড়ে ওঠা ফসল আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রণোদনা পাওয়ার পাশাপাশি গত বছর সরিষা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এবার কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ সংকট: বুড়িগঙ্গার নিকটবর্তী স্থানীয়দের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্প গ্রহণ
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে জেলায় এক হাজার ৯৫৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুর মেট্রো এলাকায় ১৪ হেক্টর, লবণচরায় ৭ হেক্টর, রূপসা উপজেলায় ৩০৫ হেক্টর, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর, দিঘলিয়া উপজেলায় ১২০ হেক্টর, ফুলতলা উপজেলায় ১৮০ হেক্টর, ডুমুরিয়া উপজেলায় ৪২০ হেক্টর, তেরখাদা উপজেলায় ১৬০ হেক্টর, দাকোপ উপজেলায় ২৮ হেক্টর, পাইকগাছা উপজেলায় ২৬০ হেক্টর ও কয়রা উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
গত বছর খুলনায় এক হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়।
এদিকে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে জেলার এক হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের জন্য ১৩ হাজার ৬০০ জন চাষিকে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি বিভাগ। দৌলতপুর মেট্রো এলাকার ৫০ জন, লবণচরা মেট্রোর ৫০ জন, রূপসা উপজেলার দুই হাজার জন, বটিয়াঘাটার এক হাজার ৮০০ জন, দিঘলিয়ার এক হাজান ২০০ জন, ফুলতলার এক হাজার ৪০০ জন, ডুমুরিয়ার দুই হাজার ৩০০ জন, তেরখাদার এক হাজার ২০০ জন, দাকোপের ৩০০ জন, পাইকগাছার এক হাজার ৮০০ জন ও কয়রার এক হাজার ৫০০ জন চাষির প্রত্যেককে এক কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: চাকরির পেছনে না ছুটে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে কুড়িগ্রামের যুবক
১১ মাস আগে