চলমান আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সোমবার (২৮ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আপনারা তা জানতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিকে রাজনৈতিক হিসেবে দেখছে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপদেষ্টা পরিষদও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে এবং সকল রাজনৈতিক পক্ষ ও ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, প্রধান সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি, মুখপাত্র সামান্থা শারমিন ও আকতার হোসেন বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জামায়াত ও ১২ দলীয় জোটের নেতারা একমত পোষণ করেছেন।
আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'দেশব্যাপী অস্বস্তির সৃষ্টি হওয়ায় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।’
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রবিবার তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জোর দিয়ে বলেছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই যেকোনো বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে পদক্ষেপ নেওয়া এড়াতে হবে এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে কাজ করা উচিত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা মনে করি, কোনো ধরনের স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ না নিয়ে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। বিএনপির অবস্থান আমরা এভাবে দিতে পারি না। আমাদের দলীয় ফোরাম আছে, বিষয়টি নিয়ে ফোরামে আলোচনা করে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব।’
দলটি প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার