৮ পণ্য
পেট্রোলিয়াম জেলি, ওয়াটার হিটারসহ ৮ পণ্যের বিএসটিআই সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনা করে আরও ১০টি পণ্যকে তাদের বাধ্যতামূলক গুণমান সনদের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
পণ্যগুলো হলো ডিসপোজেবল ডায়াপার, ফেস ওয়াশ, পেট্রোলিয়াম জেলি, ফ্ল্যাটব্রেড/টর্টিলা, শেভিং ফোম বা জেল, আই কেয়ার, চুলের তরল রং, অ্যারোসল, জুতা পলিশ এবং গিজার বা ওয়াটার হিটার।
রবিবার শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে ৩৭তম বিএসটিআই কাউন্সিল (প্রকৃত পদার্থের নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আরও ৪৩ পণ্য নিষিদ্ধ করল বিএসটিআই
বর্তমানে, বিএসটিআই-এর বাধ্যতামূলক গুণমান সনদের আওতায় থাকা পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি।
পরিষদে শিল্পায়নের চলমান ধারা, প্রাতিষ্ঠানিক জনবল বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়।
বিশ্ববাজারে হালাল পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী বলেন, হালাল পণ্যের গুণগত মান নির্ধারণ ও গুণগত সনদ প্রদানে বিএসটিআইকে উদ্যোগী হতে হবে।
বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও হালাল পণ্যের অবদান এখন পর্যন্ত নামমাত্র।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ ১০টি হালাল পণ্য রপ্তানিকারক দেশের অধিকাংশই অমুসলিম।
স্টেট অব দ্য গ্লোবাল ইসলামিক ইকোনমি’র ২০২০-২০২১ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে হালাল গোশত রপ্তানিকারী শীর্ষ পাঁচটি দেশ হলো ব্রাজিলের ১৬ দশমিক দুই বিলিয়ন; ভারত ১৪ দশমিক চার বিলিয়ন; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৩ দশমিক আট বিলিয়ন; রাশিয়া ১১ দশমিক ৯ বিলিয়ন; এবং আর্জেন্টিনা ১০ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলারের।
দুবাই ইসলামিক ইকোনমি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এর সহযোগিতায় গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা দিনার স্ট্যান্ডার্ড দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার ছাড়াও বিএসটিআই কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএসটিআইয়ের বৈশ্বিক মানকে শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
নতুন ৪৩ পণ্যকে বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত করল বিএসটিআই
১ বছর আগে