জ্যেষ্ঠ নেতা
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের তিন জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাশকতার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার মামলায়ও তাদের আসামি করা হতে পারে।
আইজিপি বলেন, চলমান তদন্তে উসকানিমূলক হামলার পেছনে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে 'বঙ্গবন্ধু ২য় সাউথ এশিয়া সাম্বো-কুরাশ প্রতিযোগিতা ২০২৩' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে পৌর বিএনপির সভাপতিসহ আটক ৯
তিনি বলেন, হত্যা ও নাশকতার মামলা তদন্তাধীন। তাদের (বিএনপির তিন নেতা) নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের তথ্য পাওয়া গেলে তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
তিনি বলেন, হামলা বা হুমকি সত্ত্বেও পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
তিনি বলেন, ‘আমরা সেসব অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের দায়িত্ব পালন থেকে পিছপা হব না এবং যেকোনো ধরনের উসকানির মুখেও আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালন করব। আমাদের এমন প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য আছে। বাংলাদেশের প্রতিটি পুলিশ সদস্যের মনোবল দৃঢ়।’
আইজিপি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে এবং যারা এ ধরনের কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হঠাৎ করে মানুষ, সম্পত্তি ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হলেও পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, 'আমরা ওই সময় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেয়নি। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করে তাদের (বিএনপি নেতাদের) গ্রেপ্তার করেছি।
আরও পড়ুন: মিয়া আরেফির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
১ বছর আগে
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
প্রায় ১০ মাস পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সাত সদস্য শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তার বাসভবনে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যেভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সেভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দলের চেয়ারপার্সন জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পর্কে জানতে চান। তিনি তাদের দুর্দশা সম্পর্কে অবগত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কেও অবগত আছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বিদ্যমান চরম গরম আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সাধারণত ঈদ উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়াকে দেখে তারা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপি
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখনও খুব অসুস্থ এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান।
গত বছর ঈদুল আজহায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েক বছর পর খালেদা জিয়া তার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে এবার ভিন্ন ঈদ উদযাপন করেছেন।
জাফিয়া ও জাহিয়া গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে দাদির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকায় আসেন এবং তাদের মা সিঁথি গত বছরের নভেম্বরে লন্ডন থেকে দেশে আসেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে তিনি তার বাসাতেই অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, ৭ ডিসেম্বর অভিযানে পুলিশ নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে টাকা লুটপাটের পাশাপাশি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ধ্বংসযজ্ঞ ও ভাঙচুর করেছে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের পাঁচ তলা ভবনের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করেছে পুলিশ। তারা নগ্নভাবে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বর্বরতা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ তাদের দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের প্রথম তলায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ঘরের ভেতরের সবকিছু ভাংচুর করে এবং সব ছবি নষ্ট করে দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ তাদের অফিস থেকে সব সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, প্রিন্টারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
‘আমাদের অ্যাকাউন্ট বিভাগ থেকে সবকিছু লুট করা হয়েছে। নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়। বিজয়ের মাসে এমন বর্বর ঘটনা কেউ দেখবো বলে আশা করেনি,’ বলেন মোশাররফ।
তিনি অভিযোগ করেন, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সরকারের আগ্রাসী মনোভাব প্রমাণ করেছে যে এটি একটি ফ্যাসিবাদী, সন্ত্রাসী ও দখলদার সরকার।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঘটনার নিন্দা করার মতো উপযুক্ত শব্দ আমাদের কাছে নেই। আমি মনে করি এটি বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্বে এমন নজির নেই…এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ ধরনের হামলা চালায়নি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকেছে, তাই জনগণ আমাদের বার্তা দিয়েছে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বলপ্রয়োগ করে দেশকে ধ্বংস করছে এবং তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি মেরামত, নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিচার ব্যবস্থায় এবং আইনশৃঙ্খলা বিভাগে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, তাদের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো অসম্ভব। তাই বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলায় জনগণ এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে মোশাররফ দলীয় কার্যালয়ে যান।
এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুলের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মকবুলের স্ত্রী হালিমা আক্তার বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর মেয়ে মিথিলার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
২ বছর আগে