ডা. শফিকুর
দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে আইনজীবীকে হত্যা করা হয়: ডা. শফিকুর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি উগ্র গোষ্ঠী চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবীকে হত্যা করে তারা দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চেয়েছিল।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা জামায়াতের ইউনিয়ন দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এদেশের দায়িত্বশীল মুসলমানরা তাদের ফাঁদে পা দেয়নি।
জামায়াত আমির বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কাউকে অধিকার ভিক্ষা করতে হবে না। সবাইকে তার অধিকার সম্মানের সঙ্গে দেওয়া হবে। দেশের অফিস আদালতে কাউকে লাঞ্ছিত হতে হবে না। কৃষক তার ফসলের নায্য দাম পাবেন, আর শ্রমিক পাবেন তার ঘামের মজুরি।
আরও পড়ুন: যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য ধরেছি, দেশের মানুষকে শান্ত করেছি। এদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিতে বসবাস করবে। কোনো ধর্মীয় উপাসনালয় কাউকে পাহারা দিতে হবে না।
জামায়াতের আমির বলেন, আবু সাঈদ আমাদের এই স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান আইকন ও সেনাপতি। তিনি অধিকার চেয়েছিলেন কিন্তু তাকে পর পর তিনটি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তাকে সেল্যুট জানাই।
তিনি আরও বলেন, লেখাপড়া করে এ দেশের যুবকেরা বেকারত্বের অভিশাপে আত্মহত্যা করবে না, বরং শিক্ষা অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে কাজ পাবেন।
জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য আইনজীবী হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, জামায়াত নেতা মাসুদ সাঈদী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়: জামায়াতের আমীর
২ সপ্তাহ আগে
জামায়াতের আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরিতে জড়িত: সিটিটিসি প্রধান
ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমান নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার কর্মীদের বান্দরবানে প্রশিক্ষণ নিতে এবং খরচ বহন করার জন্য সরাসরি সহায়তা প্রদানে জড়িত ছিলেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আসাদুজ্জামান বলেন, গত ৯ নভেম্বর নগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাতকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
তিনি বলেন, রাফাতকে গ্রেপ্তারের আগে সিটিটিসি ইউনিট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার তিন সদস্যকে প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটের দিকে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর তারা রাফাত ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে।
রাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এখন নতুন জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাফাত আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিল এবং জঙ্গি গোষ্ঠী থেকে কিছু সমর্থক সংগ্রহ করেছিল তাদের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ায় যোগ দেয়ার জন্য। রাফাতের নেতৃত্বে একদল যুবক, যারা সম্প্রতি বাড়ি ছেড়েছে, তারা বান্দরবান গিয়েছিল সেখান থেকে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সঙ্গে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটে গিয়েছিল।’
আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াতের আমির সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে যাওয়া তরুণদের পার্বত্য এলাকায় প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো এবং তাদের খরচ বহন করার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এছাড়া এ ঘটনায় শাকির নামে এক চিকিৎসককেও আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:জামায়াত আমির ডা. শফিকুর গ্রেপ্তার
২ বছর আগে