রাষ্ট্রীয় সফর
ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার নয়াদিল্লি যান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রাত ৮টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি: মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা
এর আগে ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ভারতের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
এছাড়া, ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে এটি শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি ছিলেন।
প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। এর মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
তিস্তা: সংরক্ষণ-ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে কারিগরি দল
৬ মাস আগে
ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে শনিবার সন্ধ্যায় দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি: মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা
ফ্লাইটটি রাত ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
ভারতের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। এছাড়া, গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে এটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সংহত করতে সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। এর মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
রেল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
৬ মাস আগে
শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব কতটা গভীর, তার উদাহরণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের নতুন মেয়াদে প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে শেখ হাসিনার সফর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে তারা কতটা গুরুত্ব দেন তা প্রমাণ করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশ তাদের 'প্রতিবেশী প্রথম', 'অ্যাক্ট ইস্ট', সাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির সংযোগস্থলে রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করা এক বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, 'সত্যিকারের ভালো প্রতিবেশী হওয়ায় আমাদের সম্পর্ক ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রগুলোকে সুসংহত করছে এবং নতুন ভিত্তি তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, আজ যেসব সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা স্পষ্ট হয়।
জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘সমুদ্র থেকে মহাকাশ, ডিজিটাল, সবুজ ও স্বাস্থ্য, সামরিক, রেল ও দুর্যোগ- মানবীয় উদ্যোগের সব ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় থেকে শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
এক নজরে ফলাফল
১. ভারত-বাংলাদেশ ডিজিটাল অংশীদারিত্বের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
২. ভারত-বাংলাদেশ সবুজ অংশীদারিত্বের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
৩. সামুদ্রিক সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই।
৪. ইন-স্পেস এবং বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিকম মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।
৫. রেল যোগাযোগের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের উভয় সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।
৬. বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) এবং ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের (এনআইও) মধ্যে সিএসআইআর’র আওতায় সমুদ্রবিজ্ঞান ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক সই।
৭. কৌশলগত ও অপারেশনাল স্টাডিজের ক্ষেত্রে সামরিক শিক্ষা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ (ডিএসএসসি) এবং মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।
৮. স্বাস্থ্য ও ওষুধের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতাপত্রের নবায়ন।
৯. দুর্যোগ মোকাবিলা, সহনশীলতা এবং প্রশমনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য এনডিএমএ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতাপত্রের নবায়ন।
১০. মৎস্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক নবায়ন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
ঘোষণা:
১. বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের জন্য ই-ভিসা চালু।
২. বাংলাদেশের রংপুরে ভারতের নতুন সহকারী হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করা।
৩. রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু।
৪. চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস পরিষেবা চালু।
৫. গেদে-দর্শনা এবং হলদিবাড়ি-চিলাহাটির মধ্যে দলগাঁও পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবার চালু।
৬. অনুদান সহায়তার আওতায় সিরাজগঞ্জে ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) নির্মাণ।
৭. ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু।
৮. গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন সম্পর্কিত আলোচনার জন্য যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন।
৯. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তা নদী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রকল্পের জন্য কারিগরি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর।
১০. বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য ৩৫০টি প্রশিক্ষণ পর্ব চালু।
১১. মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা প্রত্যাশী রোগীদের জন্য খরচ সর্বোচ্চ সীমা ৮ লাখ টাকা করা।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
৬ মাস আগে
দুই দিনের সফরে শনিবার গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুই দিনের সফরে টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পঞ্চমবার সরকার গঠনের পর এটিই তার প্রথম সফর।
দলীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাবেন।
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
এ সফরে তিনি তার নিজ নির্বাচনি এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরকে কেন্দ্র করে জেলার সর্বত্র নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জেলা প্রশাসন ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী তার দুই দিনের সফরের প্রথম দিন সকালে সড়ক পথে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
পরে নবগঠিত মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে তিনি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
সফরের প্রথম দিন বিকালে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। যোগ দেবেন মত বিনিময় সভায়।
সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
ওই দিন রাতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রী যাপন করবেন এবং পরের দিন রবিবার বিকালে কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ওই দিন তিনি আবার সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে যাবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার নেতা-কর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এখন কেউ বাধা দিতে পারবে না: শেখ হাসিনা
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহাবুদ্দিন আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জের প্রবেশ দ্বার মুকসুদপুর উপজেলা থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলিমুজ্জামান বিটু বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া আসছেন। তিনি যেমন কৃতজ্ঞতা জানবেন। জনগণও তেমনি প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন। আমরা নেতা-কর্মীরা অধীর আগ্রহে আছি প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেওয়ার জন্য। ইতোমধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ধোয়া-মুছার কাজ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসছেন। তার আগমনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ও সাধারণ মানুষ খুশি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সামনে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়াবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন এমন খবরে কোটালীপাড়া জুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে উৎসবমুখর ও নিরাপত্তাময় করার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবার সমন্বয়ে যথাযথ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
১১ মাস আগে
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে সুলতান ঢাকায় আসেন।
বিমান থেকে নামার পর সুলতানকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর তাকে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে সুলতানের রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে’।
১৪-১৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার সফরের সময় নির্ধারিত ছিল, কিন্তু পরে এটি ১৫-১৭ অক্টোবর পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
প্রচুর তেল ও গ্যাসের মজুদের কারণে ব্রুনাই বিশ্বের সর্বোচ্চ জীবনযাত্রার মানসম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে একটি।
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ হলেন বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম রাজত্বকারী রাজাদের একজন। তার বাবা স্যার হাজী ওমর আলী সাইফুদ্দিনের পদত্যাগের পর ১৯৬৮ সালের আগস্ট মাসে তিনি রাজা হন।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সুলতান আসছেন ১৫ অক্টোবর: মোমেন
বিমানবন্দর থেকে ব্রুনাই সুলতানের সরাসরি সাভারের জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানাবেন।
সুলতান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন, দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করবেন; এবং সেখানে একটি চারা রোপণ করবেন।
সুলতান হাসানাল বলকিয়া রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
খসড়া কর্মসূচি অনুযায়ী সেখানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা তাকে স্বাগত জানাবেন।
ব্রুনাই সুলতান সফরকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও তার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান
মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর চুক্তিসহ তিনটি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করতে পারে।
বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ এবং দুই দেশের কর্মীদের সার্টিফিকেটের স্বীকৃতির বিষয়ে আরও দুটি সহযোগিতার নথি স্বাক্ষরিত হবে।
মোমেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ হবে।’
ব্রুনাইয়ের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে আলোচনা করছে এবং সম্ভাব্য সব বিকল্পের খোঁজ করছে।
২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রুনাই দারুসসালামে একটি ঐতিহাসিক সফর করেন, যা একটি নতুন মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কারণ এসময় দুইদেশ গ্যাস সরবরাহ, মৎস্য, কৃষি, প্রাণিসম্পদ, শিল্প ও সংস্কৃতি, যুব ও খেলাধুলার মতো খাতসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরের অপেক্ষায় মোমেন
বর্তমানে ব্রুনাইয়ে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক থাকতে পারে।
দেশটি বাংলাদেশিসহ ব্রুনাইয়ে কাজ করার জন্য আসা বিদেশি কর্মীদের স্বাগত জানায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন রবিবার সন্ধ্যায় সফর শেষে বিমানবন্দরে ব্রুনাই সুলতানকে বিদায় জানাবেন।
ব্রুনাই দারুসসালামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরিওয়ান ইউসুফ শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন।
তাদের আলোচনার সময়, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের স্তরকে আরও জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তারা আগামী দিনে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ প্রভৃতির জন্য সংযোগ বাড়ানোর জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করতে একমত হয়েছে।
তারা মহামারি ও ইউরোপে সংঘাত, বিশেষত খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তাহীনতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের বিষয়েও মতবিনিময় করেন।
২ বছর আগে
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
দুটি মেগা উদযাপনে যোগ দিতে দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটানের পর ঢাকায় আসা নরেন্দ্র মোদি পঞ্চম বিশ্ব নেতা।
সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। চারা রোপণ করার পাশপাশি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এরপর তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক: মোদি
শুক্রবার বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর’ উদ্বোধন করবেন। সেখানে মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় যোগ দেবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এরপর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির পরিদর্শন এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
বিকালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচটিরও বেশি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান মোদি-বাইডেনের
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সাথে আলোচনায় চীনা প্রেসিডেন্ট
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এবং রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে মিয়ানমারকে তার সামর্থ্যের অনুযায়ী আরও সহায়তা প্রদানের সদিচ্ছার কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
৪ বছর আগে