রবিবার মিয়ানমারে চীনের প্রেসিডেন্টের দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে জারি করা এক বিবৃতিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্টের এ সফরে চীন-মিয়ানমারের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাখাইনের রাজ্যের সকল সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক পরিস্থিতি, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা বজায় রাখতে চীন মিয়ানমারের পাশে থাকবে।
তাদের দেয়া যৌথ এক বিবৃতি অনুসারে, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে যাচাইয়ের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুতদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে মিয়ানমার।
বিদ্যমান সমস্যাটির জটিলতা বোঝার জন্য এবং মিয়ানমারকে দেয়া সকল সহায়তার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মিয়ানমার।
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
প্রত্যাবসান প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ-মিয়ানমার ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জম্যান্ট’ বিষয়ক একটি চুক্তি সই করে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যাবাসন আরম্ভ হওয়া থেকে শুরু করে পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
সকল ধরনের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও, গত বছরের ২২ আগস্ট কোনো রোহিঙ্গা ‘স্বেচ্ছায়’ প্রত্যাবাসন করতে রাজি হয়নি। ফলে ওইদিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রক্রিয়াটি স্থগিত করতে বাধ্য হতে হয়।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও ‘সহায়ক পরিবেশের অভাবে’ রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় সে যাত্রায়ও কাউকে পাঠানো যায়নি।