'গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস'
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে 'গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস' গঠন
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও সুরক্ষার লক্ষ্যে গঠিত গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সমাজের সকল অংশীদারদের নতুন নতুন প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।’
নতুন গঠিত এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস-এ কো-চেয়ার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ, মিশর, ফ্রান্স, ভারত, মরক্কো ও নেপাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। বাংলাদেশসহ অন্য পাঁচটি সহ-সভাপতি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিগণ স্ব স্ব দেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এবং অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী
শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে একটি বহু অংশীদারিত্বভিত্তিক প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জবাবদিহিতার বিষয়টিকে নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার ওপর জোর দেন।
প্রদত্ত্ব বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দূরদর্শিতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন, তা থেকেই উদ্ভূত হয়েছে বিশ্ব শান্তি রক্ষার প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অঙ্গিকার।
আরও পড়ুন: পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
তিনি শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সৃষ্ট অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও সুরক্ষার লক্ষ্যে তিনি স্বাগতিক দেশের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা, ঘটনার দ্রুত তদন্ত, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্বাগতিক দেশের স্বক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির বাস্তবায়ন এবং ভুল ও বিকৃত তথ্যের প্রচার বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নবসৃষ্ট এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসটি যেসকল কাজ করবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-স্বাগতিক দেশকে সহযোগিতা প্রদান, মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি, সঠিক তথ্যের আদান-প্রদান, সর্বোত্তম অনুশীলন ও সম্পদ ভাগাভাগি এবং সহযোগিতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ। এসকল কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রুপটি শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার সহিংসতামূলক কার্যকলাপ প্রতিহত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী দিনে ৩৬টি দেশ গ্রুপটিতে যোগদান করে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
২ বছর আগে