১৪ বছর
১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১১৭ জন নারী শ্রমিকসহ মোট ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ২৫০ জন বাংলাদেশি কর্মে যুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে
তিনি বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বজায় রাখতে এবং বৈশ্বিক শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে বিদেশি ভাষা শেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০ জনকে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ৪৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) মাধ্যমে জাপানি, ইংরেজি, কোরিয়ান ও চাইনিজসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাণিজ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ১০৪টি টিটিসি ছাড়াও আরও ৫০টি টিটিসি স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া 'দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান' শীর্ষক প্রকল্পটি বিগত ৫ বছরে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মাহমুদ আলী বলেন, দেশে ফিরে আসা কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকার প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ তহবিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসা ১২ হাজার ৮৯০ জন প্রবাসী ২৯৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধভাবে বিদেশে যাওয়া নিহত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২৪-২৫: আরও সাশ্রয়ী হবে কিডনি ডায়ালাইসিস
বাজেট ২৪-২৫: দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
৬ মাস আগে
১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামে একটি সেতুর অভাবে ভেলায় চড়েই গত ১৪ বছর ধরে শিক্ষার্থীরা পার হচ্ছে খাল।
এছাড়া মঠবাড়ি গ্রামটিকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২৫০ মিটার চওড়া একটি খাল। ২০০৯ সালে গ্রামের পার্শ্ববর্তী শাকবাড়িয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে ওই খালের সৃষ্টি হয়।
এক বছর পর বাঁধ মেরামত হলেও খালটি ভরাট করা হয়নি। ফলে গত ১৪ বছর ধরে গ্রামের মানুষ ভেলায় চড়ে ও নৌকার মাধ্যমে খাল পারাপার হচ্ছেন। এতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাবেয়া খাতুন বলেন, কত মানুষ এসে দেখে গেছে প্রতিশ্রুতি দিয়েই গেছে, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও গবেষণায় ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহ প্রকাশ
তিনি আরও বলেন, বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেকোনো একটা উপায় হলে বই খাতা নিয়ে কোনো আতঙ্ক ছাড়াই স্কুলে আসতে পারতাম।
গ্রামবাসী জানান, খালটির পশ্চিম পাড়ে প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও রয়েছে সেখানে। প্রথমদিকে খালের অন্য পাড় থেকে বিদ্যালয়গামী ছেলেমেয়েরা ডিঙি নৌকায় পারাপার হতো। কিন্তু নৌকা সব সময় পাওয়া যায় না। জেলেরা নৌকা নিয়ে সুন্দরবনে চলে গেলে কলার ভেলায় পার হতে হয় তখন। এতে ঝুঁকি ছিল বেশি। পরে প্লাস্টিকের ড্রামের উপর কাঠের তক্তা দিয়ে স্থায়ীভাবে ভেলা বানানো হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্লাস্টিকের ড্রাম চারকোনা করে বেঁধে উপরে তক্তার পাটাতন বিছিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ এই ভেলা। খালের দুই পাশে একটি লম্বা রশি আড়াআড়িভাবে খুঁটির সঙ্গে টানিয়ে রাখা হয়েছে। লোকজন ভেলায় চড়ে নিজেরাই রশি টেনে পারাপার হচ্ছেন। সেখানকার বাসিন্দাদের ভেলায় খাল পেরিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়।
প্রায় পাঁচ হাজার জনসংখ্যার বড় এ গ্রামটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শাকবাড়িয়া নদী পেরিয়ে সুন্দরবন। রয়েছে একটি বাজার ও ফরেস্ট স্টেশন। খালের পূর্ব পাড়ে সুপেয় পানির সংকট থাকায় বাসিন্দারা ভেলায় খাল পেরিয়ে পশ্চিম পাড় থেকে পানি নিয়ে আসেন।
খালের পশ্চিম পাড়ের মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বছরের শুরুতে ছেলে মেয়েরা নতুন বই নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে এখানে।
তিনি আরও জানান, ভেলায় পার হওয়ার সময় সেটি উল্টে শিক্ষার্থীরা খালে পড়ে যায়। আশপাশের লোকজন এসে ছোট ছোট শিশুদের উদ্ধার করলেও তাদের নতুন বইগুলো ভিজে গেছে।
তবে এ ধরনের দুর্ঘটনা বর্ষাকালে বেশি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, একটি সেতু নির্মাণ না হলে এখানকার দুর্ভোগ কমবে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ডিসি পার্ক দিঘিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে হলো সাম্পান বাইচ
প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক রনজিত কুমার সরকার বলেন, দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন খাল পার হয়ে যাতায়াত করে।
তিনি আরও বলেন, অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের খাল পারাপার নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। অন্তত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মঠবাড়ি গ্রামের খালে একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়া জরুরি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, নজরুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান, সুভাষ মণ্ডলসহ কয়েকজন জানান, প্রতিদিন ভেলায় খাল পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে যেতে ভয় লাগে তাদের। ভেলা থেকে পড়ে গেলে বই, খাতা ভিজে যায়। অনেক সময় ভেলায় লোকজন বেশি উঠলে পার হতে পারে না তারা। এজন্য অনেক সময় ক্লাসে উপস্থিত হতে দেরি হয়ে যায়।
গ্রামের বাসিন্দা কোহিনুর আলম বলেন, ‘১৪ বছর ধরে শুনতেছি, এ জায়গায় ব্রিজ হবে। আবার শুনি খালের ওপর আড়াআড়ি বাধ হবে। কিন্তু কিছুইতো হয় না। উপায়ন্তর না দেখে স্কুলের বাচ্চাগের পারাপারের জন্যি(জন্যে) ড্রামের ভেলা বানাই দিছি। তাতেই এখন গ্রামের সব মানুষ পার হই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন, সাড়ে ১৪ বছর আগে তৈরি হওয়া খালটির পাড়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পারাপারে ভোগান্তি লাঘবে খালের উপর একটি সেতু হলে এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নিরাপদ যোগাযোগের সুযোগ পাবেন।
মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট দিয়ে এত বড় খালে সেতু বানানো সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করে দেখব।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, এটা দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি।
আপাতত ভাসমান সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকীর আহ্বান
১০ মাস আগে
পদ্মা সেতু বিএনপির ১৪ বছরের আন্দোলনকে ঢেকে দিয়েছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ১৪ বছরে বিএনপির আন্দোলনকে ম্লান করে দিয়েছে এক পদ্মাসেতু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মাসেতু সম্প্রসারিত করেছে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিগন্ত।
রবিবার সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর সেতুভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগে নবদুয়ার খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে। দৈনিক গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হচ্ছে প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা করে। গতকাল রাত পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।
আজ রবিবার বিকাল নাগাদ ৮০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেতুমন্ত্রী।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ৩৫ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে পদ্মাসেতু নির্মাণ ব্যয় পরিশোধ করতে হবে। ইতোমধ্যে ৪ কিস্তিতে প্রায় ৬৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে তা সংরক্ষণে সকলকে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপির জনসমর্থন ১০ শতাংশে নেমে এসেছে কিনা তা ভেবে দেখা উচিত।
সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক সফিকুল ইসলাম সহ সেতু বিভাগ, সেতু কর্তৃপক্ষ ও সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪ বছর করাদণ্ডপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন ধরে পলাতক আসামি আবুল কালাম আজাদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে সোমবার (৩ এপ্রিল) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আবুল কালাম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ, ৪ যুবক গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চন্দন কুমার ঘোষ জানান, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ মামলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা।
তিনি আরও জানান, একটি মাদক মামলায় আদালত তার ১৪ বছরের সাজা তিলে তিনি ঢাকায় পালিয়ে যান এবং সেখনেই বসবাস করে আসছিলেন।
পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঠাকুরগাঁও নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও মাদক জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
র্যাব হেফাজতে সুলতানার মৃত্যু: কথিত সহযোগী আল আমিন গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
১৪ বছর পর একই মঞ্চে বেইজ বাবা,ফুয়াদ ও আনিলা
দীর্ঘ বিরতির পর উত্তেজনা, পারফরম্যান্স ও চমক নিয়ে ফের ঢাকায় ফিরছে ফুয়াদ লাইভ! বৃহস্পতিবার আয়োজক সংস্থা স্কাই ট্র্যাকার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০০৮ এর পর প্রায় ১৪ বছর পর আবার এক মঞ্চে একত্রিত হতে যাচ্ছেন ফুয়াদ, বেইজ বাবা সুমন ও আনিলা। এই ডিসেম্বর জমজমাট হতে যাচ্ছে আইসিসিবি এর মঞ্চ।
২৫ ডিসেম্বর (রবিবার) আইসিসিবি'র এক্সপো জোনে হবে এই কনসার্ট। এতে দেশের জনপ্রিয় আরও ৩০ তারকা শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। কনসার্টের লাইনআপ বেইজ বাবা সুমন, স্টোইক ব্লিস, পান্থ কানাই, আনিলা, এলিটা, রাফা, জোহাদ, ফাইরুজ, তাশফি, জেফার, তাসনিম আনিকা, ব্ল্যাক জ্যাং সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কবে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাচেলর পয়েন্ট চতুর্থ সিজনের শেষ পর্ব?
শোনা যাচ্ছে, স্কুল জীবনের জনপ্রিয় মিউজিশিয়ান এবং প্রিয় গান 'আবার জিগায়' তারকা স্টোইক ব্লিস এবার ফুয়াদ লাইভে হাজির হবেন দীর্ঘদিন পর। দর্শকদের জন্য এক্সপো জোনের গেট ওপেন হচ্ছে ২৫ তারিখ বিকাল ৪ টায়।
বেইজ বাবা সুমন এই কনসার্ট নিয়ে তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘ফুয়াদ এর সঙ্গে শেষ বার স্টেজে উঠেছিলাম ২০১৮ সালে জয় বাংলা কনসার্টে। আমার শরীরের অবস্থা তখন ভয়ংকর খারাপ ছিল। হাতে ওয়াকিং স্টিক নিয়ে অনেক সাবধানে স্টেজে উঠি সেদিন। ঠিকমত গান গাইতে পারিনি অসুস্থতার কারণে। আমার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে সেদিন বলেছিলাম আবার কবে স্টেজে উঠবো অথবা আদৌ উঠবো কিনা আমি জানিনা। যাই হোক, ২০২২ সালের শেষে এসে আজ এই স্ট্যাটাস লিখছি একটি বিশেষ কারণে। আগামী ২৫ তারিখ স্টেজে উঠছি আবার ফুয়াদের সঙ্গে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘গতবছর চট্টগ্রামে দীর্ঘ চার বছর পর অর্থহীনের ফেরত আসার কনসার্টটা আমার জন্য অনেক ইমোশনাল একটা ব্যাপার ছিল। আগামী ২৫ তারিখটাও আমার জন্য একটা বিশেষ দিন হয়ে থাকবে। ইনশাআল্লাহ সেদিন কোন প্রকার ক্রাচের সাহায্য ছাড়াই সুস্থ অবস্থাতেই স্টেজে উঠবো। স্টেজে আমাকে, ফুয়াদকে এবং আনিলাকে একই সঙ্গে দেখতে পাবেন। সবাই ভাল থাকবেন।’
স্কাই ট্র্যাকার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দোজা এলান বলেন, ‘আমরা ফুয়াদ লাইভকে ২০১৯ সাল এর পর আবারও মঞ্চে নিয়ে আসছি, একটি দীর্ঘ বিরতির পর। ফুয়াদ লাইভে বেইজ-বাবা সুমন, ফুয়াদ এবং আনিলার একই মঞ্চে উপস্থিতি অনেক উত্তেজনা তৈরি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে কারণ এটি ভক্তদের জন্য একটি অনন্য চমক হবে।’
আরও পড়ুন: শেষ হতে চলেছে ব্যাচেলর পয়েন্টের চতুর্থ সিজন
নুহাশের ‘পেট কাটা ষ’ এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে
২ বছর আগে