২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১১৭ জন নারী শ্রমিকসহ মোট ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ২৫০ জন বাংলাদেশি কর্মে যুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে
তিনি বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বজায় রাখতে এবং বৈশ্বিক শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে বিদেশি ভাষা শেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০ জনকে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ৪৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) মাধ্যমে জাপানি, ইংরেজি, কোরিয়ান ও চাইনিজসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাণিজ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ১০৪টি টিটিসি ছাড়াও আরও ৫০টি টিটিসি স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া 'দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান' শীর্ষক প্রকল্পটি বিগত ৫ বছরে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মাহমুদ আলী বলেন, দেশে ফিরে আসা কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকার প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ তহবিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসা ১২ হাজার ৮৯০ জন প্রবাসী ২৯৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধভাবে বিদেশে যাওয়া নিহত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।