নেতা গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের সালথায় ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রদল নেতা মো. হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব-১০ ফরিদপুর।
গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমান (৩৫) সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামের সাহিদ মাতুব্বরের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১ নভেম্বর) গভীর রাতে ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে সালথার ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৯ ধরনের অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজুর হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলে তাকে সালথা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১১ আগস্ট রাত ১০টায় নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সালথার গোপালীয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. ইয়ার আলীর ওপর হামলা চালায় হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইয়ার আলীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তার আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান।
পরবর্তীতে ঢামেক চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ইয়ার আলী মারা যান। এ ঘটনায় ইয়ার আলীর ছেলে রাসেল শেখ বাদী হয়ে হাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর থেকে হাফিজুর আত্মগোপনে চলে যান।
শনিবার বিকেলে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ী ইয়ার আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুরকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফাঁদ পেতে বন্যহাতির হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার শহীদুল কারাগারে
২ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে আ. লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
হত্যা মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে নুর তানু এবং উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টায় কুড়িগ্রাম শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু (৬০) কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী।
আহসান হাবিব রানা (৬১) একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উলিপুর উপজেলার এল.কে আমিন ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: যুবদলের ২ কর্মী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর রুহুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
তবে গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু ও আহসান হাবিব রানা এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নন বলেও জানা গেছে।
ওসি নাজমুল আলম জানান, গ্রেপ্তার দুই আওয়ামী লীগ নেতা মামলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত আসামি। তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় তানু ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সোমবার (২৭ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
আরও পড়ুন: নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন: গ্রেপ্তার ২
৩ সপ্তাহ আগে
রাজধানীতে ৮ বছর পলাতক হিজবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তিনি আট বছর পলাতক ছিলেন।
রবিবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নাফিজ সালাম উদয় (৪৫) শহরের আদাবর এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া তিনি 'দাওয়াত'-এর একজন সক্রিয় সদস্য এবং হিযবুত তাহরীরের অর্থ বিভাগের একজন সক্রিয় সদস্য।
সোমবার সকালে র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নাফিস সালাম উদয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ জঙ্গি নেতা এবং দাওয়াতি ও অর্থ বিভাগের সক্রিয় সদস্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর সন্ত্রাসবিরোধী সেলের একটি বিশেষ দল রবিবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচরে অভিযান চালিয়ে নাফিজকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় তিনটি মামলা এবং মোহাম্মদপুর থানায় পুলিশ লাঞ্ছিতের একটি মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে। এছাড়া তিনি আট বছর পলাতক ছিলেন।
তিনি হিযবুত তাহরীরের বাংলাদেশ শাখার আমীর ও অন্যান্য গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ করতেন এবং বিভিন্ন মসজিদে লোকদের আমন্ত্রণ জানাতেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ১৮ মামলার আসামি গিট্টু জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার
১০ বছর আত্মগোপনের পর মিরপুরে ২২ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে