শাকসবজি
তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে মাত্রাতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর আশঙ্কাজনক হারে পানি হারাতে শুরু করে। পরিণতিতে দেখা দেয় পানিশূন্যতা, যার দীর্ঘস্থায়ীত্ব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। মানবদেহের এই ভারসাম্যহীনতা মাথা ঘোরা, ক্লান্তি ও শুষ্ক মুখমণ্ডলের মতো উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে শুরু করে। এই অসহনীয় খরতাপের সময়টাকে মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উচ্চ পানীয় উপাদান সমৃদ্ধ শাকসবজি। এই খাবারগুলো শরীরের হারানো পানি পুনরায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দেহের রোগমুক্তিতেও সাহায্য করে। চলুন, তীব্র গরমে পানিশূন্যতা দূর করতে সেই শাকসবজিগুলোর ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
যে সবজিগুলো তীব্র গরমে শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে সক্ষম
শসা
প্রায় ৯৫ শতাংশ পানিতে পরিপূর্ণ শসা গরমের জন্য উপযোগী সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে সহায়তা করে। শসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে বিটা ক্যারোটিন। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ফ্রি র্যাডিকেল হলো জোড়াহীন ইলেকট্রন, যা কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে।
রোদের তীব্র রশ্মির কারণে ত্বকে রোদে পোড়া ব্যথা, ফোলাভাব এবং ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অবস্থা থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় সাহায্য করতে পারে শসা। চোখের নিচে এক বা দুই টুকরো শসা রাখলে চোখের কালো দাগ ও ফোলাভাব কমে আসে।
আরও পড়ুন: চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
টমেটো
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও পটাশিয়ামের আধার টমেটোতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৫ শতাংশ। লাইকোপিন নামক পদার্থ টমেটোর উজ্জ্বল লাল রঙের কারণ। শুধু তাই নয়, এই উপাদানের মধ্যে রয়েছে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্য। তাই এই ফলের রয়েছে মানবদেহের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা।
এই একই কারণে টমেটো ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। লাইকোপিনের পাশাপাশি অন্যান্য উদ্ভিদ যৌগ রোদে পোড়া থেকে রক্ষার কাজে অংশ নেয়।
স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের মতো ডিজিটাল ডিভাইস থেকে এক ধরনের নীল আলো নির্গত হয়, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর। টমেটোতে থাকা লুটেইন এবং জিক্সানথিন নামক পদার্থ এই নীল আলোর বিরুদ্ধে চোখের সুরক্ষায় কাজে লাগে।
উপরন্তু, এগুলো চোখের ক্লান্তি এবং চোখের উপর চাপ জনিত কারণে মাথাব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন: গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
পালং শাক
তাজা, হিমায়িত, বাষ্প বা দ্রুত সিদ্ধ যে কোনো অবস্থায়ই পালং শাক বেশ পুষ্টিকর একটি খাবার। কাঁচা পালং শাকে রয়েছে ৯১ শতাংশ পানি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও ফোলেট। এই শাকে থাকা লুটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্যজনিত কারণে চোখের রোগ ও ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে।
এছাড়া লুটেইন চোখের লেন্সের উপর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
শরীরের ত্বকসহ নানা ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের টিস্যু বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য, যা পালং শাকের অন্যতম উপাদান। শুধু তাই নয়, ভিটামিন এ ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এর ফলে মুখে সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা কমে যায়।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
মূলা
মাঝারি পরিমাণ ভিটামিন সি সম্পন্ন কাঁচা মূলায় পানির অংশ ৯৫ শতাংশ। তবে এর পাতায় থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। শিকড়ের চেয়ে পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাটিচিন, পাইরোগালল, ভ্যানিলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ফেনোলিক যৌগ। এগুলো সম্মিলিতভাবে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে শরীরকে রীতিমতো একটি প্রতিরক্ষা দূর্গে পরিণত করে।
এছাড়াও মূলায় রয়েছে কিডনি বিশোধনের ক্ষমতা। এটি পাকস্থলির বিভিন্ন এনজাইমকে সক্রিয়করণে সাহায্য করে। এই এনজাইমগুলো নানা ধরনের বিষক্রিয়া থেকে কিডনিসহ আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে মুক্ত রাখে।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাস সতর্কতা: কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ঝুঁকি
৬ মাস আগে
শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
গত সপ্তাহের তুলনায় দেশের বাজারে শাক-সবজি, ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখনো অনেক বেশি বলে ক্রেতাদের অসন্তোষ কমেনি।
তারা জানান, কয়েক সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ক্রমান্বয়ে ১৬৫ টাকা হয়েছে। তবে এখন ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, কাঁচা মরিচ ও অন্যান্য মসলার দামেরও একই অবস্থা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আলাউদ্দিন দেওয়ান নামে এক সরকারি কর্মচারী ইউএনবিকে বলেন, দাম বেশি হওয়ায় তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ধেক কিনছেন।
স্বল্প বেতন পাওয়া মানুষকে পরিবারের খরচ মেটাতে লড়াই করতে হচ্ছে। তাই তাকে ডিম, মাছ, মাংস ও অন্য বেশি দামের জিনিস কেনা কমাতে হচ্ছে।
শুক্রবার বাজার করতে গিয়ে একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বেসরকারি কোম্পানির নির্বাহী আলমগীর হোসেনের।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, বাবা-মায়ের ওষুধের খরচ, বাড়ি ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল আগের থেকে বেড়ে যাওয়ায় নিয়মিত খরচের তালিকা থেকে অনেক আইটেম বাদ দিতে হয়েছে। কারণ আমার আয় একই আছে।’
দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে শুক্রবার সবজির দাম কিছুটা কমেছে। যদিও সবজি ও মাছের দাম বাজারের গুণগত মান ও এলাকাভেদে ভিন্ন।
কারওয়ান বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আলু ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাজার অব্যবস্থাপনা
১ বছর আগে
বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে দুবাই বন্দরের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আমি দুবাই গিয়েছিলাম। এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আগেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। আমরা তাতে সহায়তা করেছি। মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি আমরা শাকসবজি ফলমূল পাঠাতে পারব।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি)সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানির অগ্রগতি বিষয়ক সভায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি দুবাই বন্দরের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়েছে। সিঙ্গাপুর না হয়ে সরাসরি যেতে পারলে সবজি নিয়ে চার-পাঁচদিনে আমাদের জাহাজ দুবাই যেতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতির কাছে আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলব। সত্যিকার অর্থে এখন মানুষ না-খেয়ে থাকে না। অন্তত দু’বেলা ভাত খেতে পারেন। আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছেছি।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য মানুষকে পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য দেয়া। অর্থাৎ সার্বিকভাবে খাদ্যনিরাপত্তার বিভিন্ন দিকগুলোতে আমরা জোর দেব এবং সর্বাত্মকভাবে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে চাই।
কৃষিমন্ত্রী জানান, খাদ্যনিরাপত্তা বলতে আমরা বুঝি যে প্রয়োজনীয় দানাজাতীয় ও অন্য খাবারগুলো যাতে বাজারে পর্যাপ্ত থাকে, তা নিশ্চিত করা। অনেক সময় খাবার থাকলেও আয় থাকে না। কম আয়ের কারণে অনেক মানুষ না খেয়ে থাকেন। এমন হলে কোনো দেশ নিজেকে খাদ্য নিরাপদ বলে দাবি করতে পারে না।
আরও পড়ুন: সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘কাজেই মানুষ যাতে মানসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন; যাতে সবাই প্রয়োজনীয় মেধা বিকাশ ও সক্রিয় থাকতে পারেন; সে জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
মন্ত্রী জানান, আমেরিকার মতো দেশেও দেখবেন, ক্রিসমাসের সময় বিনামূল্যে খাবার দেয়া হয়। শিকাগোতে ক্রিসমাসের আগে আমি দেখেছি। এ খাবার শুধু কালোরাই নেন না, শ্বেতাঙ্গরাও নেন।
তিনি বলেন, ‘ওই দেশে কম দামে খাবার কিনে খেতে স্ট্যাম্প দেয়া হয়। এরমধ্য দিয়ে বোঝা যায়, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার থাকলেও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আমেরিকায়ও কমদামে ও ভর্তুকিতে মানুষকে খাবার দিতে হয়। কম আয়ের ও বেকারদের জন্য তারা এটা করেন।’
তিনি আরও বলেন, খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকটা অর্জন হয়েছে চর ও হাওর এলাকায়। যে অঞ্চলকে আমরা কৃষিতে অনুন্নত বলতাম। সেই এলাকার মানুষও এখন দু’বেলা খেতে পারেন। এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো,পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করা।
মন্ত্রী জানান, ‘সে কারণে তিনটি বিষয় সামনে রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। কৃষিকে আমরা আধুনিকীকরণ করবো, যান্ত্রিকীকরণ করবো ও কৃষিকে লাভজনক করতে বাণিজ্যিকীকরণ করবো।’
তিনি বলেন, এজন্য স্থানীয় বাজার ও আন্তর্জাতিক বাজার দুটোতেই জোর দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে হলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যের মান বজায় রাখতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। যদিও করোনা মহামারির কারণে দুই থেকে আড়াই বছর আমরা অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ‘কৃষিকে লাভজনক পেশায় নিয়ে যাওয়া সবসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল। কৃষি থেকে লাভ করা ও আয় করা ছিল আমাদের উদ্দেশ্য।’
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে কৃষকরা সবসময় পর্যাপ্ত দাম পান না। সবজি-ডিম ও মাছের উৎপাদন বেশি হলেও কৃষকরা তা বিক্রি করতে পারেন না। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারকে লক্ষ্য বানাতে হবে। ২০২২-২৩ সালে আমরা দুই হাজার মিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম কৃষি থেকে। এখন পর্যন্ত আমরা এক দশমিক পাঁচ ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য রপ্তানি করতে হলে মান বাড়াতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্যামপুরে আমাদের একটি প্যাকিং হাউস আছে। কিন্তু লোকেশন ভালো না। এটির আধুনিকায়ন চলছে। পূর্বাচলে আরেকটি প্যাকিং হাউস করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই একর জমি দিয়েছেন। সেখানে একটি ল্যাবরেটরিও হবে। এটির সার্বিক পরিকল্পনা শেষ। দ্রুতই এটি একনেকে যাবে। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষি রপ্তানির পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্য কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আমাদের প্রতিযোগী পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্ক। ভারত আলু রপ্তানি করে। এসব দেশের পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বন্দরগুলোতে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের জাহাজ সিঙ্গাপুর হয়ে যেতে হয়।
আরও পড়ুন: নিয়োগে অনিয়ম: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
১ বছর আগে
চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে চালের চাহিদা আরও বাড়বে। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কৃষি জমি কমছে। ভুট্টা, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসলেও জমির ব্যবহার বাড়ছে।
তিনি বলেন, বাড়িতে যেসব ফসল হতো যেমন চালকুমড়া-তাও এখন মাঠে হচ্ছে। এসবের ফলে ধান চাষের জমি কমছে। এই জটিল পরিস্থিতিতে চালের উৎপাদন বাড়াতে হলে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে।
একইসঙ্গে, উদ্ভাবিত জাতের দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবারের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে। বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ফল উৎপাদনেও জমির ব্যবহার বাড়ছে। এ অবস্থায় সকল সংস্থা, বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদেরকে সমন্বিতভাবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
চালের বাম্পার উৎপাদনের পরও কেন দাম কমছে না, তার প্রকৃত কারণ খোঁজে বের করতে বস্তুনিষ্ঠ গবেষণার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ব্রির গবেষণায় আমরা অনেকগুলো কারণ খুঁজে পেয়েছি। ব্রির পাশাপাশি বিআইডিএস, সিপিডিসহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানকেও এ বিষয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিথি হিসেবে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর।
তিনি জানান, আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত চালের কোনও সংকট হবে না, বরং ৪২ লাখ টন উদ্বৃত্ত থাকবে।
এছাড়া ১৭ কোটি মানুষের চালের চাহিদার পাশাপাশি মানুষের বাইরে (নন-হিউম্যান) ভোগ ২৬ শতাংশকেও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
তারপরও বাজারে কেন চালের দাম কমছে না, তা জানতে ব্রি মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করেছে।
ব্রির মহাপরিচালক জানান, গবেষণায় দেখা গেছে, চালকল মালিকেরা ও খুচরা বিক্রেতারা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। চালকল মালিকেরা কেজিতে ৮ থেকে ১৪ টাকা লাভ করছে। কৃষকের উৎপাদন খরচও কিছুটা বেড়েছে।
এছাড়া, কর্পোরেট গ্রুপগুলো চালের বাজারে প্রবেশ করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদনের কারণেই দেশ অনেকটা স্বস্তিতে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির চাওয়ায় নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশে সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটেছে কৃষিতে: মন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, স্বাধীনতার পর যেখানে এক কোটি ১০ লাখ টন চাল উৎপাদন হতো, সেখানে এখন তা চার কোটি চার লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটেছে কৃষিতে। গম, ভুট্টা, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনেও এসেছে ব্যাপক সাফল্য। এই সাফল্যের নায়ক হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কারিগর হলেন দেশের কৃষিবিদ ও কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এছাড়া আধুনিক জ্ঞানপ্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট কৃষি গড়ে তোলার জন্য কৃষিবিদদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, দেশে সবচেয়ে কম পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে, তারপরও কোনো রকম খাদ্য সংকট হয়নি। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ভাল বলেই সংকট দেখা দেয়নি।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির চাওয়ায় নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না: কৃষিমন্ত্রী
অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে