অবতার
‘অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ টানা ৭ সপ্তাহ বক্স অফিসে শীর্ষে
২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া 'অবতার' চলচ্চিত্রের সিক্যুয়েল ‘অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ টানা সপ্তম সপ্তাহে বক্স অফিসে প্রথম অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়াও হিন্দি ভাষার ব্লকবাস্টার ‘পাঠান’ এ তালিকার শীর্ষ পাঁচে স্থান করে নিয়েছে।
অন্যদিকে, ‘এভরিথিং এভরিহোয়ার অল অ্যাট ওয়ানস’ ও ‘দ্য ফ্যাবেলম্যানস’ এর মতো চলচ্চিত্রের অস্কার-পরবর্তী মনোনয়ন পুনরায় প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ঘোড়ার গাড়িই যেখানে ভরসা
উত্তর আমেরিকায় ‘অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ –এর জনপ্রিয়তা 'অবতার' এবং গত ২৫ বছর ধরে হিট ‘টাইটানিক’ (যা ১৫ সপ্তাহ ধরে প্রথম স্থানে ছিল) এর মতো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনটি সিনেমাই পরিচালনা করেছেন জেমস ক্যামেরন।
বিশ্বব্যাপী, ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ বর্তমানে আনুমানিক ২.১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা ‘স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেনস’-কে ছাড়িয়ে সর্বকালের চতুর্থ-সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের খেতাব জিতেছে। যার মধ্যে তিনটি ক্যামেরন পরিচালনা করেছেন।
কমস্কোরের সিনিয়র মিডিয়া বিশ্লেষক পল ডারগারাবেডিয়ান বলেছেন, ‘জেমস ক্যামেরন সব রেকর্ড ও মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছেন।’
দ্বিতীয় স্থানটি ইউনিভার্সাল এবং ড্রিমওয়ার্কসের পরিবার-ভিত্তিক অফার ‘পুস ইন বুটস: দ্য লাস্ট উইশ’-ধরে রেখেছে, যা ষষ্ঠ সপ্তাহান্তে ১০.৬ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছে।
এটি অ্যানিমেটেড স্পিন অব উত্তর আমেরিকায় ১৪০.৮ মিলিয়নের বেশি ডলার আয় করেছে।
তিন হাজার ৯৫৭টি স্থান থেকে ৬.৮ মিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সনি-এর ‘এ ম্যান কলড ওট্টো’। মেম-এবল হরর ‘এম৩গান’ ইউনিভার্সাল রিলিজের চতুর্থ সপ্তাহান্তে ৬.৪ মিলিয়ন ডলার আয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে, যার দেশীয় মোট আয় ৮২.৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের শিশু-কিশোরদের জন্য আর্ট ক্যাম্প
শাহরুখ খান অভিনীত ভারতীয় ছবি ‘পাঠান মাত্র ৬৯৫ প্রদর্শনী থেকে ৫.৯ মিলিয়ন ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
ডেরগারবেডিয়ান বলেছেন, ‘শীর্ষ পাঁচটি সিনেমা সত্যিই চিত্তাকর্ষক।’
পাঠান সিনেমার মধ্য দিয়ে গত বেশ কয়েক বছর পরে ভারতীয় চলচ্চিত্র তালিকার শীর্ষ ১০-এ উঠে আসার সুযোগ পেয়েছে।
নিয়ন সানড্যান্সের আত্মপ্রকাশের পর এক হাজার ৮৫৩টি স্থানে ব্র্যান্ডন ক্রোনেনবার্গের লেখা ও পরিচালিত এবং মিয়া গথ ও আলেকজান্ডার স্কারসগার্ড অভিনীত হরর মুভি ‘ইনফিনিটি পুল’ প্রদর্শন করেছে। এটি আনুমানিক ২.৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
ডায়ান কিটন, রিচার্ড গেরে ও সুসান সারান্ডনের অভিনীত রোমান্টিক কমেডি ‘মেবি আই ডু’ ৪৬৫টি প্রদর্শনী থেকে ৫৬২ হাজার মার্কিন ডলার উপার্জন করেছে।
এ সপ্তাহে বক্স অফিসে শীর্ষ আয়কারী ১০টি সিনেমা হলো-
১. ‘অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’- ১৫.৭ মিলিয়ন ডলার।
২. ‘পুস ইন বুটস: দ্য লাস্ট উইশ’- ১০.৬ মিলিয়ন ডলার।
৩. ‘এ ম্যান কলড ওট্টো’- ৬.৮ মিলিয়ন ডলার
৪. ‘এমথ্রিগান’- ৬.৪ মিলিয়ন ডলার।
৫. ‘পাঠান’- ৫.৯ মিলিয়ন ডলার।
৬. ‘মিসিং’- ৩.৮ মিলিয়ন ডলার।
৭. ‘প্লেন’- ৩.৮ মিলিয়ন ডলার।
৮. ‘ইনফিনিটি পুল’- ২.৭ মিলিয়ন ডলার।
৯. ‘লেফট বিহাইন্ড: রাইজ অব দ্য ক্রাইস্ট’- ২.৪ মিলিয়ন ডলার।
১০. ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’- ১.৪ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ ঘোষণা, এবার পেলেন যারা
১ বছর আগে
বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ‘অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার'
২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া 'অবতার' চলচ্চিত্রের সিক্যুয়েল ‘অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার' বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে।
শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনোদন পোর্টাল ভ্যারাইটির প্রতিবেদন অনুসারে মুক্তির মাত্র ১৪ দিনের মধ্যেই 'অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার' বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।
এরমধ্যে দিয়ে টাইটানিকখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সকল চলচ্চিত্রের চেয়ে দ্রুত বিলিয়ন আয় করার রেকর্ড করেছে।
ভ্যারাইটি অনুসারে, এই বছর মাত্র তিনটি চলচ্চিত্র এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।
'অবতার' এর সিক্যুয়েল ছাড়া তালিকার অন্য দুটি ছবি হলো- 'টপ গান: ম্যাভেরিক' ও 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডোমিনিয়ন'। চলচ্চিত্র দুটি যথাক্রমে ৩১ দিন এবং চার মাসেরও বেশি সময়ে বিলিয়নের মাইলফলক ছিুঁয়েছে।
২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া 'স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম'-এর পর 'অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার' দ্রুততম সময়ে বিলিয়ন আয়ের রেকর্ড করে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে ১০০ কোটির ক্লাবের ভারতীয় সিনেমা কোনগুলো
চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ১০ দিনের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী টিকিট বিক্রিতে ৮৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ (আইএনআর ৭ হাজার কোটির সমতুল্য) বছরের পঞ্চম-সর্বোচ্চ আয়কারী হয়ে উঠেছে।
ভ্যারাইটি অনুসারে, উত্তর আমেরিকার বাইরে 'অবতার ২'-এর জন্য সবচেয়ে বেশি আয়কারী দেশ চীন (১০০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), তারপরে কোরিয়া (৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ফ্রান্স ( ৫২.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ভারত (৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং জার্মানিতে (৩৫.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
ভ্যারাইটির তথ্য অনুসারে, তবে অবতার প্রথম সিনেমার সাফল্যের সঙ্গে সিক্যুয়েলটি এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। অবতার চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে ইতিহাসের সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি হওয়ার রেকর্ড করে।
তবে, অবতার চলচ্চিত্রের সিক্যুয়ালটি রাশিয়াতে দেখা যাবে না, যেখানে প্রথম সিনেমাটি ১১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
আরও পড়ুন: বলিউডে আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় যেসব ‘স্টার কিডস’
বলিউড সিনেমায় পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বিপরীতে জয়া আহসান
১ বছর আগে