জঙ্গি গ্রেপ্তার
বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
বান্দরবানের সদর উপজেলার টংকাবতীতে র্যাবের অভিযানে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার প্রশিক্ষণ কমান্ডারসহ ৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১, ১১ ও ১৫ সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জঙ্গিরা হলেন- ট্রেনিং কমান্ডার দিদার হোসেন ওরফে মাসুম, আলামিন সরদার, সাইনুন রায়হান, তাহিয়াত চৌধুরী ওরফে পাভেল, মো. লোকমান মিয়া, মো. ইমরান হোসেন, মো. আমির হোসেন, মো. আরিফুল রহমান ও শামীম মিয়া।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
আল মঈন বলেন, নতুন গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এ পর্যন্ত নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৬৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে দু’জন মারা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ১৭ সদস্যকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকও জব্দ করেছে এলিট ফোর্স।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গত রবিবার সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার সঙ্গে এসব গ্রেপ্তারের কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: জঙ্গি উত্থান ঠেকাতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা থেকে অনুপ্রাণিত সন্দেহভাজন ছয় জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সোমবার সিটিটিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- আব্দুর রব(২৮), মো. সাকিব(২৩), মো. শামীম হোসেন(১৮), মো. নাদিম শেখ(১৯), মো. আবছার(২০) ও মো. সাঈদ উদ্দিন(১৮)।
রবিবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, চট্টগাম ও টেকনাফ টেকনাফে সিটিটিসির নগর গোয়েন্দা বিশ্লেষণ বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: জামায়াতের আমির জানতেন তার ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য: সিটিটিসি প্রধান
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, তারা সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন ভিত্তিক অ্যাপে যোগাযোগ করে গ্যাং গঠন করত। তারা স্থানীয় সহযোগীদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে জিহাদ শুরু করার জন্য টেকনাফে অবস্থান করছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আটক আব্দুর রব এখানকার একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়ার পর ২০১৯ সালের জুনে সৌদি-আরবে চলে যান। সৌদি আরবে অবস্থানকালে তিনি অনলাইনে বিভিন্ন জিহাদি পোস্ট ও ভিডিও দেখে জিহাদে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত হন।
এতে আরও বলা হয়েছে, রব একজন সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করতেন এবং শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন, জিহাদ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে সবাইকে অনলাইনে একত্রিত করতেন। পরে, তারা বিদেশে বসবাসকারী একজন বাংলাদেশীর সঙ্গে পরিচিত হন এবং অডিও-ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে ওই সদস্য লিবিয়ায় থাকা আরেক বাংলাদেশি এবং টেকনাফের স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। যৌথ আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে, আব্দুর রব, শামীম, সাকিব, নাদিম, সাঈদ এবং অন্যান্য যারা হিজরত করতে ইচ্ছুক তারা প্রথমে টেকনাফে যাবেন এবং বাংলাদেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করতে তাদের স্থানীয় সহযোগীদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
গত বছরের ২২ নভেম্বর আব্দুর রব দেশে এসে পরিকল্পনা ও পরামর্শের জন্য একটি বাসা ভাড়া নেন।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জামায়াতের আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরিতে জড়িত: সিটিটিসি প্রধান
হেফাজত থেকে জঙ্গি পালানোর মূল পরিকল্পনাকারী শনাক্ত: সিটিটিসি প্রধান
১ বছর আগে