৭ বছরের কারাদণ্ড
অর্থপাচারের আরেক মামলায় এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত দুই নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াকে অর্থপাচারের মামলায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫২ কোটি ৮৮ হাজার ৭৮৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় যুবদলনেতা জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনের কারাদণ্ড
অপর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভূঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এ দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করেন। আর যারা মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না, তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত চুরি করছে। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।
এর আগে গত বছরের ২২ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় এনামুল ও রুপনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে তাদের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
এরপর ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলার বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
যুবদলনেতা ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
ধর্ম অবমাননা মামলা: সিলেটে হিন্দু মহাজোটের নেতা রাকেশ রায়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড
ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাকেশ রায় নামে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় সিলেটের সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২০১২ সালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত রাকেশ রায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী।
এই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার জানান, রাকেশের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ এর ২ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। যা এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রূপান্তরিত হয়েছে। মামলার শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রাকেশ রায়কে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রায় ঘোষণাকালে জামিনে থাকা রাকেশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রাকেশ রায়কে ২০১৭ সালের ৭ জুন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই বছরের জুন মাসে রাকেশের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেন ফুযায়েল আহমদ নামের এক ব্যক্তি। বাদী ও বিবাদী দুজনের বাড়িই জকিগঞ্জ উপজেলায়।
মামলার এজাহারে রাকেশের বিরুদ্ধে ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম, মহানবী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ আনা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জানিয়ে রাকেশের আইনজীবী ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী বলেন, আইনজীবী হিসেবে আমি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বলতে পারি না। তবে ন্যায় বিচারের আশায় আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তিন ভারতীয় যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
১ বছর আগে