পরাজিত
পরাজিত ফ্যাসিস্টরা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে: রিজভী
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সঙ্গী-সাথী ফেলে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পরাজিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই আওয়াজ দেবে। তারা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে এক চক্ষুসেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় জুলাই গণআন্দোলনে চক্ষু হারানো, চক্ষু ক্ষতিগ্রস্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের চক্ষু সেবার উদ্দেশ্যে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিনামূল্যে এই চক্ষুসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
আরও পড়ুন: মুজিবের ছবি অপসারণ নিয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রিজভী
রিজভী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে তারা নূর হোসেন দিবসে ঢাকা শহর নাকি উথাল-পাতাল করে দেবে। ওইদিন আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কয়েকটি মিছিল করেছে; ওদের মতো তো মোড়ে মোড়ে বন্দুক নিয়ে পাহারা দেয়নি। তারপরও তো ওদের কোথাও দেখা যায়নি। কই যুবলীগ? কই ছাত্রলীগ? কারণ শেখ হাসিনা তাদের লুটপাটের জন্য তৈরি করেছিলেন।’
‘ফরিদপুরের ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের বলেছিলেন- তোরা যত পারিস লুটপাট কর, কিন্তু বিএনপিকে বের হতে দিবি না; বের হলেই হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়বি। এটাই ছিল শেখ হাসিনার নীতি। এর পরিণাম হয় ভয়াবহ, তা-ই হয়েছে; সঙ্গী-সাথী ফেলে দিয়ে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো একজন রক্তপিপাসুর এই দেশে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের আর কোনো সুযোগ নেই। আপনি শিশুদের রক্ত পান করা একজন রক্তপিপাসু নারী। আপনি যে পাপ করেছেন, যে হত্যালীলা চালিয়েছেন, এর জন্য হয় আল্লাহর কাছে মাফ চান, না হলে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত হয়ে থাকবেন।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শুধু নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে জিম্মি করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এখন জনগণের একটাই দাবি, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি করেছে, সেই চুক্তিগুলো অন্তর্বর্তী সরকার প্রকাশ করুক। তিনি (শেখ হাসিনা) দেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন, তার প্রমাণ তো আমরা দেখতে পাই।’
ভারতের আদানির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি ছিল অত্যন্ত অসম চুক্তি, অত্যন্ত অন্যায় চুক্তি। আদানির কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ কেনা হয়, সেটা এক ইউনিটের দাম ১২ টাকা। পৃথিবীর কোথাও এত দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কেনা হয় না। তিনি (শেখ হাসিনা) আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে- তাকে যদি কখনো পালাতে হয়, তাহলে আদানি তাকে অর্থায়ন করবে। জনগণের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা আদানির সঙ্গে কোনো চুক্তি করেননি। না হলে আদানি কেন হুমকি দেবে?’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কোনো দেশপ্রেম ছিল না। তার ছিল ভারতপ্রেম। ওই একটাই প্রেম ছিল শেখ হাসিনার। কারণ তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। সুতরাং তার প্রেম কার সঙ্গে ছিল এইটা জনগণ জানত এবং বুঝত।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যে মার্কেটগুলো এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের কাছে, বাজারগুলো এখনও তাদের সিন্ডিকেটের কাছে- আপনারা কী তাদের একজন লোককেও ধরেছেন? একটা লোককেও গ্রেপ্তার করেছেন? আপনারা শুল্ক কমিয়েছেন, তারপরও তো পেঁয়াজের দাম কমে না, তারপরও তো আলুর দাম কমে না, চিনির দাম কমে না, আটার দাম কমে না, সয়াবিন তেলের দাম কমে না। কারণ এগুলো ইমপোর্ট করতে হয়। এই বিষয়গুলি আপনারা যদি না দেখেন, পরাজিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই আওয়াজ দেবে। ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে তারা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
১ সপ্তাহ আগে
গাজায় মানবিকতা পরাজিত হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
‘গাজায় যা ঘটছে তা ধর্ম, দেশ, জাতিসত্তার ঊর্ধ্বে’ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘সেখানে মানবিকতা পরাজিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে (গাজা) অবিশ্বাস্যভাবে নারী-শিশু হত্যা করা হচ্ছে, বেসামরিক ব্যক্তিরা গণহত্যার শিকার হচ্ছে। গাজায় জনসাধারণের স্বাধীনতা নেই। এ বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিবৃতিতে না গিয়ে, বিতর্ক না করে বিশ্বের কাছে সত্য তুলে ধরতে হবে।’
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পাশে আছে বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আরও পড়ুন: ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা অ্যারাবিক-এ গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্ব, গণহত্যা ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ইসরায়েলের অপতথ্য প্রচার বিষয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি একথা জানান।
ফিলিস্তিন সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের সমর্থনে আছে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত জোরালো ও সুস্পষ্ট। তিনি কিছুদিন আগে মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা গণহত্যা। এটাই আমাদের অবস্থান।’
আরাফাত বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিনের জনগণ নিপীড়িত হচ্ছে। এখানে সুস্পষ্টভাবে দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষ নির্যাতন করছে। অপর পক্ষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশ নির্যাতিত জনগণের পক্ষে এবং আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতার পক্ষে।’
তিনি আরও যোগ করেন, গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হত্যাকাণ্ড দখল করা ভূখণ্ডের জনগণকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে এবং বিশ্বকে সত্য জানাতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধ করা ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ওআইসি সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক গিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। তুরস্ক সফর শেষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-তুরস্ক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
নোয়াখালীতে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে শাহিদুজ্জামান পলাশ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মাথায় ভারী কোনো বস্তুর আঘাতে তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাটেশ্বর গ্রাম থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
শাহিদুজ্জামান পলাশ সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন এবং ওই গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।
নীয়রা জানায়, পলাশ নাটেশ্বর গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে। পাঁচ বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি। এরই মধ্যে ইতালি যাওয়ার জন্য টাকাও জমা দিয়েছিলেন। সদ্য শেষ হওয়া সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুইঁয়া মানিকের পক্ষে একটি কেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন পলাশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পলাশের ফেসবুক আইডি দেখে নির্বাচনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও তিনি ‘অল মানিক ভাই’ লিখে একটি পোস্ট করেছিলেন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথা ভারী কোনো জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তিনি আরও জানান, পলাশ স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। তার বাড়িতে একটি মুরগির খামার ছিল। শনিবার বিকালে কয়েকটি মুরগি বিক্রি করার পর খামারে কর্মরত দুই কর্মচারী সন্ধ্যায় চলে যায়। এরপর থেকে পলাশ একা খামারে ছিলেন। রাত ৮টার দিকে স্ত্রীকে ফোন করে তিনি জানান, খামার থেকে একটি হাঁস পার্টিতে যাবেন। তারপর বাড়ি ফিরবেন। এরপর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার ঘরের পাশে পলাশের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং হত্যার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঘায় স্ত্রীর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
১০ মাস আগে
পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ওলি'র বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার মানহানি মামলা
নির্বাচনি সভায় আপত্তিকর বক্তব্যের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও'র বিরুদ্ধে আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি ও নবনিযুক্ত গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন তিনি।
বাদির আইনজীবী আব্দুল জব্বার মামুন রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনি প্রচারণার সময় গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে নির্বাচনি এক সভায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন ফিরোজুর রহমান।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন রিজেন্টের শাহেদ
তার ওই আপত্তিকর বক্তব্যে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি হয়েছে। তাই ফিরোজুর রহমানকে তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে তাকে পর পর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ৪ সপ্তাহ মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না ২ আইনজীবী
কিন্তু তিনি সেই নোটিশ আমলে নেননি। তাই র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি করায় আদালতে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী রবিবার এই মামলার শুনানি করবেন আদালত।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলার রায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
১০ মাস আগে
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন জয়ী হয়েছেন।
রিপন জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জুকে ৩৩ হাজার ৫৩৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হন। বিজয়ী প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট এবং লাঙ্গল প্রতীকে রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট। উপনির্বাচনে অন্য প্রার্থীরা হলেন, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা থেকে মোট এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং মাত্র ৩৫ শতাংশ ভোটারের অংশগ্রহণে শেষ হয়। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরে কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সেই অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ১২ অক্টোবর নির্ধারিত হয়।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনী অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি: ইসি রাশিদা
১ বছর আগে
সম্পর্ককে আরও গভীর করতে অপশক্তিকে পরাজিত করবে ঢাকা-নয়াদিল্লি: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের দীর্ঘ সীমান্তের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। যদিও লালমনিরহাটের মতো কিছু পয়েন্টে সমস্যা রয়ে গেছে।
বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি এটি শূন্যের স্তরে নেমে আসবে (সকল পয়েন্টে)।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যু’র রাজনৈতিক ব্যবহার হিতে বিপরীত হতে পারে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার বলেন, উভয় পক্ষের সদিচ্ছার অভাব নেই এবং বাংলাদেশ গতকাল (মঙ্গলবার) কূটনৈতিক মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত সমস্যা তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের অনেক অর্জন রয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, সেখানে কিছু বিঘ্নকারী শক্তি রয়েছে। তবে সম্পর্ক আরও গভীর করতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের নেতারা শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে যে সীমান্তে যে কোনও মৃত্যু উদ্বেগের বিষয় এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে জনমুখী পদক্ষেপ বাড়ানো এবং বেসামরিক নাগরিকদের এই ধরনের মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।
সুরজবার্তা মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন আয়োজিত সেমিনারে পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং সম্পর্ক জোরদারে মিডিয়ার ভূমিকাসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যা কারোই কাম্য নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে