শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন জয়ী হয়েছেন।
রিপন জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জুকে ৩৩ হাজার ৫৩৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হন। বিজয়ী প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট এবং লাঙ্গল প্রতীকে রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট। উপনির্বাচনে অন্য প্রার্থীরা হলেন, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা থেকে মোট এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং মাত্র ৩৫ শতাংশ ভোটারের অংশগ্রহণে শেষ হয়। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরে কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সেই অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ১২ অক্টোবর নির্ধারিত হয়।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনী অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি: ইসি রাশিদা