ডেঙ্গু মোকাবিলা
ডেঙ্গু মোকাবিলা ও মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়নে ১০ টিম গঠন
ডেঙ্গু মোকাবিলা ও মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ থেকে নাগরিকদের রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং লার্ভা ও মশা নিধন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, চাপ সৃষ্টি হচ্ছে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর
তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কাজ করবে ৪টি টিম। উত্তর সিটি করপোরেশনে কাজ করবে ৩টি টিম। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনে কার্যপরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে একটি টিম।
এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ পৌরসভাসমূহ যেমন- সাভার, দোহার, তারাব, রূপগঞ্জ ও অন্যান্য পৌরসভার জন্য আরও একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার কাজটি সমন্বয় ও তথ্য সংগ্রহের জন্য ৭ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসকল কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের টিম প্রধান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
গঠিত টিমগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দিনে কমপক্ষে ৩টি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব এলাকা পরিদর্শন করবেন। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম মনিটরিং ও তদারকি করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্য সংগ্রহ কমিটির কাছে নিয়মিতভাবে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ ও অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ এবং অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইট, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, এ কে এম তারিকুল আলম, মো. ফজলুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: নিয়মিত কর্মসূচির মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব: ডিএসসিসি প্রশাসক
১ মাস আগে
ডেঙ্গুতে আরও ১১ জন আক্রান্ত
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি।
এই সময়ের মধ্যে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৮ জন এবং নারী ৩ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। আর ঢাকার বাইরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন হাসপাতালে
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ৮ জন এবং নারী ১০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৪৬৬ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ৯৩১ জন এবং নারী ৫৩৫ জন।
আরও পড়ুন: নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৮ মাস আগে
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার প্রকোপ কমাতে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনগুলোতে উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জনসচেতনতা বাড়াতে ও প্রচারণায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (৬ মার্চ) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কার্যক্রম বিষয়ে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি টাকা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। মানুষের সচেতনতাই হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ৯০ শতাংশ হাতিয়ার, আর বাকি ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল বা ওষুধের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যেত কিন্তু গত বছর থেকে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এখন ঢাকার বাইরেও তা ছড়িয়েছে। সেজন্য জেলা শহরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে টিভিসি ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এছাড়া পরিবেশ সুরক্ষায় অবকাঠামো নির্মাণে ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।গ্রামীণ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একই রাস্তায় দুইবার বরাদ্দরোধে আইডি দেখে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
জলাশয় ও পানির সংরক্ষণ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলাশয়গুলো সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
৮ মাস আগে
ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ডেঙ্গু প্রকোপ কমে যায়। অন্য বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৯ সাল থেকে আমরা ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। ২০২০ সালে এসে সেই সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তবে ২০২২ সালে এসে আবার পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা দুশ্চিন্তার কারণ বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মাধ্যমে এডিস মশা বন্ধ্যাত্বকরণ করেছে। ইন্দোনেশিয়া এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজ করছে। কীটতত্ত্ববীদ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সবধরনের প্রোগ্রাম নিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে নিবিরভাবে মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরবরাহ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এডিস মশাসহ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীটনাশকও পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর কীটনাশক আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন যে কেউ অনুমোদিত কীটনাশক আমদানি করতে পারবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা ও জনগনের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। সাধারণ জনগনকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। দায়িত্বশীল সবার যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম, চারজন কীটতত্ত্ববীদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সৃজনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে