দক্ষিণ এশীয়
আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর।
ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও নেপালের বর্তমান ও সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের একটি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসে। সেখানে তাদের এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস ওয়াই কুরেশি, মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুওয়াদ তৌফিক, শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আরএমএল রথনায়েকে, নেপালের নির্বাচন কমিশনার সাগুন শমশের জেবি রানা এবং নেপালের সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইলা শর্মা।
প্রতিবেশী দেশগুলোর বর্তমান ও সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সমন্বয়ে গঠিত ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে তারা বাংলাদেশ সফর করছেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে পাস হওয়া একটি আইনের অধীনে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে সরকার।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ইসি ইতোমধ্যে সংসদীয় উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার বেশ কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত
আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
১ বছর আগে
'আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যকার ঐতিহাসিক ও অনাবিষ্কৃত সম্পর্কের বিষয়ে মনোযোগ বাড়ানো প্রয়োজন'
আফ্রো-দ.এশিয়া সংযোগ এবং বাংলায় সুলতানি আমলের হাবশী শাসকদের অজানা ইতিহাস অনুসন্ধানে বিশ্বখ্যাত গবেষক, আর্কাইভিস্ট ও কিউরেটর ডা. কেনেথ এক্স রবিন্স বলেছেন, আফ্রো-দ. এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক সারা বিশ্বে আরও আন্তরিকভাবে গবেষণা করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ড. রবিন্স বলেন, ‘বেশ কিছু ভারতীয় সালতানাতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল আফ্রিকানরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ দ. এশিয়ায় এসে নিজেদের বংশ বিস্তার করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশের রাজ্য,জয়-পরাজয় ও যুদ্ধের ইতিহাসে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করার জন্য এখানে বসতি স্থাপন করে। তারা এই অঞ্চলের ইতিহাসে স্থায়ী ও ভাড়াকৃত সেনা, ব্যবসায়ী-বণিক, সঙ্গীতজ্ঞ, পণ্ডিত, এমনকি জেনারেল ও শাসক হিসেবে অবদান রেখেছেন।’
ডা. রবিন্স বিশ্বাস করেন, ১৪ ও ১৭ শতকের মধ্যে তারা ব্যবসায়ী, শিল্পী, শাসক, স্থপতি ও সংস্কারক হিসেবে এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করেন এবং অনেক বাঙালিও এসময় আফ্রিকাতে বসতি স্থাপন করেন।
এই ইতিহাসগুলো কম পরিচিত। তাই আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় সম্পর্ক এবং হাবশী রাজবংশের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ বাড়ানো প্রয়োজন।
আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন-মহারাজা,নবাব ও ডেক্কানি সুলতান ইত্যাদি সম্পর্কে তার বিশেষ আগ্রহ থাকায়, তিনি তার সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক ১৪টি বই প্রকাশ করেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ ৩ জানুয়ারি ঢাকার বারিধারার গার্ডেন গ্যালারিতে তাদের বিশিষ্ট বক্তা সিরিজের অংশ হিসেবে ডা. কেনেথ এক্স রবিন্সকে নিয়ে সিম্পোজিয়াম ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে। আয়োজনের শিরোনাম ছিল- ‘আফ্রো-সাউথ এশিয়া কানেক্টিভিটি অ্যান্ড দ্য হাবশি কিংডমস অব বেঙ্গাল অ্যান্ড বিয়ন্ড’।
অনুষ্ঠানে স্ত্রী জয়েস রবিন্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে আসা ডা. রবিন্স তার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান।
১ বছর আগে