বোমা নিষ্ক্রিয়করণ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উদ্ধার গ্রেনেড নিষ্ক্রিয়, মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। এ ছাড়া গোলাগুলির ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলাও করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গুলিবিদ্ধ নবী হোসেনকে আটক করেছেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেনেডটি উদ্ধারের তিনদিন পর সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রামু সেনানিবাসে এটি নিষ্ক্রিয় করে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নবী হোসেন গ্রুপের প্রধান নবী হোসেনকে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ নবীকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা) এর প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে ছয় নম্বর আসামি করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যম্পে গোলাগুলির পর উদ্ধার করা গ্রেনেডটি অত্যাধুনিক বিদেশি গ্রেনেড বলে জানিয়েছে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। ওই ঘটনার পর রবিবার এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ৩৩ জনকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ২০-২৫ জনকে।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়ার ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩৯ ব্লকে দুটি গ্রুপের মধ্যে এলোপাতাড়ি গোলাগুলি হয়। এতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নবী গুলিবিদ্ধ হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
১ বছর আগে