ট্রাভেল
শেয়ারট্রিপের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এসটি পে চালু
এসটি পে’র মতো বেশকিছু নতুন ফিচার আনার মধ্যেদিয়ে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হিসেবে বিকশিত হচ্ছে দেশের নেতৃস্থানীয় ট্রাভেল টেক প্ল্যাটফর্ম শেয়ারট্রিপ।
এতে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে নানা ধরনের সুবিধাজনক ফাইন্যান্সিয়াল টুলস নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি এতে ভাউচার, শপ, মোবাইল রিচার্জ, পে বিল ও অন্যান্য নতুন ফিচার রয়েছে।
চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপনে রবিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার শেরাটন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে একটি মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শেয়ারট্রিপ।
প্রতিষ্ঠানটির চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে নতুন বিভিন্ন সুবিধা চালু করা হয়। সেইসঙ্গে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড (এসবিএল) থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডের ইনভেস্টমেন্টের ঘোষণা দেয়।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সামি আহমেদ।
অনুষ্ঠানে এয়ারলাইনস, হোটেল, পেমেন্ট পার্টনার, করপোরেট পার্টনার থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রমণপিপাসুদের সব ধরনের প্রয়োজন পূরণে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শেয়ারট্রিপ।
আরও পড়ুন: ই-সিএমএ বাংলাদেশ ২০২৩-এ ‘বেস্ট ট্রাভেল টেক প্ল্যাটফর্ম’ স্বীকৃতি পেল শেয়ারট্রিপ
এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে সম্প্রতি নতুন ফিচার সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট নিয়ে আসা হয়। এখন সকল ব্যবহারকারীর জন্য আরও বেশি সমন্বিত ফিচার নিয়ে এলো শেয়ারট্রিপ। যেখানে অ্যাপে মাত্র একটি ট্যাপ করেই এসটি পে, ভাউচার, শপ, মোবাইল রিচার্জ ও পে বিলের মতো প্রয়োজনীয় সবকিছু পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপনের সময় ফিচারগুলো চালু করা হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘ভ্রমণের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয়ে দেশের পর্যটন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে শেয়ারট্রিপ। এখন তারা তাদের পরিধি বৃদ্ধি করতে কাজ করছে; সব দিক থেকে স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে বিস্তৃত পরিসরে লাইফস্টাইল ফিচার নিয়ে এসেছে তারা। শেয়ারট্রিপের এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যপূরণের কাছাকাছি নিয়ে যাবে। চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে এসটি পে উদ্ভোধন করায় শেয়ারট্রিপের প্রতি অভিনন্দন। তারা আগামীর পথচলাতেও সফল হবে, এই শুভকামনা রইল।’
ভ্রমণ-সংক্রান্ত ব্র্যান্ড থেকে ভ্রমণ ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হয়ে উঠার উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের ক্ষেত্রে এসটি পে ব্যবহারকারীর লেনদেনের অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে বিস্তৃত পরিসরের ফাইন্যান্সিয়াল টুলস নিয়ে হাজির হয়েছে।
এতে অ্যাড মানি, সেন্ড মানি, মানি রিকোয়েস্ট, ব্যাংক ট্রান্সফার, ট্রানজেকশান হিস্ট্রি, মেক পেমেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফিচার রয়েছে, যা খুব সহজেই ভিন্ন ভিন্ন লেনদেন-সম্পর্কিত কার্যক্রমে ব্যবহার করা যাবে। কিউআর কোড, ফেসিয়াল রিকগনিশন ও বায়োমেট্রিক লগইনের মতো বিষয়গুলোর কারণে এর লেনদেন ও পেমেন্ট অনেক বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হবে। ব্যবহারকারীর স্বনির্ভরতা নিশ্চিতে এসটি পে’র আওতায় থাকা কন্ট্যাক্ট ও ব্যবসার ক্ষেত্রে এখন লেনদেন হবে আরও বেশি সহজ ও ঝামেলামুক্ত।
এসবিএল, আইসিটি বিভাগের সমর্থিত বাংলাদেশ সরকারের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল শেয়ারট্রিপে আবারও বিনিয়োগ করেছে। ২০২২ এর বিনিয়োগের সফলতাকে বিবেচনা করে আবারও বিনিয়োগ করে এসবিএল। এই বিনিয়োগের লক্ষ্য হল শেয়ারট্রিপের সহযোগিতায় একটি স্মার্ট ট্র্যাভেল ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা।
শেয়ারট্রিপ ট্রাভেল ইকোসিস্টেমে সবদিক জুড়ে উদ্ভাবনী নিয়ে এসেছে এবং এর মাধ্যমে লোকাল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে আছে।
শেয়ারট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাদিয়া হক বলেন, ‘বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সকলের জন্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে আমাদের নিরলস যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। একটি বিস্তৃত ভ্রমণ ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হিসেবে বিকশিত হচ্ছে শেয়ারট্রিপ। এসটি পে’র মতো যুগান্তকারী উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আমরা কেবল ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকেই সমৃদ্ধ করব না, বরং একইসঙ্গে দেশের স্মার্ট অর্থনীতির বিকাশেও ভূমিকা রাখব। আজ আমরা এখানে শুধুমাত্র আমাদের অর্জন উদযাপনে উপস্থিত হইনি বরং আমাদের আগামী দিনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরতে একত্র হয়েছি।’
পাশাপাশি, শেয়ারট্রিপ অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে এমন নতুন ফিচার ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এসটি পে’র মাধ্যমে এখন খুব সহজেই অনলাইনে উপহার হিসেবে ভাউচার কেনা বা পাঠানো, নানা ধরণের ব্র্যান্ড থেকে কেনাকাটা, ফোনে ব্যালেন্স রিচার্জ করা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা ইন্টারনেটের বিল দেয়া যাবে। অ্যাপ থেকে এখন মাত্র এক ট্যাপ দূরেই রয়েছে এসটি পেসহ পেমেন্টের অন্যান্য মাধ্যম।
৪র্থ বর্ষপূর্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের অসামান্য সহায়তাকে স্বীকৃতি দিতে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানায় শেয়ারট্রিপ।
এ সময় এয়ারলাইনস, হোটেল, ব্যাংক, করপোরেট ও টেলকোসহ শেয়ারট্রিপের সব অংশীদারদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৪৩টি পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দারুণ সব অফারসহ শেয়ারট্রিপ এর ৫ লাখ ডাউনলোড উদযাপন!
উইমেন লিডার অব দ্য ইয়ার-২০২৩ হলেন শেয়ারট্রিপের সাদিয়া হক
১ বছর আগে
নভোএয়ার এর এক দশক পূর্তি
যাত্রী পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশের সেরা দশটি ট্রাভেল এজেন্সিকে নভোএয়ার পুরস্কার প্রদান করেছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে নভোএয়ার এর দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রাপ্ত এজেন্সিগুলো হলো- শেয়ারট্রিপ লিমিটেড, বিফ্রেশ লিমিটেড, গোজায়ান লিমিটেড, এইচআইএস ট্রাভেল লিমিটেড, ট্রিপলাভার লিমিটেড, সায়মন ওভারসিজ লিমিটেড, ফ্লাইট এক্সপার্ট, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশন, ট্রাভেল চ্যানেল ও ট্রাইওটেল ট্রাভেল লিমিটেড।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি বলেন, নভোএয়ার সময়ানুযায়ী ভ্রমণ নিশ্চিত করে দেশের ব্যাবসা-বাণিজ্যের প্রসারে একটি বিশেষ অবদান রাখছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বেশি ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবসা- বাণিজ্যের প্রসার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমি আশা করি, নভোএয়ার সুনাম ধরে রেখে অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ সংযোজনের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করে একটি বিশ্ব মানের এয়ারলাইন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, নভোএয়ার শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেনে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। যাত্রীর নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে নভোএয়ার কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সচেষ্ট।
আরও পড়ুন: নভোএয়ারের যশোর-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চালু
নভোএয়ার এর চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান বলেন, একটি বিশ্বমানের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু। যাত্রী সেবার মানের ক্ষেত্রে কখনোই আপোষ করেনি। প্রতিনিয়তই চেষ্টা করছি নতুন নতুন সেবা সংযোজনের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করতে।
নভোএয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা ও নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করাই আমাদের ব্যবসায়িক দর্শনের সর্বোচ্চ প্রাধিকার। নিরাপত্তা ও সেবা, এই দুই মুল মন্ত্রকে আমরা সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। নানাবিধ চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকুলতা জয় করে নভোএয়ার সবার কাছে বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য এবং আস্থার এয়ারলাইন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নভোএয়ার এর পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আরশাদ জামাল বলেন, আমরা সম্মানিত যাত্রীদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্য সম্প্রসারণ, বহরে আরও উড়োজাহাজ সংযোজন এর মাধ্যমে উন্নত যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিক বৃন্দ ও নভোএয়ার এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট,যশোর ,সৈয়দপুর, রাজশাহী এবং আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এছাড়া যশোর থেকে কক্সবাজার রুটে ও রাজশাহী থেকে কক্সবাজার রুটে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করছে। নভোএয়ার ১০ বছরে ১ লাখেরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে সাড়ে ৫৫ লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রুটে নভোএয়ারের ফ্লাইট চালু হচ্ছে বৃহস্পতিবার
নভোএয়ারের বিশেষ ফ্লাইটে গোহাটি গেল ১৬ ভারতীয়
১ বছর আগে