কামরুল আহসান
খালেদা জিয়া বাংলাদেশের পরিচয়ের সঙ্গে চিরকাল যুক্ত থাকবেন: জাবি উপাচার্য
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি একজন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনায়ক ও অভিভাবককে হারাল।
কামরুল আহসান বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আপসহীন নেতৃত্বের জন্য তিনি জনসাধারণের কাছে ‘আপসহীন দেশনেত্রী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যু ইতিহাসের এক কিংবদন্তির প্রস্থান, যা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে সময়ের প্রয়োজনে তিনি কোটি মানুষের নেত্রীতে পরিণত হন। গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী এই নেতা দেশ, মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল।
উপাচার্য বলেন, ব্যক্তিগত ও সামাজিক মূল্যবোধে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অনন্য প্রেরণার উৎস। স্বভাবে ও আচরণে পরিমিত, পরিশীলিত ও সহনশীল এই নেতা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থরক্ষায় সব সময় সাহসী ও সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। শারীরিকভাবে বিদায় নিলেও বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের পরিচয়ের সঙ্গে চিরকাল যুক্ত থাকবেন এবং দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনি বারবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবেন।
শোকবার্তায় উপাচার্য ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বেগম খালেদা জিয়ার এক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ওই ভাষণের মাধ্যমে তিনি ধ্বংস বা প্রতিশোধ নয়, বরং ভালোবাসা, শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আরও ২ বছর দায়িত্ব পালন করবেন কামরুল আহসান
রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কামরুল আহসানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কামরুল আহসানের পুনর্নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
রাষ্ট্রদূত কামরুল ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগদান করেন এবং ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাশিয়ায় তার নিয়োগের পূর্বে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলারবিষয়ক সচিব ছিলেন।
২০১৬ সালের নভেম্বরে তিনি সচিব পদে উন্নীত হন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন
রাষ্ট্রদূত কামরুল ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি আর্জেন্টিনা, কিউবা, জ্যামাইকা ও ভেনিজুয়েলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও স্বীকৃতি পান।
এছাড়াও, তিনি কানাডায় এশিয়া প্যাসিফিক কূটনৈতিক গ্রুপের ডিন ছিলেন।
তিনি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত কামরুল সিঙ্গাপুরে কূটনৈতিক ও কনস্যুলার কর্পসের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সিঙ্গাপুরের আবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং কর্পোরেট হাউসের প্রতিনিধিদের একটি প্ল্যাটফর্ম ক্লাব ২০০-এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
জাতিসংঘের ৩ সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত মুহিত
১০৭৫ দিন আগে