সিআইডি
সিআইডির এসিপি প্রদ্যুমানের বিদায়: সনি টিভির সেরা গোয়েন্দা সিরিজে আকস্মিক ছন্দপতন
এবার আর কোনও প্লট টুইস্ট নয়। চূড়ান্ত ভাবে জীবনাবসান ঘটলো ভারতের সনি টিভি ধারাবাহিক সিআইডির প্রধান চরিত্র এসিপি প্রদ্যুমানের। শিবাজী সাটম অভিনীত সর্বদা ভ্রু কুঁচকে থাকা চরিত্রটির জনপ্রিয়তা বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, দৃঢ় কণ্ঠস্বর এবং হৃদয়ে গেঁথে থাকা কালজয়ী সংলাপগুলো তাকে করে তুলেছিলো গোটা সিরিজের মধ্যমণি। ছোট পর্দায় হিন্দি ভাষার গোয়েন্দা নাটক মানেই সিআইডি, আর সিআইডি মানেই প্রদ্যুমান। চলুন, কিংবদন্তিতূল্য চরিত্র এসিপি প্রদ্যুমানের প্রস্থানের ঘটনাটি নিয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এসিপি প্রদ্যুমানের অন্তিম পর্ব: দ্যা ইন্ড অফ দ্যা ওয়াচ
গত ৫ এপ্রিল শনিবার ‘দি এন্ড অফ দ্যা ওয়াচ’ শিরোনামে সম্প্রচারিত হয় সিআইডি সিজন ২-এর ৩১-তম পর্ব। সেখানে সিআইডি দল অ্যাকশনে নামে দীর্ঘদিনের ফেরারি আসামী বারবোজাকে (তিগমাংশু ধুলিয়া) ধরার জন্য। ঘটনাচক্রে ধূর্ত বারবোজা সিআইডি দলনেতাকে ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয়। এরই পরিণতিতে এক শক্তিশালী বিস্ফোরণের শিকার হন এসিপি। বিস্ফোরণে তার কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা তা সরাসরি পর্দায় দেখানো না হলেও দৃশ্যে বোঝানো হয়েছে যে তার মৃত্যু ঘটেছে। স্বভাবতই এতে প্লট টুইস্টে তার বেঁচে ফেরার সমূহ সম্ভাবনা দেখেছে ভক্তরা।
কিন্তু সম্প্রচারের পর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি টিভি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে প্রদ্যুমানের মৃত্যুকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিশ্চিত করে। এছাড়া পূর্বে অভিনেতা শিবাজি সাটম চরিত্রটি থেকে তার সরে দাড়ানোর অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। একই সাথে চরিত্রটির ইতি টানা নিয়ে সনির ইতিবাচক অবস্থানের ব্যাপারে বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন উঠেছিলো। এবার নিশ্চিত ভাবেই পরিসমাপ্তি ঘটলো দুই যুগ পুরনো কিংবদন্তির চরিত্রটির।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ ছোট পর্দার ঈদ আয়োজন: মুক্তির অপেক্ষায় শীর্ষ ১০টি নাটক
সিআইডি এবং গোয়েন্দা নাটকে প্রদ্যুমানের একাধিপত্য
অপরাধ, রহস্য, তদন্ত, গোয়েন্দা- এ সবকিছুর মিশেলে ধারাবাহিক সিআইডি’র যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। আকর্ষণীয় প্লট, নাটকীয়তা, এবং গোয়েন্দাগিরিতে ভরপুর বিপি সিং রচিত থ্রিলারটি খুব কম সময়ের মধ্যেই একটি স্বতন্ত্র দর্শক শ্রেণী তৈরি করেছিল।
প্রদ্যুমানের সহশিল্পীরা ছিলেন দয়া (দয়ানন্দ শেঠি), অভিজিত (আদিত্য শ্রিভাস্তভ), ফ্রেডি (দীনেশ ফাড়নিস), এবং ডক্টর আরপি স্যালুন্খে (নরেন্দ্র গুপ্ত)। দলের প্রতিটি সদস্যেরই ছিলো নিজ নিজ বিশেষত্ব, যা দারুণ মুগ্ধতা সৃষ্টি করেছিলো দর্শকদের মাঝে।
সিআইডির পুরোপুরি ফর্মে ছিলো ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দশকটিতে। সাটমের বলিষ্ঠ নির্দেশনা ও উপস্থিত বুদ্ধি রহস্যজট ছাড়ানোর মুহুর্তগুলোকে প্রাণবন্ত করে রাখতো। তার অন্তর্ভেদী দৃষ্টি যেন যে কোনও অপরাধীর মস্তিষ্কে কি চলছে তা নিমেষেই দেখতে পেতো। হিন্দি ভাষার নাট্যজগতে গোয়েন্দা কল্পকাহিনীর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো সিআইডি। এর প্রায় পুরো কৃতিত্বটাই দেয়া যেতে পারে প্রদ্যুমান চরিত্রটিকে। তাই অন্য কোনও নাটক বা এমনকি সিনেমাতেও শিবাজীকে দেখা গেলে মনে হতো- এখনি হয়ত শুরু হয়ে যাবে তদন্ত।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ ঢালিউডে মুক্তির অপেক্ষায় যে সকল বাংলাদেশি সিনেমা
তার “দয়া, দারওয়াজা ছোড় দো”-এর মতো সংলাপগুলো এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও ধরে রেখেছে সিআইডির জনপ্রিয়তাকে। স্পষ্ট সংকল্পের পাশাপাশি গভীর সহানুভূতির বৈচিত্র্যপূর্ণ সন্নিবেশ চরিত্রটিকে দিয়েছিলো গভীর মানবিকতা। এর ফলে গোটা ফ্র্যাঞ্চাইজিটি একটি নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলো।
তাই চরিত্রটির এমন অনাকাঙ্ক্ষিত প্রয়াণ যে কোনও অনুগত ভক্তের জন্যই কষ্টদায়ক। তারই প্রতিফলন ঘটেছে সনির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কমেন্টে। সেখানে সেই ভক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন- “এই আরআইপি (রেস্ট-ইন-পিস) কেবল এসিপি প্রদ্যুমানের নয়। এটি গোটা সিআইডির আরআইপি”।
চরিত্রের নেপথ্যের মানুষ
শিবাজি সাটম ভারতীয় নাট্যজগতের বহুল সমাদৃত এক অভিনেতা, যার ঝুলিতে রয়েছে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায়ও ছিলো তার সমান বিচরণ। তবে সে সবগুলোকে ছাড়িয়ে এই এসিপি অফিসারের চরিত্রটিই লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় কেড়েছিলো। এ প্রজন্মের ক্রাইম ঘরানার ভক্তরা তার আসল নাম না জানলেও অচিরেই তাকে স্বীকৃতি দেয় প্রদ্যুমান নামে।
আরো পড়ুন: ‘কৃশ ৪’-এর বিশাল বাজেটে অনিশ্চিত বিনিয়োগ, কেন সরে দাঁড়ালেন রাকেশ রোশান
এই চরিত্রের জন্য শিবাজি ২০০২ ও ২০০৩ সালে ভারতীয় টেলি অ্যাওয়ার্ডে এবং ২০১২ সালে গোল্ড অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান।
১০ দিন আগে
৮৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা
রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান। বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে জনতা ব্যাংক থেকে ৯৩টি এলসি নিয়ে প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০০০ কোটি টাকা) পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির ৪ মাসের মধ্যে দেশে রপ্তানিমূল্য আসতে হয়। তবে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও রপ্তানিমূল্য বাংলাদেশে আসেনি, যা বিদেশে অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ দেয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ওই ১৭টি প্রতিষ্ঠান হলো- অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেড, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড, অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এসেস ফ্যাশন লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেড, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, পিংক মেকার গার্মেন্টস লিমিটেড, প্ল্যাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবান ফ্যাশনস লিমিটেড ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।
বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের পুত্র আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও এ এস এফ রহমানের পুত্র আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যৌথ মালিকানাধীন আরআর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের (এফজেডই) শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও এবং সৌদি আরবের শাখায় রপ্তানি করা হয়েছে।
এছাড়াও জার্মানি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক ও শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশেও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি মূল্য বাংলাদেশে না এনে তারা বিদেশে পাচার করেছেন বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।
সিআইডি জানায়, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের জন্যে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করে ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানিমূল্য দেশে না এনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২(শ) এর (১৪) ও (২৬) ধারায় অপরাধ করেছে অভিযুক্তরা। যা একই আইনের ৪(২)/৪(৪) ধারা অনুযায়ী দণ্ডণীয় অপরাধ।
সালমান এফ রহমান ও তার সহযোগীরা ব্যক্তিগত প্রভাব ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচার করেছে- অনুসন্ধানে এ তথ্য প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ ডিএমপির মতিঝিল থানায় ১৭টি মামলা করেছে।
এছাড়াও সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার ও অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
২১১ দিন আগে
অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি
রাজধানীতে অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দু’টি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এছাড়া অবৈধ মানি লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তার ৪ জন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৃত মনসুর আলীর ছেলে মো. মকবুল হোসেন (৫০), বরিশালের মৃত আব্দুল খালেক বিশ্বাসের ছেলে মো. মাসুদ আলম (২৭), নোয়াখালীর মৃত হাজী মো. ইয়াহিয়া মুন্সীর ছেলে এমএম জাকারিয়া (৫৬) এবং বরিশালের মৃত কালাই শিকদারের ছেলে মো. জামাল উদ্দিন (৫৪)।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৪
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ডিভিশনের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর শখ সেন্টারে অবস্থিত 'চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড' ও 'বকাউল মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড' এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি টাকা ৭৪ লাখ টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় ১৯৪৭ সালের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৩(১) ধারায় উক্ত ৪ জনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় এলএসডি জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
যশোরে ‘নাশকতার পরিকল্পনায়’ গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
৫৭২ দিন আগে
৭২ ঘণ্টা পরও খোঁজ মিলেনি খুলনার ৪ চিকিৎসকের
নিখোঁজের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও খুলনার তিন নারী চিকিৎসকসহ নিখোঁজ চার চিকিৎসকের। এ ঘটনয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য চিকিৎসকদের পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ করেন। এ সময় তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের দ্রুত খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরে গেলেও তারা কোথায় আছেন এবং কেন তাদের আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে কর্মকর্তারা কোনো তথ্য দেননি।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁস: খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টার এর মালিক আটক
এদিকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ খুলনা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে নিখোঁজ চিকিৎসকদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন।
গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) খুলনা জেলার চার চিকিৎসক ডা. লুইস, ডা. তিশা, ডা. শর্মিষ্ঠা ও ডা. লামিয়া নিখোঁজ হন।
গত ১৯ আগস্ট মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে 'থ্রি ডক্টরস' কোচিং সেন্টারের মালিক ড. ইউনুস খান তারিমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
প্রশ্ন ফাঁসের জন্য দায়ী গ্রুপের সঙ্গে নিখোঁজ চিকিৎসকরা জড়িত বলে সন্দেহ করা হলেও তাদের বাবা-মা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে খুমেক হাসপাতালের ৩ চিকিৎসক নিখোঁজ
৬০৪ দিন আগে
ফারদিনের মৃত্যু: সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ আদালতের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলাটি সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার বাদী নুর উদ্দিন রানার নারাজি দাখিল করেন।
আদালত নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডিকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যু: স্থায়ী জামিন পেলেন বুশরা
আগামী ২৪ মে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
৭৩২ দিন আগে
সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, একটি মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর স্থানীয় প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায় এবং থানায় মামলা করে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের পর গুলিস্তানের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি পরিষ্কার নই। তবে মামলাকে কেন্দ্র করে কিছু ঘটেছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আপনাদের একাত্তর টিভির সাংবাদিকরা বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সব কিছু জানার পর বিস্তারিত জানাব।
এর আগে বুধবার শামসুজ্জামানকে সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সিআইডি সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার তার বাসা থেকে সাদা পোশাকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ১৬ সদস্য তাকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৭৪৯ দিন আগে
এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পলাতক জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরীর বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএফআইইউ, সিআইডি ও দুদককে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে বলেছেন।
গত ৫ জানুয়ারি দৈনিক কালবেলায় ‘দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে ইয়াসিন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার স্বতঃপ্রেণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আপিল শুনানি রবিবার
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন।
অনুসন্ধানের পাশাপাশি হাইকোর্ট, এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরীর অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল দিয়েছেন।
৯ মার্চ এ বিষয়ে ফের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এবিষয়ে প্রকাশিত সংবাদটিতে বলা হয়,ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াসিন চৌধুরী।
গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ফেরত না দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তিনি দুবাইয়ে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ইয়াসিন চৌধুরীর কাছে শুধু একটি ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ এক হাজার ২৪৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফান্ডেড বা নগদ ঋণ ৯১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং নন-ফান্ডেড (এলসি ও ব্যাংক গ্যারান্টি) ৩২৫ কোটি টাকা।
এছাড়া এফএমসির এমডি ইয়াসিনের কাছে মোট ১১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬০ টাকা পাবে দ্য বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসকে হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন
৮৩০ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: ৬৯ বার পেছালো প্রতিবেদন জমার তারিখ
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় ৬৯ বার পেছানো হলো।
রবিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। তাই ঢাকার মহানগহর হাকিম রাজেশ চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা।
দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
৮৩৭ দিন আগে
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সিআইডির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট অবস্থান নিয়েছে।
হলুদ ফিতা লাগিয়ে পুলিশ এলাকাটিকে অপরাধ স্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও পুলিশের তৎপরতার একদিন পর বুধবার রাত থেকে ঢাকায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যান চলাচল বন্ধ
বিজয়নগর ও ফকিরাপুল মোড়ে নাইটিংগেল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।
এলাকায় সাঁজোয়া ও পুলিশের গাড়িসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বুধবারের সংঘর্ষের পর আজ সকাল থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি।
আজ সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপি কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়।
সকালে ঢাকার একটি আদালতে হাজির হওয়ার পর ফখরুল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিজয়নগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মী আটক: পুলিশ
ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
৮৬০ দিন আগে
বিএম ডিপো পরিদর্শনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুরে বিএম ডিপোর রাসায়নিক বিষ্ফোরণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির অবস্থা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি টিম।রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা.নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তদন্ত টিমের সদস্যরা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঘটনাস্থল বিএম ডিপো পরিদর্শন করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, মেডিকেলের কিডনি বিশেষজ্ঞ এনামুল হক শামীম, ডিএনসিসি ডেডিকেডেট কোভিড হাসপাতালের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্ণেল মো. মশিউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. অনিন্দিতা শবনম কোরেশী, সহকারী পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর উদ্দিন, ইভালুয়েটর ডা. ফাবলিনা নওশিন, আইএইচআর এর ডাটা ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম, বিসিআইসির ইন্ড্রাস্টিয়াল সেফটি এন্ড হেলথ ডিপার্টমেন্টের কেমিস্ট মো. জিয়াউল হক, ডেপুটি চিফ কেমিস্ট হুমায়ুন কবির।এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিএম ডিপোতে রাসায়নিক বিষ্ফোরণ হয়েছে। আমাদের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখায় রেডিয়েশন হেজার্ট এবং কেমিকেল হেজার্ড বিষয়ে কাজ করি। এখানে রাসায়নিক বিষ্ফোরণে কী ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আমরা এসেছি। এছাড়া এই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়া রোগীরা চমেকে কিভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে তাও দেখব। এদিকে সকালে ঢাকা থেকে সিআইডি’র একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা
১০৪১ দিন আগে